টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে শুরু হয়েছে মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম জামাত তিন দিনব্যাপী বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব ।
বিশ্ব ইজতেমার এই পর্বটি ভারতীয় ধর্ম প্রচারক মাওলানা মুহাম্মদ সাদ আল কান্ধলভির অনুসারীসহ বিপুল সংখ্যক ভক্তের অংশগ্রহণে ফজরের নামাজের পরে ‘আম বয়ান’ (সাধারণ খুতবা) দিয়ে শুরু হয়।
তবে এবারের ইজতেমায় অংশ নিচ্ছেন না মাওলানা সাদ। খুতবা পাঠ করেন ভারতীয় ইসলামী পন্ডিত মাওলানা মোহাম্মদ ওসমান। তার খুতবার বাংলায় অনুবাদ করেন মাওলানা জিয়া বিন কাসিম।
দেশ-বিদেশের হাজার হাজার ভক্ত অনুরাগী তুরাগ নদীর তীরে ভীড় জমান আলেমদের কুরআনের আয়াত তেলাওয়াত ও ব্যাখ্যা করতে এবং ইসলামী মূল্যবোধের প্রতি তাদের অঙ্গীকার পুর্নব্যক্ত করতে।
দুপুরে তারা ইজতেমা মাঠে মাওলানা সাদের ছেলে ইউসুফ বিন সাদ কান্ধলভীর নেতৃত্বে জুমার নামাজ আদায় করবেন।
মুসল্লিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ইজতেমা স্থান ও আশপাশে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) কমিশনার মোল্লা নজরুল ইসলাম বাসস’কে বলেন, ‘ভক্তদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ইজতেমাস্থলে ও আশপাশে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানস্থলটি ক্লোজ সার্কিট (সিসিটিভি) ক্যামেরা নজরদারির আওতায় আনা হয়েছে।
আগের বছরের মতোই ভক্তদের চিকিৎসার জন্য স্বাস্থ্য শিবির স্থাপন করা হয়েছে।
তবে বার্ধক্যজনিত জটিলতায় শুক্রবার ভোররাতে বরগুনার এক ভক্ত মফিজুল ইসলাম (৭৫) ইজতেমাস্থলে মারা যান।
আগামী ২২ জানুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে তিন দিনব্যাপী বিশ্ব ইজতেমা।
এদিকে, দ্বিতীয় পর্বের জামাতে যোগদানকারী মুসল্লিদের নির্বিঘেœ চলাচলের জন্য ২২ জানুয়ারি সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ঢাকায় মেট্রোরেল চলাচল করবে।
গত ১৫ জানুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হয় তিন দিনব্যাপী বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব।
তাবলিগ জামাত ১৯৬৭ সাল থেকে টঙ্গীতে জামাতের আয়োজন করে আসছে। ২০১১ সালে বিপুল সংখ্যক উপস্থিতির জন্য ইজতেমাকে দ’ুটি পর্বে বিভক্ত করা হয়।