জাতির সংবাদ ডটকম: অব্যবহৃত ডাটা ও টকটাইম ফেরত, বান্ডিল প্যাকেজসহ সিম বিক্রি ও প্রিমিয়াম সিম কালোবাজারি বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত।
বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশনের উদ্যোগে ২৩ মার্চ ২০২৩ইং রোজ বৃহস্পতিবার সকাল ১১.০০টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে “অব্যবহৃত ডাটা ও টকটাইম ফেরত, বান্ডিল প্যাকেজসহ সিম বিক্রি ও প্রিমিয়াম সিম কালোবাজারি বন্ধের দাবিতে” এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি মহিউদ্দীন আহমেদ।
মানববন্ধন কর্মসূচিতে সংগঠনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, গ্রাহকদের দীর্ঘদিনের দাবি এবং আমাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছিল গ্রাহকদের অব্যবহৃত ইন্টারনেট ডাটা ও টকটাইম ফেরত প্রদান করার জন্য। পরবর্তীতে ডাক ও টেলি যোগাযোগমন্ত্রী গতবছরের ২ আগস্ট নির্দেশ প্রদান করেছিলেন গ্রাহকদের অব্যবহৃত ডাটা ফেরত প্রদান করার জন্য। বিটিআরসি থেকেও নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছিল। দুটি শর্ত ছিল যে গ্রাহকদের একই প্যাকেজ অথবা মেয়াদ শেষ হবার আগে আগে একই প্যাকেজ রিচার্জ করতে হবে। তাদের এই কঠিন সমীকরণের কারণে গ্রাহকরা এই নির্দেশনার কোন সুফল ভোগ করতে পারেনি আজ অবধি। ধরা যাক একজন সাধারণ গ্রাহক ৩৬, ৪৬ বা ৫৬ টাকায় ১ জিবি বা ১.৫ জিবি ডাটা ক্রয় করে যার মেয়াদ থাকে তিন দিন অথচ সেই গ্রাহক অফিস এবং বাসায় ওয়াইফাই ব্যবহার করার কারণে হয়তো ৫০০ এমবি ব্যবহার করল অথচ তার অব্যবহৃত তিন দিনের মধ্যে মেয়াদ নির্দিষ্ট থাকায় সেই ডাটা আর ব্যবহার করতে পারছে না। এখন একজন গ্রাহককে এ সকল শর্ত আরোপ করার কারণে তাকে খাতা-কলমে হিসাব করে ব্যবহার করতে হবে যা এক প্রকার হাস্যকর। আমাদের বক্তব্য হচ্ছে যে কোন মেয়াদের যেকোন প্যাকেজ গ্রাহক ক্রয় করবে এবং তার পূর্বের ব্যবহৃত ডাটা সেই প্যাকেজের সাথে যুক্ত হবে। এবং এর ব্যালেন্স শিট গ্রাহককে মেসেজের মাধ্যমে জানাতে হবে। এর পাশাপাশি আমরা লক্ষ্য করছি যে দেশের শীর্ষস্থানীয় অপারেটর জিপি সেন্টার থেকে ০১৭১১ সিরিজের সিম বিক্রি হচ্ছে সিমের মূল্য ৩০০ টাকা কিন্তু সাথে ৪৪০০ টাকা রিচার্জে বান্ডেল মিনিট কিনতে হচ্ছে বাধ্যতামূলক! মোট সিমের দাম নিচ্ছে ৪৭০০ টাকা এই রিচার্জের ৪৪০০ টাকা ব্যালেন্স শো করে না!! এই টাকায় গ্রাহক ৬ মাসে ৭২০০ মিনিট পাবে, প্রতিমাসে ১২০০ মিনিট করে। এখন যদি গ্রাহক ৩ মাস পর গঘচ করে তাহলে তার মিনিট বাতিল যাবে গঘচ করার সাথে সাথে সিম কিনতে হলে ৬ মাস মেয়াদি টকটাইম কেনা বাধ্যতামূলক এটা কোন আইনে জিপি বিক্রি করে? ৬ মাসের মধ্যে গ্রাহক অন্য অপারেটরের গঘচ করতে পারবে না নীতিগত ভাবে করলে তার রিচার্জে বান্ডেল মিনিট পাবে না যা কোনভাবেই কাম্য নয়। আমাদের বক্তব্য হচ্ছে এ সকল বান্ডেল প্যাকেজ বাতিল করতে হবে এটি একপ্রকার মনোপলি যা বাজার তাৎপর্য প্রবিধান ২০১৮ এর পরিপন্থী। আমরা আরো লক্ষ্য করছি যে,
ক্স গ্রাহক প্রিমিয়াম সিরিজের সিম কিনতে পারছে না অপারেটরের কতিপয় কর্মকর্তা কর্মচারির সেন্ডিকেটের কারনে গ্রাহক অপারেটরের কাষ্টমান কেয়ারে সিম কিনতে গেলে জানানো হয় এমন সিরিজের সিম তাদের কাছে ষ্টকে নাই।
ক্স বিভিন্ন অনলাইন গ্রুপে দেখা যায় সিম বিক্রিয় জন্য উচ্চ মূল্যে পোষ্ট দেয়া হাজার হাজার প্রিমিয়াম সিরিজের নাম্বার, যা বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইন ২০০১ এবং বিটিআরসি এর নির্দেশনার পরিপন্থী।
ক্স অনেক গ্রাহক এভাবে অনলাইনে সিম কিনতে গিয়ে প্রতারিত হয়েছে, এই নিয়ে ফনপ হবংি ঃা এই নিয়ে প্রতারিত একাদিক গ্রাহক নিয়ে নিউজ করেছে।
ক্স অনুসন্ধানে দেখা যায় সারা দেশে অনলাইন সিম বিক্রি সেন্ডিকেট নিয়ন্রণ করে ৭/৮ জন ব্যক্তি, বলে আমরা জানতে পেরেছি।
তাদের আবার নিজেদের সেন্ডিকেট সেলার কোড আছে! এই সিন্ডিকেট এর একাদিক সেলার এই সিমের উৎস সম্পর্কে বলে থাকে এগুলো অপারেটরের কর্মকর্তা/কর্মচারী সিম লগ, ষ্টক হাউজ, কাষ্টমার কেয়ার থেকে সরাসরি তাদের মাধ্যমে উচ্চ মূল্যে বিক্রির জন্য প্রিমিয়াম সিরিজেন সিমগুলো দিয়ে থাকে। তারা এই সিম গুলো অনলাইনে তাদের তৈরি বিভিন্ন গ্রুপে এ্যাড দিয়ে বিক্রি করলে দিলে তাদের একটা নির্দিষ্ট টাকা কমিশন দেয় ঐ সকল কর্তারা। এ সকল কালোবাজার দের দ্রুত আইনের আওতায় আনার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আমরা সবাই অনুরোধ করছি এবং সেই সাথে নিয়ন্ত্রণ সংস্থাকে প্রয়োজনে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সবিনয় অনুরোধ জানাচ্ছি।
সংগঠনের কেন্দ্রীয় সদস্য মিতা রহমান, দপ্তর সম্পাদক শেখ ফরিদ, ডা. আমিনুল, এড. সাহেদা বেগম, মোবাইল ফোন রিচার্জ সমিতির সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলু, গণসংহতির কেন্দ্রীয় নেতা বাচ্চু, মানবাধিকার সংগঠনের নেতা সোহেল আহমেদ মৃধা, আবুল কাশেম মজুমদার প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সাধারণ গ্রাহকরাও তাদের অভিযোগ উত্থাপন করেন।