অশ্রুসিক্ত চোখে নতুন ঠিকানায় পগবা

সোমবার, জুন ৩০, ২০২৫

ক্রীড়া ডেস্ক: ডোপিং নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে প্রতিযোগিতামূলক ফুটবলে ফিরতে যাচ্ছেন ফরাসি মিডফিল্ডার পল পগবা। ফরাসি ক্লাব এএস মোনাকোর সঙ্গে ২০২৭ সালের জুন পর্যন্ত চুক্তি সই করেছেন তিনি।৩২ বছর বয়সী এই ফুটবলারের সঙ্গে দুই বছরের চুক্তির কথা জানিয়েছে ফরাসি ক্লাবটি।

জুভেন্টাসে খেলার সময় ২০২৩ সালের আগস্টে সেরি আয় উদিনেজের বিপক্ষে ম্যাচের পর দৈবচয়ন ভিত্তিতে করা পগবার নমুনা পরীক্ষায় উচ্চমাত্রার টেস্টোস্টেরোনের উপস্থিতি পাওয়া যায়। সেই কারণে ওই বছরের সেপ্টেম্বরে তাকে সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ করা হয়। পরে ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে তাকে চার বছরের জন্য নিষিদ্ধ করে ইতালির জাতীয় ডোপিং-বিরোধী ট্রাইব্যুনাল আর সেটা কার্যকর ধরা হয় আগের বছরের সেপ্টেম্বর থেকেই।

‘কোনো অন্যায় করেননি’ জানিয়ে ওই শাস্তির বিরুদ্ধে আপিল করেন ফ্রান্সের ২০১৮ সালের বিশ্বকাপজয়ী পগবা। আপিলে তার শাস্তি কমে আসে ১৮ মাসে। সেই নিষেধাজ্ঞা শেষ হয় গত মার্চে। নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে পারিশ্রমিক কমিয়ে হলেও জুভেন্টাসের হয়ে আবার খেলতে মরিয়া ছিলেন পগবা। কিন্তু গত নভেম্বরে ‘পারস্পরিক সমঝোতায়’ তার সঙ্গে চুক্তি শেষের ঘোষণা দেয় জুভেন্টাস। ইতালিয়ান ক্লাবটিতে তার চুক্তির মেয়াদ ছিল ২০২৬ সালের জুন পর্যন্ত।

থমকে থাকা ক্যারিয়ার পুনরুজ্জীবিত করার লক্ষ্যে এবার তিনি নাম লেখালেন মোনাকোয়। ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো নিজ দেশের শীর্ষ লিগে খেলবেন তিনি। পগবার ক্যারিয়ার শুরু হয় ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে। সেখান থেকে ২০১২ সালে পাড়ি জমান জুভেন্টাসে। সেখানে প্রথম মেয়াদে দারুণ সফল ছিলেন তিনি। মাঝমাঠে দারুণ নৈপুণ্যের পাশাপাশি চার বছরে গোল করেন ৩৪টি ও অ্যাসিস্ট ৩২টি। চার মৌসুমেই সেরি আ জয়ের পাশাপাশি স্বাদ পেয়েছিলেন আরও কয়েকটি শিরোপার।

এরপর ২০১৬ সালে ৮ কোটি ৯০ লাখ পাউন্ড ট্রান্সফার ফিতে ইউনাইটেডে ফেরেন তিনি। তবে ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে সময়টা ভালো কাটেনি তার। ইউনাইটেডে ফেরার পর প্রথম মৌসুমটা অবশ্য ভালোই কেটেছিল পগবার। জিতেছিলেন এফএ কাপ ও ইউরোপা লিগ। এরপর তার ছন্দপতন হয়। জাতীয় দল ও ইউভেন্তুসে যে মানের পগবাকে দেখা গেছে, তা দেখা যায়নি ইউনাইটেডের জার্সিতে।

ইংলিশ ক্লাবটিতে ছয় মৌসুম কাটানোর পর ২০২২ সালে ফ্রি ট্রান্সফারে পুরোনো ঠিকানা জুভেন্টাসে ফেরেন পগবা। তবে এ যাত্রায় তুরিনের ক্লাবটিতে যাওয়ার পর একের পর এক চোটে খুব বেশি ম্যাচ তিনি খেলতে পারেননি। তারপরই নেমে আসে ওই নিষেধাজ্ঞার খড়্গ। এখন তার সামনে নতুন চ্যালেঞ্জ। চ্যাম্পিয়ন পিএসজি ও মার্সেইয়ের পেছনে থেকে গত মৌসুমে ফ্রান্সের শীর্ষ লিগে তৃতীয় হয় মোনাকো।