।। শাহ সাবরিনা মোয়াজ্জেম ।।
নতচোখে গুনছি প্রহরের শব্দ।
সজল বারোমাসি চোখ উগরে দিচ্ছে
— দুষ্টু বর্ষা!
উড়াও ঘুড়ি—ক্লান্ত শ্রাবণে!
তবুও তুমি — নিখিলের মনুষ্য জীব।
আজ্ঞাপিত আমার ভুলের মাশুলটা
— যদি আগেই বলে দিতে
শুধরে নিতাম — বাউল শরৎ-হেমন্তে।
এখন সমাপনী বক্তব্য — কেনো মান্যবর?
কোন আদালতে— দাঁড় করালে আমায়?
কোন কলংকের—দায় মেটাতে!?
তোমার গাত্রদাহের কারণ আমি
— কখনোই হতাম না!
নকুলে আমি নয় মান্যবর —!
অনুসরণের দ্বারে —কুটারাঘাত করেছি মাত্র!
তবুও কিছু ভালোবাসা জানায় লিখে লিখে—!
ঊষারতার মাঝে তুমি ছিলে আমার
— এক পশলা বৃষ্টি!
মরূদ্যানের — ফেনিল জলরাশি!
ইনসমনিয়ার—আঁজলা ভরা কুইনাইন!
অনাদরের — অন্বেষা!
পৈশাচিক জীবনের—অনাবিল আনন্দ।
অশুচিত্বের — সফেদ জল।
অচ্ছ্যুত সময়ের—বেলাবেলি!
বেয়াড়াপনার চুড়ান্তে যখন আমি
তুমি আগল মেলে দিলে—মান্যবর।
অলৌকিক কার্যে—তুমি দহন।
অনুপ্রেরণায়—তুমি সফল।
ক্ষুধার রাজ্যে যখন পৃথিবী কুঁকড়ে যেতো
তুমি ছিলে—অন্নদাতা!
আমার দ্রোহকালের তুমিই বার্তাবহ প্রেরণা।
আলোক সহবাসের—উষ্ণ সঙ্গম।
অবশিষ্টের — যা কিছু আহলাদ
তোমার শাণিত কন্ঠে আজ শুনতে হচ্ছে আমি—”ডেথ মেন্টাল!”
মনে রেখো মান্যবর—
যে হৃদয় পঁচনের গন্ধে তিথু হয়ে আসে
সে হৃদয়ের দক্ষিণের বারান্দায়
— হাস্নাহেনা ফোটে!
মৃত্যুর উপত্যকা বেয়ে গড়িয়ে আসে
একটি রক্তাক্ত হৃদয়ের খণ্ডিত দলিল—!
” তোমায় ভালোবাসি অবসাদে!
তোমায় ভালোবাসি মিনতিতে!
তোমায় ভালোবাসি মিছিলে!
তোমায় ভালোবাসি রাজপথে!
তোমায় ভালোবাসি নিগৃহিত হয়ে!
পায়ে পায়ে দলিতমথিত হয়ে — তোমার
আড়ম্বরখানার চৌকাঠময় — মান্যবর!?”