জাতির সংবাদ ডটকম।।
বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে বিএনপিসহ সকল বিরোধী দলের আন্দোলনের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করে রাজপথে যুগপৎ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে এনডিএম।
শনিবার বিকেলে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা থেকে নামানোর একমাত্র উপায় হলো রাজপথে গণবিস্ফোরণ।
প্রতিটি মুক্তিকামী জনতার সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে বিগত ১ বছর ধরে এককভাবে বিক্ষোভ মিছিল, লালকার্ড প্রদর্শন, সমাবেশ, গণস্বাক্ষর সংগ্রহ কর্মসূচি, জেলা পর্যায়ে গণসংযোগ ইত্যাদি কর্মসূচি এবং নিজ সাংগঠনিক সক্ষমতায় পালন করে আসছে এনডিএম৷ আমাদের প্রতিটি কর্মসূচি থেকে আমরা এই সরকারের দুর্নীতি, দুঃশাসন, ভোট চুরি, দলীয়করণ, অর্থপাচার এবং দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে নীল নকশার বিরুদ্ধে বলে আসছি। হঠাও মাফিয়া, বাঁচাও দেশ শ্লোগান ছিলো আমাদের।
সময় এসেছে এই দানব সরকারের বিরুদ্ধে সব প্রতিবাদী শক্তিগুলোর একই সুরে কথা বলার৷ চলমান সরকার বিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল- বিএনপির সাথে গতকাল দলটির চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ে আমরা যৌথ মিডিয়া ব্রিফিং করেছি৷ সেখান থেকে আমরা পরিষ্কার বলেছিলাম, এই সরকারের পতনের ১ দফা আন্দোলনে এনডিএম বিএনপির সাথে যুগপৎভাবে মাঠে থাকবে। এই ঘোষণা দেবার পর থেকেই সরকারের বিভিন্ন সংস্থা আমাদের সিনিয়র নেতৃবৃন্দকে নানাভাবে হুমকি এবং ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে। আমরা কোনভাবেই এই সরকারের মিথ্যা গর্জন আর রক্তচক্ষুকে ভয় করি না৷
আওয়ামী লীগ সরকার একটি আগাম নির্বাচনের পাঁয়তারা করছে৷ ১৪ দলের সাথে দীর্ঘ ১৬ মাস পর আওয়ামী সভানেত্রী বৈঠক করে আশ্বাস দিয়েছেন ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত করতে সরকার সব ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। বিএনপিসহ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে বাইরে রেখে তাঁরা অস্ত্র আর ক্ষমতার জোরে নির্বাচন অনুষ্ঠিত করতে চাচ্ছে৷ ১৪ দলকে আদর্শিক জোট বলা হলেও এটা মূলত ভোটচুরির জোট, অর্থ পাচারের জোট, ইসলামকে কটাক্ষ করার জোট এবং আওয়ামী আধিপত্যকে ধরে রাখার জোট। তবে খুব শীগ্রই তারুণ্যের প্রতিরোধে এবং জনরোষের উত্তাপে এই জোটের অস্তিত্ব ধূলিসাৎ হয়ে যাবে৷
এনডিএম কখনোই সহিংসতাকে সমর্থন করে না৷ তবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের যেভাবে উস্কানিমূলক কথাবার্তা বলছেন তাতে যেকোন পরিস্থিতির জন্য সরকারই দায়ী থাকবে৷ উন্নত বিশ্ব এবং জাতিসংঘ একসাথে এদেশের মানবাধিকার, ভোটাধিকার নিয়ে কথা বলছে৷ এই লজ্জা আমাদের সবার। বর্তমান সরকার আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে বাংলাদেশের ইমেজ বিশ্বের সব স্বৈরতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থার সমান্তরালে নিয়ে এসেছে৷ জনগণের অর্থ খরচ করে যুক্তরাষ্ট্রে তারা লবিষ্ট নিয়োগ করলেই ফলাফল শূন্য৷ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দলকানা উপাচার্য পর্যন্ত কানাডার ভিসা পান নাই৷ এই সরকারের কেউই পালিয়ে বাঁচতে পারবে না৷ বিএনপির সাথে সুর মিলিয়ে আমরা তাঁদের আহবান করছি, সময় থাকতে ক্ষমতা ছাড়ুন৷ পায়জামায় আগুন লাগলে যেমন খুললেও বিপদ আর না খুললে আরও বড় বিপদ, আওয়ামী লীগের অবস্থা এখন ঠিক তেমন৷ শামীম ওসমানরা একসময় বোরখা পড়ে পালিয়েছিলো কিন্তু স্মার্টফোনের এই যুগে সেটা আর সম্ভব নয়৷
বিএনপির সাথে যুগপৎ কর্মসূচি পালনের অংশ হিসাবে আমরা আগামী ২৭ জুলাই, বৃহস্পতিবার, জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে মুক্তির সমাবেশ আয়োজন করব আমরা। এই উপলক্ষে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কাছে শীঘ্রই আবেদন করা হবে৷ এই সমাবেশে যোগ দিতে এনডিএম এর জেলা-উপজেলা পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ ঢাকায় আসা শুরু করেছেন৷ এই সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত আমরা ঘরে ফিরে যাব না ইনশাআল্লাহ।