
‘ইসলামী সমাজ’ ঢাকা মহানগরের দায়িত্বশীল, মুহাম্মাদ ইয়াছিন এর সঞ্চালনায় “ইসলামের দৃষ্টিতে গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক নির্বাচন এবং ইসলাম প্রতিষ্ঠার পদ্ধতি” বিষয়ে আজ ১৯ অক্টোবর, রবিবার, সকাল ১১:৩০ মিনিটে, জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে ‘ইসলামী সমাজ’ এর আমীর হজরত সৈয়দ হুমায়ূন কবীর বলেন, গণতন্ত্রের নির্বাচন, গণআন্দোলন, সেনা ক্যু এবং সশস্ত্র লড়াই ইত্যাদির কোনটাই ইসলাম প্রতিষ্ঠায় ঈমানদাগণের রাষ্ট্রীয় নেতৃত্ব লাভের কুরআন ও সুন্নাহ সম্মত পদ্ধতি নয়। ঈমান ও ইসলামের দাওয়াতের
মাধ্যমে দাওয়াত কবুলকারী ঈমানদারগণের সমাজ গঠন আন্দোলন’ই সমাজ ও রাষ্ট্রে ইসলাম প্রতিষ্ঠায় ঈমানদাগণের রাষ্ট্রীয় নেতৃত্ব লাভের পদ্ধতি। তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল হযরত মুহাম্মাদ (সা:) মক্কায় প্রতিষ্ঠিত জাহিলি সমাজের লোকদেরকে ঈমান ও ইসলামের দাওয়াতের মাধ্যমে দাওয়াত কবুলকারী ঈমানদারগণকে তাঁর নেতৃত্বের আনুগত্যে ঐক্যবদ্ধ করে জাহিলি সমাজের বিপরীতে ইসলামী সমাজ গঠন আন্দোলন গড়ে তুলেন। মক্কী জীবনের ১৩ বছরের আন্দোলনে সবর ও ক্ষমার নীতিতে অটল থেকে একতরফা নির্যাতিত হয়েছিলেন। আন্দোলনের চূড়ান্ত পর্যায়ে আল্লাহ’ই মদীনায় অনুকূল পরিবেশ গঠন করে রাসূল (সা:) কে মদীনায় রাষ্ট্রীয় নেতৃত্ব দান করেছিলেন। রাষ্ট্রীয় নেতৃত্ব লাভের পরই তিনি পর্যায়ক্রমে সমাজ ও রাষ্ট্র থেকে ইসলাম বিরোধী আইন মূলোৎপাটন করে ইসলামের আইন-বিধান প্রতিষ্ঠা করেছিলেন এবং তখনই বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে সশস্ত্র লড়াই করেছিলেন। এভাবেই সমাজ ও রাষ্ট্রে ইসলাম প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। সুতরাং, রাষ্ট্রীয় নেতৃত্ব লাভের আগে নয়, বরং রাষ্ট্রীয় নেতৃত্ব লাভের পর বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে সশস্ত্র লড়াই করার বৈধতা ইসলামে আছে।
তিনি বলেন, ‘ইসলামী সমাজ’ ঈমান ও ইসলামের দাওয়াতের মাধ্যমেই আমীরের নেতৃত্বের আনুগত্যে আল্লাহর রাসূল হযরত মুহাম্মাদ (সা:) এর অনুসরণ ও অনুকরণে আলকুরআন বিরোধী সংবিধানের অধীনে গঠিত ও পরিচালিত সমাজের বিপরীতে সবর ও ক্ষমার নীতিতে অটল থেকে দাওয়াত কবুলকারীগণের সমাজ গঠন আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। আন্দোলনের চূড়ান্ত পর্যায়ে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমাদেরকে যখন রাষ্ট্রীয় নেতৃত্ব তথা খিলাফত দান করবেন, তখন আমরা পর্যায়ক্রমে ইসলাম বিরোধী আইন মূলোৎপাটন করে ইসলামের আইন-বিধান মানুষের জীবনে প্রতিষ্ঠা করবো ইনশাআল্লাহ। সমাজ ও রাষ্ট্রে ইসলাম প্রতিষ্ঠায় ‘ইসলামী সমাজ’ এর আমীর হজরত সৈয়দ হুমায়ূন ৩ দফা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি ঘোষণা করেন- ১ম দফা: বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা মহানগরের প্রতিটি থানায় নভেম্বর ও ডিসেম্বর ২০২৫ইং, দুই মাসব্যাপী শান্তিপূর্ণ গণসংযোগ, মিছিল, পথসভা ও লিফলেট বিতরণ। ২য় দফা: রাজশাহী, রংপুর, সিলেট, বরিশাল, চট্টগ্রাম, খুলনা, ময়মনসিংহ, কুমিল্লা, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর মহানগর সমূহ এবং কুষ্টিয়া জেলা শহরে আলকুরআন বিরোধী সংবিধান মূলোৎপাটন সমাবেশ। ৩য় দফা: ঈমানদার ও আমলে সালেহকারী লোক গঠনে কুরআন ও সুন্নাহ ভিত্তিক সঠিক জ্ঞানার্জনের লক্ষ্যে দেশব্যাপী প্রশিক্ষণ বৈঠক। কর্মসূচি বাস্তবায়নে দল, মত নির্বিশেষে সকলকে তিনি সমর্থন ও সহযোগীতা করার আহ্বান জানান।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- বিভাগীয় ও কেন্দ্রীয় দায়িত্বশীল, জনাব মুহাম্মাদ ইউসুফ আলী মোল্লা, সোলায়মান কবীর, আমীর হোসাইন, মোহাম্মাদ আলী জিন্নাহ্, মোঃ নুরুদ্দিন, আজমুল হক, আসাদুজ্জামান, মোঃ সেলিম মোল্লা, সাইফুল ইসলাম, হাফিজুর রহমান, মোঃ সোহেল, মিনহাজ উদ্দিন, আবু জাফর মোহাম্মাদ সালেহ ও মোস্তফা জামিল সাদ প্রমুখ