ইনসাফ কায়েমকারী ছাত্র, শ্রমিক, জনতার ১৫ দফা দাবি ও প্রতিবাদ সমাবেশ

সোমবার, জানুয়ারি ১৩, ২০২৫

 

মাহিদুল ইসলাম ফরহাদ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি ।।

আজ ১২ রজবুল হারাম শরীফ ১৪৪৬ হিজরি (১৩ জানুয়ারি ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ), সোমবার সকাল ১০টায় চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট কলেজ মোড়ে ইনসাফ কায়েমকারী ছাত্র, শ্রমিক, জনতা একটি প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে। সমাবেশে বক্তারা নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শানে অবমাননাকারীদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ শাস্তি কার্যকর করার দাবি জানান। পাশাপাশি তাঁরা সমাজের শান্তি প্রতিষ্ঠা এবং মুসলিম উম্মাহর মর্যাদা রক্ষার লক্ষ্যে ১৫ দফা দাবি উত্থাপন করেন।

 

 

 

১. নবীজীর শানে বেয়াদবির শাস্তি:

নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শানে বেয়াদবির একমাত্র শাস্তি মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে হবে এবং শরিয়াহ অনুযায়ী এ শাস্তি বাস্তবায়ন করতে হবে।

 

২. শিক্ষা ব্যবস্থা ও পাঠ্যসূচি:

 

দ্বীনি শিক্ষা বাধ্যতামূলক করতে হবে।

 

পাঠ্যবই থেকে ইসলামবিরোধী ও অনৈতিক বিষয়বস্তু বাদ দিতে হবে।

 

সহশিক্ষা, বেপর্দা, ও অপসংস্কৃতি বন্ধ করে দ্বীনি পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।

 

 

৩. বিদ্বেষমূলক সংগঠন নিষিদ্ধ:

ইসকন, সনাতন বিদ্যার্থী সংসদ, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদসহ হিন্দুত্ববাদী সংগঠন নিষিদ্ধ করতে হবে।

 

৪. নেপালে বৌদ্ধ মঠ নির্মাণ পরিকল্পনা:

দেশের জনগণের ট্যাক্সের টাকায় নেপালে বৌদ্ধ মঠ নির্মাণ বন্ধ করতে হবে।

 

৫. ভারতীয় আগ্রাসন প্রতিহত:

ভারতীয় পণ্য বর্জন এবং সীমান্ত হত্যার প্রতিবাদ জানাতে হবে।

 

৬. দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ:

প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য কমিয়ে জনগণের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে আনতে হবে।

 

৭. ভ্যাট ও কর নীতি:

জীবন রক্ষাকারী পণ্যে ভ্যাট বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে।

 

৮. গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি:

শিল্প ও ক্যাপটিভ গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি বন্ধ করতে হবে।

 

৯. উপজাতি ইস্যু:

উপজাতিদের ‘আদিবাসী’ বলা যাবে না এবং পার্বত্য চট্টগ্রামে রাজা প্রথা বাতিল করতে হবে।

 

১০. বেওয়ারিশ কুকুর নিয়ন্ত্রণ:

রাস্তার বেওয়ারিশ কুকুর নিধন এবং কুকুর পূজারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।

 

১১. গণমাধ্যমের অপপ্রচার বন্ধ:

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের প্রকাশনা বাতিল এবং ভারতীয় টিভি চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধ করতে হবে।

 

১২. ইসলামী খিলাফত প্রতিষ্ঠা:

খোলাফায়ে রাশেদীনদের অনুসরণে ইসলামী শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

 

১৩. দ্বীনি দিবসের সরকারি ছুটি:

শবে মেরাজের জন্য ১ দিন এবং শবে বরাতের জন্য ৩ দিনের সরকারি ছুটি ঘোষণা করতে হবে।

 

১৪. যাকাত ব্যবস্থাপনা:

যাকাত ইসলামী নিয়মে খলিফার মাধ্যমে বিতরণ করতে হবে।

 

১৫. পবিত্র সুন্নাহর প্রচার ও বাস্তবায়ন:

সুন্নাহ প্রচারের জন্য কেন্দ্র স্থাপন এবং বিদআত প্রতিরোধ করতে হবে।

 

সমাবেশে বক্তারা বলেন, এই দাবিগুলো বাস্তবায়িত হলে সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠা হবে এবং মুসলিম উম্মাহর মর্যাদা অক্ষুণ্ণ থাকবে।

 

এই প্রতিবাদ ও দাবিসমূহ সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনা করে দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।