অন্তর্বর্তী সরকারে আস্থা রাখুন, উপসংহার টানার সময় হয়নি: রিজওয়ানা

শনিবার, অক্টোবর ১৯, ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, বৈষম্যহীন সমাজ ও রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লড়াই শুধু অন্তর্বর্তী সরকারের নয়, এটি আমাদের সবার দায়িত্ব। এটির বাস্তবায়নে নাগরিক সমাজের সহযোগিতা অপরিহার্য। রাষ্ট্রের সংস্কারে নিজেদেরও পরিবর্তন করতে হবে।

শনিবার (১৯ অক্টোবর) রাজধানীর একটি হোটেলে সিএসও অ্যালায়েন্সের আয়োজনে ‘নাগরিক সমাজ: অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক জাতীয় মতবিনিময় সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, রাষ্ট্রের সংস্কারে নিজেদেরও পরিবর্তন করতে হবে। সরকারের কোনও উদ্যোগে ঘাটতি থাকলে তা উল্লেখ করতে হবে। বৈষম্যহীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় সরকার ও বিভিন্ন কমিশন আলাপ-আলোচনা করছে। তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত করা হচ্ছে। বিভিন্ন আন্দোলনকারীদের মুখপাত্রদের সাথে কথা বলা হচ্ছে। সরকারের প্রতি আস্থা রাখতে হবে। প্রথাগত সরকার থেকে বর্তমানে সবকিছু ভিন্নভাবে পরিচালিত হচ্ছে।

পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, নাগরিক সমাজ ও বেসরকারি সংস্থার অবদান রাষ্ট্রের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের কমিউনিটির বন্ধন আরও দৃঢ় করতে হবে।

জিএনসিসির বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। পরবর্তী কেবিনেটে এ বিষয়ে কথা হবে। এনজিওগুলোর আত্মনুসন্ধানের প্রয়োজন রয়েছে। এনজিও ব্যুরোকে স্বচ্ছ হতে হবে। আমাদের নিজেদের পরিচয় ধরে রাখতে হবে। সমষ্টিগতভাবে ভাবতে হবে। নাগরিক সমাজ ও বেসরকারি সংস্থাকে অগ্রাধিকার ঠিক করে কাজ করতে হবে।

অনুষ্ঠানে সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা, ক্যাম্পের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে. চৌধুরী, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ড. হোসেন জিল্লুর রহমান, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ও দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিশনের প্রধান ড. ইফতেখারুজ্জামান, সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম এবং ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহসহ অন্যান্য অতিথি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।

এই অনুষ্ঠানে নাগরিক সমাজ ও বেসরকারি সংস্থার (এনজিও) গুরুত্বপূর্ণ অংশীদাররা অংশগ্রহণ করেন।