
জাতির সংবাদ ডটকম।।
আজ আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস। এই উপলক্ষে আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি) শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছে জাতির সেই সকল সাহসী সন্তানদের যারা শান্তিরক্ষী মিশনে দায়িত্ব পালনকালে নিজেদের জীবন বিলিয়ে দিয়েছেন। আমরা সেই ১৬৮ জন বীর শহীদের রুহের মাগফিরাত কামনা করছি ও একইভাবে স্মরন করছি শত শত আহত সশস্ত্র ও পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের; পরিবারবর্গের জন্য রইলো প্রানঢালা সহমর্মিতা।
আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষী দিবস উপলক্ষে দিবস উপলক্ষে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বার্তায় এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু ও সদস্য সচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তারা শ্রদ্ধা ও সহমর্মিতার কথা জানান।
নেতৃবৃন্দ বলেন, আন্তর্জাতিক শান্তি রক্ষায় কয়েক যুগ ধরে সেবা ও ত্যাগের অনন্য নিদর্শন হিসেবে জাতিসংঘের হয়ে কাজ করছে বিভিন্ন দেশের শান্তিরক্ষীরা। বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনী ১৯৮৮ সাল থেকে শুরু করে ৩৭ বছর ধরে ৪০টি দেশে বিশ্বশান্তি রক্ষায় নেতৃস্থানীয় অবদান রেখে চলেছে। দেশে দেশে জাতিগত সংঘাত, সন্ত্রাস, হানাহানি রোধে কাজ করছে দৃঢ়তার সঙ্গে। তাদের নিষ্ঠা ও একাগ্রতায় অনেক অশান্ত জনপদে শান্তি ফিরে এসেছে, তারই ফলস্বরূপ আজ জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বর্তমান বাংলাদেশ সর্বোচ্চ শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশ৷ এদেশের পাঁচ শতাধিক নারী সহ প্রায় সাড়ে সাত হাজার শান্তিরক্ষী জাতিসংঘের নয়টি মিশনে বর্তমানে কর্মরত রয়েছেন। বিভিন্ন সময়ে আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষী দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন দেশের মিশনে আত্মত্যাগ করা বাংলাদেশের পাঁচ শান্তিরক্ষীকে ‘দ্যাগ হ্যামারশোল্ড’ পদক দিয়ে সম্মানিত করেছে জাতিসংঘ৷
মাইলের পর মাইল দূরের আফ্রিকার দেশ সিয়েরালিওন স্বীকৃতি স্বরূপ বাংলাকে তাদের দ্বিতীয় রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা দিয়েছে। অশান্ত জনপদে শান্তি প্রতিষ্ঠার পবিত্র দায়িত্ব পালনকালে বাংলাদেশ তার অনেক বীর সেনানীকে হারিয়েছে কিন্তু এই ত্যাগ দায়িত্ব পালনে কখনোই বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়নি।
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের সশস্ত্র ও পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা সততা, নিষ্ঠা ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। স্থানীয় জনগনের সাথে মিশে যাওয়ার ক্ষমতা মিশনে বাংলাদেশি সেনাদের মূল শক্তি। প্রতিটি মিশনেই বাংলাদেশিদের এ দক্ষতা জাতিসংঘ কর্মকর্তাদের মুগ্ধ করেছে। ব্যক্তিগত শৃঙ্খলা, প্রশাসনিক আর সামরিক দক্ষতার জন্য যে কোনো সামরিক কমান্ডারদের কাছে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীরা অপরিহার্য হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে ইউরোপ-আমেরিকান সেনাপতিরা বাংলাদেশি সামরিক কর্মকর্তাদের দক্ষতা ও সাহসিকতায় মুগ্ধ ও আস্থাশীল। শান্তিরক্ষী মিশনে বহুজাতিক বাহিনীতে বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীদের অনন্য অবদান বিশ্বের দরবারে দেশের সুনাম ও মর্যাদা বৃদ্ধি করেছে, যা ভবিষ্যতে আরও বৃদ্ধি পাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তারা।