জাতির সংবাদ ডটকম : খেলাফত মজলিসের আমীর মাওলানা আব্দুল বাছিত আজাদ বলেছেন, ফিলিস্তিনের মুসলমানদের উপর দীর্ঘ ৮ মাস ধরে গণহত্যা চালিয়ে ইসরাইল যুদ্ধাপরাধ করেছে। সম্প্রতি আন্তর্জাতিক আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে রাফা শরাণার্থী শিবিরে হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে ইসরাইল। তবে এজন্য ইসরাইলকে চরম মূল্য দিতে হবে। ইসরাইল বিশ্ব মানবতার দুশমন, মুসলমানদের দুশমন। এই নিষ্ঠুরতা ও বর্বরতার কারণে পৃথিবীর মানচিত্র থেকে ইসরাইল একদিন নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। ইসরাইলের বিরুদ্ধে অবিলম্বে মুসলিম বিশ^কে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। জাতীসংঘ সহ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোকে ইসরাইলের যুদ্ধ বন্ধে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। গাজায় গণহত্যা ও দখলদারীত্বের অবসান ঘটাতে হবে। ইসরাইলী পণ্য শুধু বয়কট নয়, তা ব্যবহার করা মুসলমানদের জন্য হারাম হবে। ইসরাইলকে যারা সহযোগীতা ও পৃষ্ঠপোষকতা করছে আমরা তাদের পণ্যও বয়কটের আহ্বান জানাচ্ছি।
মুসলিম বিশ্বের রাষ্ট্রপ্রধানদেরকে ফিলিস্তিনের নির্যাতিত মানুষের পাশে সহযোগীতা নিয়ে দাঁড়াতে হবে। এ ব্যাপারে আমরা বাংলাদেশ সরকারকে অবিলম্বে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে জোর কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালানোর আহ্বান জানাচ্ছি। আজ বাদ জুমআ বায়তুল মোকাররম উত্তর চত্ত্ব আয়োজিত ঢাকা মহানগরী খেলাফত মজলিস আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আমীরে মজলিস উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
গাজার শরণার্থী শিবির রাফায় ইসরাইলী বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে খেলাফত মজলিস ঢাকা মহানগরী আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশের সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ সভাপতি অধ্যাপক মাওলানা আজিজুল হক। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন নায়েবে আমীর মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক মুহাম্মদ আবদুল জলিল। ঢাকা মহানগরী উত্তর সাধারণ সম্পাদক প্রিন্সিপাল মাওলানা আজিজুল হকের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ সম্পাদক অধ্যাপক কাজী মিনহাজুল আলম, কেন্দ্রীয় যুব বিষয়ক সম্পাদক তাওহীদুল ইসলাম তুহিন, ঢাকা মহানগরী উত্তর সভাপতি মাওলানা সাইফ উদ্দিন আহমদ খন্দকার, শ্রমিক মজলিস সহ-সভাপতি আলহাজ¦ আমীর আলী হাওলাদার, ছাত্র মজলিস ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ সভাপতি নুর মোহাম্মদ।
নেতৃবৃন্দের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট মিজানুর রহমান, মুহাদ্দিস শেখ মুহাম্মদ সালাহ উদ্দিন, কেন্দ্রীয় প্রচার ও তথ্য সম্পাদক প্রকৌশলী আবদুল হাফিজ খসরু, কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সাহাব উদ্দিন আহমদ খন্দকার, ডা: আবদুর রাজ্জাক, সহ-প্রশিক্ষণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম, সহ-দপ্তর সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা ফয়জুল ইসলাম, এডভোকেট শায়খুল ইসলাম, এনামুল হক হাসান, হুমায়ুন কবির আযাদ, মুন্সী মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, সেলিম হোসাইন, মাওলানা কাউসার আহমদ সোহাইল, এবিএম শহিদুল ইসলাম, এডভোকেট এনায়েত রাব্বি একরাম, ইসলামী ছাত্র মজলিস কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ সম্পাদক কেএম ইমরান হোসাইন, শ্রমিক মজলিস কেন্দ্রীয় সহ-সাধারণ সম্পাদক এইচ এম এরশাদ, ঢাকা মহানগরী উত্তর সভাপতি মাহমুদুল হাসান তোহা, ইসলামী যুব মজলিস ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ সভাপতি জামিরুল ইসলাম, ঢাকা মহানগরী উত্তর সভাপতি হাফেজ মুহাম্মদ সালমান প্রমুখ।
সমাবেশে শেষে এক বিশাল বিক্ষোভ মিছিল বায়তুল মোকাররম উত্তর গেইট থেকে শুরু হয়ে পল্টন মোড় দিয়ে বিজয়নগরে এসে সমাপ্ত হয়।