
জাতির সংবাদ ডটকম।।
আমাদের ধনী গরীবের মধ্যকার যে ফারাক সেটা গ্রহণযোগ্য নয়। এখানে অনেকে খাবার অপচয় করছে, অন্যদিকে কেউ পরিত্যক্ত খাবার কুড়িয়ে খাচ্ছে, এটা তো হওয়ার কথা ছিলো না। স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরেও এই ধরনের অর্থনৈতিক বৈষম্য মেনে নেওয়া যায় না। আমার বাংলাদেশ পার্টি সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচার প্রতিষ্ঠার রাজনীতি করছে। এখানে উপস্থিত অনেক মানুষই ভাসমান হিসেবে পরিচিত। যে স্বপ্ন ও লক্ষ্য নিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিলো সেখানে ভাসমান পরিচয়ে কারো থাকার কথা ছিলোনা। এবি পার্টি আপনাদের পরিচয় ফিরিয়ে দিতে লড়াই করছে বলে জানান গণইফতারের প্রধান অতিথি ডিসেন্ট ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ হুমায়ুন কবির।
আজ আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টি আয়োজিত চলমান গণইফতারের ২২ তম দিনে পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলতাফ হোসাইন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন কৃষি উদ্যেক্তা আবুল হোসেন মিলন। এবি পার্টির নেতৃবৃন্দের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল হালিম খোকন, যুগ্ম সদস্য সচিব বারকাজ নাসির আহমদ, পল্টন থানা আহবায়ক আবদুল কাদের মুন্সী, যাত্রাবাড়ী থানার আহ্বায়ক আরিফ সুলতান।
সভাপতির বক্তব্যে পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলতাফ হোসাইন বলেন, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার পর থেকে এ পর্যন্ত যারাই দেশ শাসন করেছে, প্রতিটি শাসকই বাংলাদেশকে দূর্নীতির স্বর্গরাজ্যে পরিণত করেছেন। জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে আমরা গোটা দেশকে ঢেলে সাজানোর সুযোগ পেয়েছি। এই সুযোগ আমাদের কাজে লাগাতে হবে। আর কোন চোর বাটপারের হাতে আমরা দেশকে তুলে দিবো না। দূর্নীতি নামক ক্যান্সার রাষ্ট্রের প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে ফেলেছে। আগামী নির্বাচনে দূর্নীতিবাজদের লাল কার্ড দেখিয়ে দিতে হবে। বাংলার মানুষকে সতর্ক থাকতে হবে যাতে আর কোন দূর্নীতিবাজ রাষ্ট্র ক্ষমতায় না আসতে পারে। বিগত ১৬ বছর আমরা এক জালিমের শাসনে ছিলাম । কতো মানুষকে জালিম হাসিনা গুম- খুন করেছিলো,আয়নাঘরে রেখেছিলো তার হিসাব এখনো অজানা। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে হেলিকপ্টার থেকে গুলি করেও হাসিনা তার পতন ঠেকাতে পারে নি। বাংলাদেশ থেকে পালিয়েও ভারতে বসে সাইকোপ্যাথের ন্যায় আচরণ করছে। বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করার কোন অধিকার নাই। এদেশের মানুষ হাসিনাকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছে।
গণ ইফতার অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন এবিপার্টির স্বেচ্ছাসেবা ও জনকল্যাণ বিষয়ক সহ সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন রমিজ, কেফায়েত হোসাইন তানভীর,সহ প্রচার সম্পাদক রিপন মাহমুদ, আজাদুল ইসলাম আজাদ, সহ দপ্তর সম্পাদক শরন চৌধুরী, আব্দুল হালিম নান্নুসহ মহানগরীর বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।