জাতির সংবাদ ডটকম।।
প্রকৃতির নিয়মেই শীত আসে। আর শীত আসলেই চোখে পড়ে ছিন্নমূল ও অসহায় মানুষদের হাড়কাঁপানো কষ্ট। দেশব্যাপী এমন অসহায় দুস্থ ও ছিন্নমূল মানুষের মধ্যে শীতবস্ত্র কম্বল বিতরণ শুরু করেছে বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন পাথওয়ে।
পাথওয়ের স্বেচ্ছাসেবী কর্মীরা রাতভর রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে একযোগে শীতবস্ত্র কম্বল বিতরণ কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেছে। শীতার্ত মানুষদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে পৌঁছে দিচ্ছে কম্বল। কম্বল বিতরণে পাথওয়ে এবার গ্রহণ করেছে ব্যতিক্রমী এক উদ্যোগ। যার মধ্যে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করছেন তৃতীয় লিঙ্গের মানুষও।
পাথওয়ের স্বেচ্ছাসেবক মানিক জানান, প্রতিষ্ঠার পর থেকেই প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নের পাশাপাশি শীতার্ত ও বন্যার্তসহ যে কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ-মহামারিতে ক্ষতিগ্রস্ত ও অসহায় মানুষদের পাশে থেকে কাজ করে আসছে পাথওয়ে। প্রতি বছরের ন্যায় এবছরও শীতবস্ত্র বিতরণ করছে পাথওয়ে। এ বছরে ভিন্ন আঙ্গিকে রাতভর ঘুরে ঘুরে অসহায় ছিন্নমূল শীতার্ত মানুষদের গায়ে জড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে কম্বল।
শীতবস্ত্র বিতরণের বিষয়ে পাথওয়ের নির্বাহী পরিচালক মো. শাহিন বলেন, প্রতি বছর গরিব অসহায়দের জন্য এক কষ্টের বার্তা নিয়ে আসে শীত। তবে তাদের পাশে দাঁড়াতে দেখা যায় কম সামর্থ্যবানদের। অসহায় দুঃখীদের মুখে হাসি ফোটাতে পারা এক ভিন্ন অনুভূতি। আমরা এবার পরিকল্পনা করে রাজধানীসহ দেশের অধিক শীতপ্রবণ অঞ্চলের দুস্থ ও অসহায় শীতার্তদের দ্বারে পৌঁছে জড়িয়ে দিচ্ছি কম্বল। পর্যায়ক্রমে অঞ্চলভেদে পুরো শীতেই কম্বল বিতরণ কার্যক্রম চলমান থাকবে। সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষদের কল্যাণে সবাই এগিয়ে আসলে হাসি ফোটবে সবার মুখে।
করোনাকালীন জনসচেতনতা বাড়ানোর জন্য লিফলেট, মাস্ক, হ্যান্ড স্যানেটাইজার বিতরণ করেছে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা পাথওয়ে। এছাড়াও করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি নিজ খরচে বিভিন্ন হাসপাতালে পৌঁছে দেওয়া, বিনামূল্যে মৃত ব্যক্তিদের গোসল ও দাফনের মতো মানবিক কাজও করে পাথওয়ে টিম।
এছাড়া করোনা আক্রান্ত গণমাধ্যমকর্মী ও তাদের পরিবারকে ফ্রি অ্যাম্বুলেন্স সেবা, ছিন্নমূল খেটে খাওয়া মানুষ, পরিবহন শ্রমিক, তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠী, প্রতিবন্ধী ব্যক্তি, পরিবার ও করোনাকালীন যারা চাকরি হারিয়েছেন সেসব পরিবারের পরিচয় গোপন রেখে খাদ্য সামগ্রী বাসায় পৌঁছে দিয়েছে সংস্থাটি। উপকূলীয় জেলে পরিবার ও নদী পাড়ের মানুষের পাশেও ছিল।