জাতির সংবাদ ডটকম।।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন (ডিএসএ)-র অপব্যবহার কোনোভাবেই বন্ধ হচ্ছে না। বরং বিরোধী মতকে নিয়ন্ত্রন করতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন অপব্যবহার দিন দিন বৃ্দ্িধ পাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া।
রবিবার (৯ এপ্রিল) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে তারা এসব কথা বলেন।
তারা বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন রাষ্ট্রের নিরাপত্তার জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে না। এ আইন ব্যবহৃত হচ্ছে সরকারের ও সরকার সমর্থকদের নিরাপত্তার জন্য। বিরোধী মতের কণ্ঠরোধ করার জন্য এ নিবর্তনমূলক আইন প্রণয়ন করা হয়েছে।
নেতৃদ্বয় বলেন, এ আইনে গ্রেফতারকৃতদের মধ্যরাতে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হচ্ছে। তাতাতেই প্রমান হয় এই আইন কোনো স্বাধীন দেশের বা সভ্য সমাজের প্রতিনিধিত্ব করে না। এ আইন সংশোধনের অযোগ্য এবং এটাকে স্থগিত রাখারও কোনো সুযোগ নেই। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন দ্রুত বাতিল করতে হবে।
তারা আরো বলেন, সাংবাদিক গ্রেপ্তার এবং র্যা ব হেফাজতে সুলতানা জেসমিনের মৃত্যু আবারও কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে দিয়েছে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে। এই আইনটি যে ‘কণ্ঠরোধের হাতিয়ার’ করছে সরকার, শামস ও জেসমিনের ঘটনা সেটাই প্রমান করে। আইনের ‘অপব্যবহার’ বন্ধে সরকারের মন্ত্রীদের আশ্বাসের মধ্যেও সংবাদকর্মীসহ বিভিন্ন ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার থেমে থাকেনি।
নেতৃদ্বয় বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের নামে ভয়ংকর ত্রাস সৃষ্টির মাধ্যমে সাংবাদিক বা নাগরিক গ্রেফতার করে যে তুঘলকি কান্ড সংগঠিত করেছে, তা পুরো বিচার ব্যবস্থাকেই পঙ্গু করে দিচ্ছে।
তারা বলেন, সরকার বল প্রয়োগ করে স্বেচ্ছাচার জারি রাখার জন্য যেসব পদক্ষেপ গ্রহণ করছে তার অন্যতম হচ্ছে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন। সুতরাং গণবিরোধী ন্যায় বিচার পরিপন্থী ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে ছুড়ে ফেলতে হবে।