শীত উপেক্ষা করে বিশ্ব ইজতেমার মূল পর্ব শুরুর দুইদিন আগেই গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ তীরের খিত্তায়-খিত্তায় জমায়েত হয়েছেন সারা দেশ থেকে আসা ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। পাশাপাশি, বিদেশিরাও এসেছেন ইজতেমা ময়দানে।
আয়োজকরা জানিয়েছেন, বুধবার ভোর থেকেই ট্রেন, বাস, ট্রাক, নৌকা, প্রাইভেট কার, মাইক্রোবাসে করে হাজার হাজার মানুষ ময়দানে ঢুকতে শুরু করেন। সন্ধ্যার মধ্যেই জেলার জন্য নির্ধারিত প্যান্ডেলের ভেতরে অবস্থান নেন তারা। মানুষের সমাগম অব্যাহত আছে।
করোনা মহামারির কারণে টানা দুই বছর বিশ্ব ইজতেমা বন্ধ ছিলো। বৃহস্পতিবার বাদ ফজর আ’ম বয়ান শুরু হলেও প্রথম পর্বের ইজতেমার মূল পর্ব শুরু হবে শুক্রবার থেকে। রোববার আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে তা শেষ হবে। সম্মিলনে আসা মানুষ এই তিনদিন সেখানে অবস্থান নিয়ে বয়ান শোনা ও ইবাগত-বন্দেগিতে মশগুল থাকবেন।
প্রায় এক বর্গকিলোমিটার এলাকাজুড়ে বিশাল মাঠকে বাঁশের খুঁটির উপর চটের ছাউনি দিয়ে প্রস্তুত করা হয়েছে। বয়ান মঞ্চ করা হয়েছে ইজতেমা মাঠের পশ্চিম-উত্তরের মাঝ বরাবর। বয়ান শোনার জন্য লাগানো হয়েছে বিশেষ ছাতা মাইক। বয়ান ও দোয়া মঞ্চ ছাড়া নামাজের মিম্বরও তৈরি করা হয়েছে আলাদাভাবে।
নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরাও ময়দানের বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নিয়ে দায়িত্ব পালনে ব্যস্ত সময় পার করছেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রায় ১০ হাজার সদস্য ইজতেমা ময়দান ছাড়াও আশপাশের এলাকার নিরাপত্তা বিধান করবেন। অন্যান্য বিষয়ের সঙ্গে এবার সাইবার নিরাপত্তার বিষয়টিও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যুক্ত করেছে।
আগে এক মঞ্চ থেকে একবারই বিশ্ব ইজতেমার আয়োজন হতো। কিন্তু মাওলানা জোবায়ের ও মাওলানা সা’দ পক্ষের অনুসারীরা এই নিয়ে নিজেদের মধ্যে বিভেদে জড়িয়ে পড়েন। একপর্যায়ে দুই পক্ষ বিশ্ব ইজতেমা দুইবারে করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।