আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইসরাইল বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে সোমালিল্যান্ডকে স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দিয়েছে। এই পদক্ষেপের নিন্দা জানিয়েছে সোমালিয়া, মিশর এবং আফ্রিকান ইউনিয়ন। দেশগুলো এটিকে আফ্রিকার হর্ন অঞ্চলের বিরুদ্ধে ইসরাইলের বিপদজ্জনক পদক্ষেপ হিসেবেও বিবেচনা করছে।
এবার সোমালিল্যান্ড ইস্যুতে ইসরাইলকে সতর্কবার্তা দিয়েছে ইয়েমেনের হুথি গোষ্ঠী। সোমালিল্যান্ডের অবস্থান এডেন উপসাগরের তীরে, যা সরাসরি ইয়েমেনের উল্টো দিকে এবং বাব আল-মানদেব প্রণালির ঠিক পাশেই অবস্থিত। বিশ্বের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ জলপথের বাণিজ্য এই পথেই পরিচালিত হয়।
২০২৩ সাল থেকে হুথিরা লোহিত সাগরে ইসরাইলি সংশ্লিষ্ট জাহাজগুলোতে নিয়মিত হামলা চালিয়ে আসছে। সোমালিল্যান্ডের উপকূলরেখা থেকে হুথিদের মূল ঘাঁটি হোদেইদাহর দূরত্ব ৩০০ থেকে ৫০০ কিলোমিটার। ইসরাইলের জন্য সোমালিল্যান্ড একটি ‘ফরোয়ার্ড ডিফেন্স’ বা সম্মুখ প্রতিরক্ষা ঘাঁটি হিসেবে কাজ করবে।
তবে সোমালিল্যান্ডে ইসরাইলের যেকোনো উপস্থিতিকে ‘সামরিক লক্ষ্যবস্তু’ হিসেবে বিবেচনা করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইয়েমেনের গোষ্ঠীটি।
গোষ্ঠীটির প্রধান আবদেল মালিক আল-হুথি এক বিবৃতিতে বলেন, সোমালিল্যান্ডে ইসরাইলের যেকোনো উপস্থিতিকে আমাদের সশস্ত্র বাহিনী একটি সামরিক লক্ষ্যবস্তু হিসেবে বিবেচনা করবে। কারণ এটি সোমালিল্যান্ড এবং ইয়েমেনের বিরুদ্ধে আগ্রাসন এবং এই অঞ্চলের নিরাপত্তার জন্য হুমকি।
গত শুক্রবার ইসরাইল আনুষ্ঠানিকভাবে সোমালিল্যান্ডকে স্বীকৃতি দেয়। ১৯৯১ সালে সোমালিয়া থেকে একতরফাভাবে বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর এই প্রথম কোনো দেশ সোমালিল্যান্ডকে স্বীকৃতি দিলো।
হুথি নেতা সতর্ক করে বলেন, এই পদক্ষেপের পরিণতি হবে গুরুতর। তিনি বলেন, এই স্বীকৃতি সোমালিয়া ও আফ্রিকান প্রতিবেশী অঞ্চল, সেইসাথে ইয়েমেন, লোহিত সাগর ও লোহিত সাগরের উভয় তীরবর্তী দেশগুলোর বিরুদ্ধে একটি শত্রুতাপূর্ণ অবস্থান।
এর আগে সোমালিল্যান্ডের ইসরাইলি স্বীকৃতিকে ‘রাষ্ট্রীয় আগ্রাসন’ আখ্যা দিয়েছে সোমালিয়া। এই পদক্ষেপের নিন্দা জানিয়ে দেশটি বলেছে, এমন আগ্রাসন কখনও বরাদস্ত করা হবে না।