আন্তর্জাতিক ডেস্কঃসামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া মিথ্যা তথ্য ঠেকাতে নতুন আইন পাশ করছে অস্ট্রেলিয়া। তবে এই আইনের আওতায় অনলাইনে ভুল তথ্যের বিস্তার ঠেকাতে ব্যর্থ হলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোকে জরিমানা করার বিধান রাখা হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার এমন পদক্ষেপের পর দেশটির সরকারকে ‘ফ্যাসিস্ট’ আখ্যা দিয়েছেন মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্ক।
বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) অস্ট্রেলিয়ার সংসদে প্রস্তাবিত আইনটিতে ভুল তথ্য ছড়ালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোর বৈশ্বিক আয়ের ৫ শতাংশ পর্যন্ত জরিমানা করতে পারবে দেশটির সরকার।নিজের এক্স হ্যান্ডেলে মাত্র একটা শব্দ লিখে একটি পোস্ট দেন ইলন। সেই শব্দটি ছিল ‘ফ্যাসিস্ট’। অর্থাৎ ফ্যাসিবাদী।
প্রস্তাবটিতে বলা হয়েছে, অনলাইনে ভুল তথ্য ছড়ানোর বিষয়টি প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্ট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম কোম্পানিকে তার বৈশ্বিক আয়ের ৫ শতাংশ পর্যন্ত জরিমানা করতে পারবে সরকার।
অস্ট্রেলিয়ার যোগাযোগমন্ত্রী মিচেল রোল্যান্ড বলেন, ভুল তথ্য, বিভ্রান্তি অস্ট্রেলীয়দের নিরাপত্তা ও সুস্থতার পাশাপাশি আমাদের গণতন্ত্র, সমাজ ও অর্থনীতির জন্য মারাত্মক হুমকি সৃষ্টি করছে। এই সমস্যা আর বাড়তে দেওয়া যায় না।
প্রস্তাবিত আইনে কঠিন শর্ত থাকায় অস্ট্রেলিয়া সরকারের ওপর বেশ চটেছেন এই মুহূর্তে বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সের (পূর্বে টুইটার) মালিক ইলন মাস্ক। শুধু তাই নয়, বিতর্কিত এই আইনের জন্য দেশটির সরকারকে ফ্যাসিবাদীও বলেছেন তিনি।
অস্ট্রেলিয়ার সরকারি পরিষেবা মন্ত্রী বিল শর্টেন মাস্কের এই মন্তব্য প্রত্যাখ্যান করেছেন। সেই সঙ্গে তিনি টেসলার সিইও’র এমন মন্তব্য বাকস্বাধীনতার সঙ্গে ‘অসঙ্গতিপূর্ণ’ বলে দাবি করেছেন।
গত এপ্রিল মাস থেকে অস্ট্রেলিয়া সরকারের সঙ্গে ইলন মাস্কের দ্বন্দ্ব চলছে। সেই সময় সিডনিতে এক খ্রিস্টান ধর্মপ্রচারককে ছুরিকাঘাতের বিষয়ে কিছু পোস্ট অপসারণের জন্য এক্সকে নির্দেশ দেয় আলবানিজ সরকার। তবে আদালতে সরকারের সেই আদেশকে চ্যালেঞ্জ করে এক্স। তখন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী আলবানিজ ইলন মাস্ককে ‘উদ্ধত ধনকুবের’ বলে মন্তব্য করেন।