জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সাথে তার সংসদ ভবনের কার্যালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন।
সাক্ষাৎকালে তারা স্পিকারের নেতৃত্বে বাংলাদেশের সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সাম্প্রতিক জাপান সফর, বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নয়ন, ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার, বাংলাদেশে জাপানের বিনিয়োগ বৃদ্ধি, সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের মাধ্যমে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নয়ন ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
স্পিকার বলেন, স্বাধীনতার পর থেকেই জাপান বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু। ১৯৭৩ সালে জাপান সরকারের আমন্ত্রণে রাষ্ট্রীয় সফরে যান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের প্রতিনিধিদলের সাম্প্রতিক জাপান সফরটি ছিল খুবই ফলপ্রসূ। জাপানের হাউজ অফ রিপ্রেজেনটেটিভসের স্পিকার ও হাউজ অফ কাউন্সিলর্সের প্রেসিডেন্টের সাথে সৌজন্য সাক্ষাতের মাধ্যমে পারস্পরিক সহযোগিতা, ব্যবসা-বাণিজ্যের উন্নয়নের পাশাপাশি বাংলাদেশ-জাপান সম্পর্ক আরো সুদৃঢ় হয়েছে। জাপানে সংসদের অধিবেশন পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে বাংলাদেশ সংসদীয় প্রতিনিধিদলের অভিজ্ঞতা সমৃদ্ধ হয়েছে। জাপানের ন্যাশনাল মিউজিয়াম ফর ইমার্জিং সাইন্স এন্ড ইনোভেশন এবং ওসাকাস্থ একুরিয়াম পরিদর্শন স্মরণীয় হয়ে থাকবে বলে উল্লেখ করেন স্পিকার।
বাংলাদেশের সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সাম্প্রতিক জাপান সফর জাপানের জন্য অত্যন্ত গৌরবের উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি বলেন, বাংলাদেশ জাপানের অনেক পুরনো বন্ধু। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পর বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকারের নেতৃত্বে সংসদীয় প্রতিনিধিদলের জাপান সফর জাপান-বাংলাদেশ সম্পর্কের মাইলফলক। জাপান বাংলাদেশের বিনিয়োগ সহযোগী। ভবিষ্যতে জাপান-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সফর বিনিময় দুদেশের সম্পর্ক আরো সুদৃঢ় করবে।
স্পিকার বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে জাপানের বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং তথ্য-প্রযুক্তি, অবকাঠামো উন্নয়ন ইত্যাদি খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধিতে কাজ করার জন্য রাষ্ট্রদূতের প্রতি আহ্বান জানান ।
এসময় সংসদ সচিবালয়র উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।