
জাতির সংবাদ ডটকম।।
জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য এটিএম আজহারুল ইসলাম বলেছেন, আওয়ামী লীগ জন্মগতভাবেই ইসলাম বিদ্বেষী। কারণ স্বাধীনতার পর তিনমাস ধরে কোনো মসজিদে আজান হয়নি। সকল মাদ্রাসা ও এতিমখানা তারা বন্ধ করে দিয়েছিল। ইসলাম নিধনে এমন কোনো কাজ নেই যে আওয়ামী লীগ করেনি। তারা ইসলামকে শত্রু মনে করেছিল। এ কারণে আলেম-ওলামাদের বিরুদ্ধে সব সময় তারা লেগেছিল। ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা দিয়ে অহেতুক গ্রেপ্তার করে জেলখানায় রেখে নির্যাতন করেছিল।
শনিবার বিকেলে রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলা কামিল মাদ্রাসা মাঠে জামায়াতের যুব বিভাগের যুব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, যুবকরা এদেশের সম্পদ এই যুবকরা পারে দেশকে বদলিয়ে দিতে। ১৯৭১ সালে যুবকরা যুদ্ধ করে বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছিল। কিন্তু ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের কারণে যুবকরা স্বাধীনতার সুফল ভোগ করতে পারেনি। সেই স্বৈরাচার খুনি আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ২০২৪ এর জুলাই আগস্টে ছাত্র-জনতার সাথে যুবকরা একত্রিত হয়ে আওয়ামী লীগ তাদের দোসরদের তাড়িয়ে বাংলাদেশকে নতুন করে স্বাধীন করেছে। এই স্বাধীনতাকে রক্ষা করতে যুবকদেরকেই প্রধান ভূমিকা পালন করতে হবে। যুবকরা ছাড়া দেশের অগ্রগতি তরান্বিত করা সম্ভব নয়।
এটিএম আজহার আরো বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকতে প্রতিদিন জঙ্গি ধরতো। জঙ্গি নাটক সাজাতো। এখন আর কোনো জঙ্গি পাওয়া যাচ্ছে না তাহলে জঙ্গিরা গেলো কোথায়। আসলেই জঙ্গি নাটকটি ছিল ভারতের প্রেসক্রিপশনে আওয়ামী লীগের ইসলাম নিধনে একটি বড় হাতিয়ার। তারা জঙ্গি নাটক সাজিয়ে আলেম-ওলামাসহ ইসলামিক পক্ষের শক্তিগুলোর নেতৃবৃন্দকে নিঃশেষ করার কৌশল এটে ছিল। তারা মিথ্যা ট্রাইবুনাল বানিয়ে যুদ্ধ অপরাধ নাম দিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ৫ জন নেতাকে ফাঁসির কাছে ঝুলিয়ে এবং পাঁচজনকে জেলখানায় বিনা চিকিৎসায় হত্যা করেছে।
এটিএম আজহারুল ইসলাম বলেন, আমি যখন বাংলাদেশের জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কমিটির ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল নির্বাচিত হলাম। তার কিছুদিনের মধ্যেই আমাকে ধরে নিয়ে যাওয়া হল। জামিনে বেরিয়ে আসার পরে বাসায় আমাকে গৃহবন্দী করে কোনো মামলা না থাকায় যুদ্ধাপরাধী সাজিয়ে মিথ্যা ট্রাইব্যুনালে মিথ্যা সাক্ষী বানিয়ে ফাঁসির রায় দেওয়া হল। কিন্তু মহান আল্লাহ আমার হায়াত রাখায় আমি নতুনভাবে জীবন ফিরে পেয়েছি।
ভারত প্রসঙ্গে এটিএম আজহার বলেন, তিনদিক দিয়ে বাংলাদেশকে ঘিরে রেখেছে ভারত। ভারত সবসময় নিজের স্বার্থ হাসিলের জন্য বাংলাদেশকে ব্যবহার করতে চায়। এ কারণে তারা ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগকে পছন্দ করে তাদেরকে দিয়ে তাদের স্বার্থ হাসিলও করেছে। ভারত আমাদের ভালো চাইলে তিস্তার পানি দিত। তারা বন্যার সময় তিস্তায় অতিরিক্ত পানি দিয়ে আমাদের ক্ষতি করে। খরার সময় পানি আটক করে তিস্তাকে মরুভূমি বানায়। ভারত কখনো আমাদের বন্ধু ছিল না কখনো বন্ধু হতে পারেও না। ভারত থেকে আমাদেরকে সাবধান থাকতে হবে।
তারাগঞ্জ জামায়াতে ইসলামীর যুব বিভাগের সভাপতি কাজী সামছুল হুদার সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা জামায়াতের আমির এনামুল হক। সাবেক নায়েবে আমির মাওলানা নুর হোসাইন, মাওলানা আব্দুল হান্নান খান, উপজেলা আমির কামরুজ্জামান ও আলমগীর হোসেনসহ জামায়াতের নেতৃবৃন্দ।