একটি বিশেষ নিবেদন…!!!
আমি শোভা বলছি…
প্রিয় পাঠক,
প্রথমেই আমার সালাম নিবেন।আশা করি সৃষ্টিকর্তার অশেষ কৃপায় কুশলেই আছেন।আমি একজন ট্রানজেন্ডার নারী।
অনেক বাধা – বিপত্তি ও নানা প্রতিকূলতা পেরিয়ে আজ আমি এই অবস্থানে এসেছি।
কবিতা সংশ্লিষ্ট সকল সংগঠন গুলির এডমিন এবং মডারেটর সহ সকল কবির দৃষ্টি আকর্ষন করছি…
আপনাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা রেখেই বলছি…
আপনাদের প্রতিটি অনুষ্ঠানে অন্তত একজন ট্রানজেন্ডার কে অংশগ্রহণ এর সুযোগ দিন। নারী, পুরুষ নির্বিশেষে একজন ট্রানজেন্ডার নারীর সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করুন।
আপনারা সবাই আমার বইটি সংগ্রহ করে আমাকে প্রমোট করুন।
আমরা এমনিতেই অনেক অসহায়। পরিবার ও সমাজ আমাদের বঞ্চিত করে।রাষ্ট্র আমদের সমান সুযোগ প্রদান করেনা,মুখ ফিরিয়ে নেয়।
আমাদের মেধা থাকা সত্ত্বেও আমাদের কে অবমূল্যায়ন করা হয়।এটি কোনক্রমেই একজন সুনাগরিক এর বৈশিষ্ট্য হতে পারেনা।
আপনাদের এই অবমূল্যায়ন ও অবজ্ঞাসূচক আচরণ এর ফলে তাদের প্রতিভা মুকুলেই বিনষ্ট হবে।আর কোন ট্রানজেন্ডার লেখিকার জন্ম হবেনা।হবেনা কোন কবির জন্ম। তাই সুশীল সমাজ গঠনে তাদের অংশগ্রহণ সুনিশ্চিত করুন।তাহলেই এগিয়ে যাবে দেশ এবং সৃষ্টি হবে একটি নতুন জাতি।
আমি শোভা একদিনে তৈরি হইনি।শৈশবকাল থেকেই চলছে আমার এই পথচলা ও জীবনযুদ্ধ।আমার জীবন সংগ্রামে প্রায় বিশটি বছর পার করেছি।নাট্যকলা, আবৃত্তি, চারুকলা, সিনেমাটোগ্রাফি প্রায় প্রতিটি শাখাতেই বিচরণ করেছি।বিভিন্ন সমাজকর্ম এর সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত।২০১১ সালে পেয়েছি আবৃত্তি তে জাতীয় পুরষ্কার। সম্প্রতি বাংলাদেশের প্রথম ট্রানজেন্ডার কবি হিসেবে সম্মাননা গ্রহণ করেছি।
তারপর ও আমি বলবো,আমি এখনও অনেক দূরপথ পাড়ি দিতে চাই।এমনকি আমি সাহিত্যে নোবেল পুরষ্কার অর্জন করে দেশ ও মানুষের কল্যাণে অবদান রাখতে চাই।
” ঘৃণা নয় ভালোবাসি করুণা নয় মমতায় বেধে রাখি।”
শোভা চৌধুরী
( বাংলাদেশের প্রথম ট্রানজেন্ডার কবি ও লেখক)