
জাতির সংবাদ ডটকম।।
আজ যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন “রাইট টু ফ্রিডম” এর সাথে মতবিনিময় করেছে আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি)। “রাইট টু ফ্রিডম” এর প্রেসিডেন্ট ও ১৯৯০–এর দশকের গোড়ার দিকে বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের দূত উইলিয়াম বি মাইলাম এবং নির্বাহী পরিচালক ও ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক উপ-রাষ্ট্রদূত জন ড্যানিলোউইচ দুপুর ১২.৩০ টায় মতবিনিময় উপলক্ষে এবি পার্টি’র কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আসেন। এসময় তাদেরকে স্বাগত জানান এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু, সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ সহ পার্টির সিনিয়র নেতৃবৃন্দ।
মতবিনিময় শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ। তিনি বলেন, “রাইট টু ফ্রিডম” এর প্রতিনিধি দল বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, আগামী নির্বাচন, ভারতের ক্রমাগত বাংলাদেশ বিদ্বেষী প্রোপাগান্ডা, আওয়ামীলীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ নিয়ে এবি পার্টির অবস্থান, বর্তমান সরকারের সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে এবি পার্টির চিন্তা ও গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্বদানকারী ছাত্রপ্রতিনিধিদের সমন্বয়ে নবগঠিত রাজনৈতিক দলের সাথে এবি পার্টির সম্পর্ক নিয়ে জানতে চান।
ব্যারিস্টার ফুয়াদ বলেন, প্রতিনিধিদলকে আমরা বলেছি ভারত বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নিয়মিত মিথ্যা প্রোপাগান্ডা চালিয়ে যাচ্ছে, যেটাতে বিভ্রান্ত না হয়ে বাংলাদেশের ব্যাপারে আমেরিকা গণঅভ্যুত্থান সহ অন্যান্য বিষয়ে যেভাবে পজিটিভ ভুমিকা রেখেছে আগামীতেও সেভাবে আমেরিকা বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে ভুমিকা যেন অব্যাহত রাখে। তিনি বলেন, আওয়ামীলীগের রাজনীতি নিষিদ্ধের ব্যাপারে জাতীয় ঐক্য কমিশনের উদ্যোগে সকলের ঐক্যমতের প্রতি এবি পার্টি গুরুত্ব দিচ্ছে। আমরা চাই নির্বাচন, সংস্কার সহ বিভিন্ন বিষয়ে জাতি ঐক্যবদ্ধ ভাবে সিদ্ধান্ত নিবে। দীর্ঘদিন আমরা বিভেদ আর বিভাজনের রাজনীতি দেখেছি, আর নয় বিভেদ বিভাজন ভুলে এখন আমাদের ঐক্যবদ্ধ ভাবে দেশ পুনর্গঠনে অংশ নিতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে মাগুরায় শিশু নির্যাতনের বিষয় নিয়ে ব্যারিস্টার নাসরিন সুলতানা মিলি বলেন, শুধু নারী নিরাপত্তার বিষয় নয় নাগরিক নিরপাত্তাকে আমাদের মুল আলোচনায় আনতে হবে। তিনি অবিলম্বে নারী ও শিশু নির্যাতন বন্ধে সরকারকে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানান।
এসময় এবি পার্টির নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার যোবায়ের আহমেদ ভুইয়া, ব্যারিস্টার সানী আব্দুল হক, মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা ফারাহ নাজ সাত্তার ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সদস্য হাজরা মাহজাবিন।