আসলাম ইকবালঃ
বন্ধুত্বের বন্ধন চিরকাল। এই বন্ধুত্বের বন্ধনকে ঘাঢ় করার অভিপ্রায় বাংলাদেশে গড়ে উঠেছে ‘এসএসসি-৮৪ বাংলাদেশ’ ফেসবুক গ্রুপ। বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় একটি বন্ধুত্বের প্লাটফর্ম। ১৯৮৪ সালে দেশের চারটি বিভাগীয় শিক্ষা বোর্ড থেকে যারা হাই স্কুল পর্যায়ে এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিলেন মুলতঃ তাদের একজোট বন্ধুত্বের প্লাটফর্ম ‘এসএসসি ৮৪ বাংলাদেশ’। এই বন্ধত্বের প্লাটফর্মের স্বপ্ন দ্রষ্টা ছিলেন লন্ডন প্রবাসী মশিউর রহমান মামুন। করোনা কালীন সময়ে তার মাথায় প্রথম এই স্বপ্ন জাগে। পরবর্তীতে একটি এডমিন প্যানেল এর বাস্তবায়ন করেন। চুরাশিয়ানদের থিমসং রয়েছে। গানটির গীতিকার নেহার আহমেদ, সুরকার শিল্পী সিঙ্গার সাজু।
গত এক বছরে দেশে বেশ কয়েকটি বন্ধুদের মহামিলন মেলা ও বন্ধু মেলা অনুষ্ঠিত হয়। বিভিন্ন জায়গার স্থানীয় বন্ধরা এর আয়োজক থাকেন। যেমনঃ গাজীপুর, পূর্বাচল ক্লাব, ধানমন্ডি, উত্তরা বোর্ড ক্লাব, খিলগাঁও, বনশ্রী, বরিশাল, চাঁদপুর, আশুলিয়া, মগবাজার ও বগুড়া। এই ‘উত্তরবঙ্গ ৮৪ মিলন মেলা ২০২৩’ গত ১০ মার্চ বগুড়া শহর থেকে দুরে দশমাইল নামক স্থানে শেরপুর উপজেলায় পল্লী উন্নয়ন একাডেমীতে (জউঅ) দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হয়। উত্তরবঙ্গ মিলন মেলার একটি আহবায়ক কমিটি রয়েছে-এর আহবায়ক তপু খান। অন্যতম সদস্যরাঃ ড. আব্দুল্লাহ আল মামুন (অতিরিক্ত মহাপরিচালক জউঅ), সিরাজুল, মিনহাজ, নাসিম, মোঃ আলী, সাজু, আব্দুল কুদ্দুস ও ষ্টালিন, এডমিন প্যানেলের আশরাফ, হাছিবুল ও জাফর উপস্থিত ছিলেন। জউঅ একাডেমীর ক্যাম্পাসে সকাল ৯টায় রেজিষ্ট্রেশনের মাধ্যমে শুরু হয় মিলনমেলার কাজ। মিলনায়তনে আসন গ্রহনের পর জাতীয় পতাকা-জাতীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করে এর প্রারম্ভিক অনুষ্ঠান শুরু। ক্যাম্পাসে সকল বন্ধুদের মাঝে সিরাজুল দপ্তরীর ভূমিকায় অনবদ্য অভিনয় করেন ও মঞ্চের চেয়ারে হেড মাস্টারের ভূমিকায় অভিনয় করেন টিপু খান।
আলোচনায় অংশ নেন বন্ধু ড. আব্দুল্লাহ আল মামুন, তপু খান, সিরাজুল ও ফেরদৌসী নীলা, আলম। ভার্চুয়ালী বক্তব্য দেন লন্ডন প্রবাসী মশিউর রহমান মামুন। পরে জেলা পর্যায়ের বন্ধুদের পরিচয় করিয়ে দেয়া হয়। দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে ছিলো-গান, নাচ, নানা-নাতির গম্ভীরা, হাউজি ও সেরা বন্ধু নির্বাচন। নাদিয়ার নাচ, গান পরিবেশন করেন-সিঙ্গার সাজু, মামুন, বকুল, শাহিন, মিজান, ফিরোজ, সোনিয়া ও আশরাফ বাবু। বেহুলার বাসর নাটিকা পরিবেশিত হয়। সেরা বন্ধু হয়েছেন-চাঁদপুরের বন্ধু বাহিবুর ও বগুড়ার মাহফুজা খাতুন হিরা। রাত গভীর হলে পুকুর ঘাটে বসে গানের আড্ডা। সকালে বন্ধুতের স্মৃতি ফেলে চলে আসা নিজ শহরে।