আন্দোলন দমন করতে যেয়ে সরকার দেশকে চরম সংঘাতের দিকে ঠেলে দিচ্ছে: মির্জা ফখরুল

শনিবার, আগস্ট ৩, ২০২৪

জাতির সংবাদ ডটকম।।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দলীয় সন্ত্রাসী বাহিনীর হাতে অস্ত্র তুলে দিয়ে হত্যা, নির্যাতন করে আন্দোলন দমন করতে যেয়ে সরকার দেশকে চরম সংঘাতের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। প্রতিনিয়তই তারা এই অপরিণামদর্শী কাজ করে নিজেদের ফ্যাসিস্ট চরিত্রের বহিঃপ্রকাশ করছে।

শনিবার রাতে বিএনপির সহ দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব এসব বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজ শনিবারও কুমিল্লা, জামালপুর, সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ছাত্র-জনতার ওপর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও আওয়ামী সন্ত্রাসীরা সশস্ত্র হামলা করেছে। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।’

বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল বলেন, আজ ছাত্র জনতার গণমিছিলেও সরকার আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর ছত্রছায়ায় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা শান্তিপূর্ণ গণমিছিলে নিষ্ঠুর হামলা চালিয়ে নিরীহ ছাত্র-ছাত্রীসহ অসংখ্য মানুষকে আহত করে। ছাত্রীসহ অনেকে গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থায় আছেন। বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী লীগ এই হামলার কাজে তাদের নারী কর্মীদেরকে আন্দোলনরত ছাত্রীদের ওপর নির্লজ্জভাবে লেলিয়ে দিয়েছে। পুলিশের অব্যাহত গ্রেফতার-হয়রানী থেকে রক্ষা পেতে নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকায় মেয়ের জামাতার বাড়ীতে আশ্রয় নেয়া ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি নেতা ও শাহবাগ থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এম এ হান্নান স্থানীয় ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের চাঁদাবাজির মুখে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনে মৃত্যুবরণ করেন গত রাতে। এ ঘটনা শুধু মর্মান্তিকই নয়, হৃদয় বিদারক। দেশের বিভিন্ন জায়গায় এক দিকে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের চাঁদাবাজি, অন্যদিকে পুলিশের গ্রেফতার বানিজ্যে মানুষ অতিষ্ঠ এবং মারাত্মক হয়রানির শিকার হচ্ছেন।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, সমগ্র দেশে, গ্রাম-শহরে যে গণজাগরণ সৃস্টি হয়েছে, সন্ত্রাস, হামলা, মামলা দিয়ে চলমান ছাত্র জনতার আন্দোলন দমানো যাবে না। ছাত্র গণআন্দোলন নিষ্ঠুরভাবে দমন করতে গিয়ে সকল হত্যা, ধ্বংস, নৈরাজ্য ও সঙ্কটের জন্য আওয়ামী লীগ সরকার এককভাবে দায়ী। প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়ে নির্মম, নিষ্ঠুরভাবে শত শত ছাত্র জনতাকে, এমনকি নিষ্পাপ ছোট্ট শিশুদের মর্মান্তিকভাবে গুলি করে হত্যা করে সরকার মানবতাকেই হত্যা করেছে।

তিনি হত্যা, নির্যাতন, দমন, নিপীড়ন, সন্ত্রাস বন্ধ করে ছাত্র জনতার দাবী মেনে নিয়ে আর এক মহুর্ত দেরী না করে, আর কোনো প্রাণ কেড়ে না নিয়ে, আর রক্ত না ঝরিয়ে, সংঘাত সৃস্টি না করে অবিলম্বে খুনী সরকারকে পদত্যাগ করার আহ্বান জানান। তিনি আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও প্রশাসনের প্রতি গণধিকৃত পতনমুখী আওয়ামী লীগের অন্যায় হুকুম অনুযায়ী ছাত্র জনতার ওপর নির্যাতন নিপীড়ন ও গুলি না চালানোর আহ্বান জানান। বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব অন্যায়ভাবে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতারকৃত সাধারণ ছাত্র-জনতাসহ বিএনপি ও অন্যান্য বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তি ও মামলা প্রত্যাহারেরও দাবি করেন।

