
ইবি প্রতিনিধি।।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি ক্লাব ২০২৫ কার্যবর্ষের নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। সদ্য বিদায়ী বিভাগীয় সভাপতি প্রফেসর ড. কাজী মোস্তফা আরীফ ক্লাবের নতুন সভাপতি মনোনীত হয়েছেন। সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মোঃ খাইরুল ইসলাম।
বুধবার (১৬ এপ্রিল) অর্থনীতি ক্লাবের ২০২৪ কার্যবর্ষের সদস্যদের বিদায় এবং ২০২৫ সালের নতুন কমিটির বরণ উপলক্ষে এক বিশেষ সভার আয়োজন করা হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন অর্থনীতি বিভাগের সকল শিক্ষকবৃন্দ।
কমিটির অন্যান্য পদে নির্বাচিতরা হলেন—
কোষাধ্যক্ষ: সহযোগী অধ্যাপক জনাব আব্দুল জলিল পাঠান ,যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক: মো. মেহেদী হাসান শাহ (২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষ)
কমিটির সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন: মো. টগর আহমেদ (২০১৯-২০),জেসিয়া আক্তার তন্নি (২০১৯-২০),মোছা. সানজিদা আক্তার আঁখি (২০২০-২১),ফাহিম ফারদিন (২০২১-২২),মোছা. ছুম্মা খাতুন (২০২১-২২),জোনায়েদ হাসান (২০২২-২৩) খোন্দকার জেরিন তাসনিম (২০২২-২৩),আবু তাহের ভূঁইয়া ফাহিম(২০২৩-২৪),রাবেয়া খন্দকার (২০২৩-২৪)
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন,“আমি আশা করি, অর্থনীতি ক্লাব সামনে আরও ভালো ভালো কাজ উপহার দেবে। ক্লাবের উদাহরণ দেখে অন্যান্য বিভাগ গুলোও তাদের শিক্ষার্থীদের জন্য এমন উদ্যোগ গ্রহণ করবে। আপনারা কখনো পিছপা হবেন না।”
ক্লাবের কোষাধ্যক্ষ সহযোগী অধ্যাপক আব্দুল জলিল পাঠান বলেন,“আমরা এই প্ল্যাটফর্মে নতুন। পূর্ববর্তী কমিটির অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে আমরা সামনে এগিয়ে যেতে চাই। ক্লাবে যেমন স্বচ্ছতা, গণতন্ত্র এবং জবাবদিহিতা রয়েছে, দেশের প্রতিটি সেক্টরেও তেমন স্বচ্ছ ধারা প্রতিষ্ঠিত হোক—এটাই প্রত্যাশা।”
অর্থনীতি বিভাগের সভাপতি ড. পার্থ সারথি লস্কর বলেন, “অর্থনীতি বিভাগ একটি ডাইনামিক বিভাগ। এখানে ছাত্র-শিক্ষক সম্পর্ক অত্যন্ত সুদৃঢ়। বিভাগের কার্যক্রম আরও গতিশীল করতে অর্থনীতি ক্লাব অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।”
নবনির্বাচিত সভাপতি প্রফেসর ড. কাজী মোস্তফা আরীফ বলেন,“একাডেমিক কার্যক্রমের পাশাপাশি অংশগ্রহণমূলক নানা কর্মকাণ্ডে শিক্ষার্থীদের সম্পৃক্ত করতে অর্থনীতি ক্লাব একটি দারুণ প্ল্যাটফর্ম এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ পাবে।”
অনুষ্ঠান শেষে নবনির্বাচিত কমিটির সদস্যদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়। শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে অনুষ্ঠানটি ছিল প্রাণবন্ত ও অর্থবহ।