
মিজানুর রহমান, ইবি প্রতিনিধি:
কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের লালন শাহ হলের ৩৩০ নম্বর কক্ষকে গণরুম থেকে রিডিং রুমে রূপান্তর করে উদ্বোধন করা হয়েছে।
বুধবার (৭ মে) সন্ধ্যায় লালন শাহ হলের রিডিং রুম উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ। এসময় লালন শাহ হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মো. আকতার হোসেন, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. শাহীনুজ্জামান, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. ওবায়দুল ইসলাম বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ইবি শাখার সমন্বয়ক এস এম সুইট, ইবি ছাত্রদলের আহ্বায়ক শাহেদ আহম্মেদ, ইবি ছাত্র শিবিরের সাধারণ সম্পাদক ইউসুব আলী এবং বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মী ও হলের সাধারণ শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
হলের আবাসিক শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, লালন শাহ হলের ৩৩০ নম্বর গনরুম একসময় ছাত্রলীগের টর্চার সেল হিসেবে ব্যবহৃত হতো। একাধিকবার এই রুমে শিক্ষার্থীদের বিভিন্নভাবে র্যাগিংয়ের অভিযোগ ওঠে। পাঁচ আগস্টের পর এই গনরুমকে বাতিল করে পাঠকক্ষ করার পরিকল্পনা করা হয়
লালন শাহ হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মো. আকতার হোসেন বলেন, “পাঁচ আগস্টের পর থেকে আমি শিক্ষার্থীদের জন্য নতুনভাবে কাজ করার সুযোগ পেয়েছি। লালন শাহ হলের ৩৩০ নাম্বার রুম আগে পাঠকক্ষ ছিল। ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে ছাত্রলীগ এটাকে গনরুমে পরিনত করে। ইতিমধ্যে গনরুম বাতিল করেছি এবং গনরুমকে পাঠকক্ষে রূপান্তর করেছি। এখানে আমি চাকরির কিছু বই কিনে দেব এবং আশা করব শিক্ষার্থীরা যেন সময় নষ্ট না করে মনোযোগ দিয়ে পড়াশোনা করে। পাঠকক্ষে সিসিটিভি ক্যামেরা ও পরবর্তীতে এসি লাগানোর পরিকল্পনা আছে। আমার আরও কিছু পরিকল্পনা আছে যা অর্থাভাবে করা সম্ভব হচ্ছে না।”
উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, “ছাত্রদের পড়ালেখা করার জন্য রিডিং রুম প্রতিটা হলের অংশ হওয়া উচিত। বাংলাদেশসহ কমনওয়েলথ ভুক্ত দেশগুলোতে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলো ক্যামব্রিজ মডেলে গড়ে উঠেছে। ছাত্রদের পড়ালেখা করার জন্য রিডিং রুম প্রতিটা হলের অংশ হওয়া উচিত। এখানে ছাত্ররা মনোযোগ দিয়ে পড়াশোনা করবে। আমরা আগামীতে হলের সাথে হাউজ টিউটর’দের থাকার ব্যবস্থা করবো। ছাত্ররা পড়াশোনা করছে কি না হাউজ টিউটররা তা পর্যবেক্ষণ করবে। বর্তমানে কিছু বই পাঠকক্ষে আছে, আমাদের ব্যক্তিগত দান ও প্রশাসনের সহায়তার মাধ্যমে পাঠকক্ষটি আরো সমৃদ্ধ হবে।”