সংঘাতের দিকে ঠেলে দিচ্ছে: মির্জা ফখরুল

 

 

 

 

জাতির সংবাদ ডটকম।।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দলীয় সন্ত্রাসী বাহিনীর হাতে অস্ত্র তুলে দিয়ে হত্যা, নির্যাতন করে আন্দোলন দমন করতে যেয়ে সরকার দেশকে চরম সংঘাতের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। প্রতিনিয়তই তারা এই অপরিণামদর্শী কাজ করে নিজেদের ফ্যাসিস্ট চরিত্রের বহিঃপ্রকাশ করছে।

 

শনিবার রাতে বিএনপির সহ দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব এসব বলেন।

 

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজ শনিবারও কুমিল্লা, জামালপুর, সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ছাত্র-জনতার ওপর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও আওয়ামী সন্ত্রাসীরা সশস্ত্র হামলা করেছে। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।’

 

বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল বলেন, আজ ছাত্র জনতার গণমিছিলেও সরকার আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর ছত্রছায়ায় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা শান্তিপূর্ণ গণমিছিলে নিষ্ঠুর হামলা চালিয়ে নিরীহ ছাত্র-ছাত্রীসহ অসংখ্য মানুষকে আহত করে। ছাত্রীসহ অনেকে গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থায় আছেন। বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী লীগ এই হামলার কাজে তাদের নারী কর্মীদেরকে আন্দোলনরত ছাত্রীদের ওপর নির্লজ্জভাবে লেলিয়ে দিয়েছে। পুলিশের অব্যাহত গ্রেফতার-হয়রানী থেকে রক্ষা পেতে নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকায় মেয়ের জামাতার বাড়ীতে আশ্রয় নেয়া ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি নেতা ও শাহবাগ থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এম এ হান্নান স্থানীয় ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের চাঁদাবাজির মুখে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনে মৃত্যুবরণ করেন গত রাতে। এ ঘটনা শুধু মর্মান্তিকই নয়, হৃদয় বিদারক। দেশের বিভিন্ন জায়গায় এক দিকে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের চাঁদাবাজি, অন্যদিকে পুলিশের গ্রেফতার বানিজ্যে মানুষ অতিষ্ঠ এবং মারাত্মক হয়রানির শিকার হচ্ছেন।

 

বিএনপি মহাসচিব বলেন, সমগ্র দেশে, গ্রাম-শহরে যে গণজাগরণ সৃস্টি হয়েছে, সন্ত্রাস, হামলা, মামলা দিয়ে চলমান ছাত্র জনতার আন্দোলন দমানো যাবে না। ছাত্র গণআন্দোলন নিষ্ঠুরভাবে দমন করতে গিয়ে সকল হত্যা, ধ্বংস, নৈরাজ্য ও সঙ্কটের জন্য আওয়ামী লীগ সরকার এককভাবে দায়ী। প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়ে নির্মম, নিষ্ঠুরভাবে শত শত ছাত্র জনতাকে, এমনকি নিষ্পাপ ছোট্ট শিশুদের মর্মান্তিকভাবে গুলি করে হত্যা করে সরকার মানবতাকেই হত্যা করেছে।

 

তিনি হত্যা, নির্যাতন, দমন, নিপীড়ন, সন্ত্রাস বন্ধ করে ছাত্র জনতার দাবী মেনে নিয়ে আর এক মহুর্ত দেরী না করে, আর কোনো প্রাণ কেড়ে না নিয়ে, আর রক্ত না ঝরিয়ে, সংঘাত সৃস্টি না করে অবিলম্বে খুনী সরকারকে পদত্যাগ করার আহ্বান জানান। তিনি আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও প্রশাসনের প্রতি গণধিকৃত পতনমুখী আওয়ামী লীগের অন্যায় হুকুম অনুযায়ী ছাত্র জনতার ওপর নির্যাতন নিপীড়ন ও গুলি না চালানোর আহ্বান জানান। বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব অন্যায়ভাবে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতারকৃত সাধারণ ছাত্র-জনতাসহ বিএনপি ও অন্যান্য বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তি ও মামলা প্রত্যাহারেরও দাবি করেন।