জাতির সংবাদ ডটকম।।
দ্রব্যমূল্য বাড়িয়ে, গণতন্ত্র কেড়ে নিয়ে সরকার দেশের মানুষকে দাসত্বের শৃঙ্খলে আবদ্ধ করতে চায়- এবি পার্টি।
আর্থিক অনটন ও নিত্যপণ্যের উচ্চমূল্যে কষ্টভোগী রোজাদারদের সন্মানে মাসব্যাপী গণ-ইফতার কর্মসূচি চালু করেছে এবি পার্টি। আজ পহেলা রমজানে এবি পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয় সংলগ্ন বিজয়-৭১ চত্বরে বিকেল সাড়ে ৫ টায় এই কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্সী বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান ড. আবু মূসা মো: আরিফ বিল্লাহ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ত্ব করেন এবি পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ড. আরিফ বিল্লাহ বলেন, অত্যন্ত বরকত ও ফজিলতের মাস পবিত্র রমজানের প্রথম দিনে ইফতার উদযাপন উপলক্ষে আমরা এখানে সমবেত হয়েছি। মহিমান্বিত এই মাসে এবি পার্টির উদ্যোগে প্রতিদিন দরিদ্র অসহায় ছিন্নমূল মানুষকে ইফতার বিতরণ কর্মসূচী অবশ্যই প্রসংশনীয়। দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতি যখন বিপর্যস্ত, লাগামহীন দ্রব্যমূল্যে যখন জনগনের নাভিশ্বাস উঠছে, ক্ষুধার জ্বালায় যখন পিতামাতা ছেলে সন্তানসহ স্বপরিবারে আত্মহত্যা করছে বলে পত্রিকায় খবর বের হচ্ছে, সেই কালসন্ধিক্ষণে এবি পার্টির এই ইফতার বিতরন কর্মসূচী নি:সন্দেহে একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ।
আশাকরি এই উদ্যোগ দেশের স্বাবলম্বী মানুষদের দুস্থদের সন্মানে সেবামূলক কর্মকান্ড পরিচালনায় উৎসাহিত করবে।
তিনি বলেন, এবি পার্টির এই চমৎকার উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই এবং মাসব্যাপী এই ইফতার অনুষ্ঠানের সফলতা কামনা করি।
সভাপতির বক্তব্যে অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম বলেন, এবি পার্টি বাংলাদেশকে একটি কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায়। কল্যাণ রাষ্ট্র গড়ার মাধ্যমে দেশের উপার্জনহীন, অসহায় এবং নিম্ন আয়ের মানুষদের রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে জীবন ধারনের ন্যুনতম ভাতা তাদের এ্যাকাউন্টে পৌঁছে দেবে। এজন্য টিসিবি’র লাইনে দাঁড়ানোর মতো অমর্যাদাকর কোন অবস্থানে নাগরিকদের ঠেলে দেবেনা। এই ভাতা প্রদানের জন্য চেয়ারম্যান- মেম্বরদের দ্বারে দ্বারে ঘুরতে হবেনা। রাষ্ট্রের প্রশাসন আপনাদের দরোজায় গিয়ে এই সেবা পৌঁছে দেবে। কল্যাণ রাষ্ট্রে সরকার হবে জনগনের সেবক- তাদের স্যার, ম্যাডাম কিংবা মহামান্য কেউ নয়। আজকে সরকার ও প্রশাসন নিজেদেরকে জনগণের প্রভূ মনে করছে, জনগনকে মনে করছে ক্রীতদাস। বর্তমান সরকার দ্রব্যমূল্য বাড়িয়ে, গণতন্ত্র কেড়ে নিয়ে দেশের মানুষকে দাসত্বের শৃঙ্খলে আবদ্ধ করতে চায়। এবি পার্টি রাষ্ট্র ও রাজনীতি থেকে এই দাসত্বের শৃংখল ভেঙে গণতান্ত্রিক কল্যানমূলক রাষ্ট্র গড়ে তুলতে অঙ্গীকারাবদ্ধ।
তিনি আরো বলেন, সরকার নির্বাচন এলে তাসবিহ হাতে মাথায় হিজাব লাগিয়ে নিজেকে মুসলিমদের হিতাকাঙ্ক্ষী হিসেবে উপস্থাপন করে। কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি এই সরকার হজ্জের খরচ সাড়ে তিন লাখ থেকে দ্বিগুন করে প্রায় সাত লাখ করে মানুষকে হজ্জের মত একটি এবাদত করার পথকে রুদ্ধ করেছে, রমাদানে প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বাড়িয়ে রোজাদারদের রোজা পালনকে কষ্টসাধ্য করেছে।
তিনি ধর্মপ্রাণ মানুষদের পক্ষে নন তা স্পষ্ট করেছেন। মধ্যবিত্ত থেকে নিম্ন আয়ের মানুষের নিরব কান্না এই অবৈধ সরকারের কানে পৌঁছায় না- কারন তারা নিজেদের প্রভূ মনে করেন। তিনি আরো বলেন, আজকে এবি পার্টি তার সীমিত সাধ্যের মধ্যে প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষকে ইফতার করানোর যে উদ্যোগ নিয়েছে দেশের সামর্থ্যবানদের এই উদ্যোগের প্রতি সমর্থন প্রত্যাশা করি । সভাপতির বক্তব্য শেষে দোয়া ও মোনাজাতের মাধ্যমে গন-ইফতার বিতরন কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষনা করা হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন এবি পার্টির সহকারী সদস্য সচিব মাওলানা আনোয়ার ফারুক।
ইফতার অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন এবি পার্টির সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু, যুগ্ম সদস্য সচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, ব্যারিস্টার যোবায়ের আহমেদ ভূঁইয়া সহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।