জাতির সংবাদ ডটকম।।
মব সৃষ্টি করে কুমিল্লা মুরাদনগর আকুবপুরে ট্রিপল মার্ডার, স্কুল শিক্ষিকাকে লাঞ্ছিত ও সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পুকুর দখলসহ নানা অপকর্মের অভিযোগে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়ার বাবা ও তাকে দায়ী করে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন স্থানীয়রা।
মঙ্গলবার বিকেল ৫টায় এ সকল অভিযোগে কুমিল্লা মুরাদনগর উপজেলা সদরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়ার পদত্যাগের দাবি করা হয়।
মিছিলটি উপজেলা সদরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে। মুরাদনগরের বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা এবং উপজেলার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার সাধারণ মানুষজন বিক্ষোভ মিছিলে অংশগ্রহণ করে। এসময় তারা এক-দুই-তিন-চার, আসিফ তুই গদি ছাড়। হাসিনা গেছে যেই পথে, আসিফ যাবে সেই পথে। বাপে ছেলে মিল্যা, মুরাদনগর খাইছে গিল্যা, এসব স্লোগানে স্লোগানে আসিফের পদত্যাগ দাবি করে বিক্ষুব্ধ ছাত্রজনতা।
মিছিল শেষে বক্তব্য রাখেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম। মুরাদনগর উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক খায়রুল আহসান। সদস্য সচিব সুমন মাষ্টার। মুরাদনগর উপজেলা পূজা উদ্যাপন কমিটির সহ-সভাপতি দুলাল দেবনাথ।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্রনেতা নাহিদ ইসলাম বলেন, এই মুরাদনগরে এখনো ইউসুফ আব্দুল্লাহ হারুনের ভূত ভর করে আছে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের ছত্র ছায়ায়। আসিফ মাহমুদের বাবা আওয়ামী লীগের সাথে আঁতাত করে বিএনপি নেতাকর্মীদের উপর জুলুম করছে, জেলে দিচ্ছে। গতকাল রাতে আমাদের প্রিয় নেতা কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ দাদার কর্মী শাহ আলমকে গুম করার চেষ্টা করছে এই আসিফ মাহমুদ।
উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি খায়রুল আহসান বলেন, উপদেষ্টার বাবা একজন সামান্য স্কুল শিক্ষক হয়ে কিভাবে এত দামি গাড়িতে চলাফেরা করেন? ওনি কোন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আমরা তা জানতে চাই। আকুবপুর ইউনিয়নের কড়ইবাড়িতে ট্রিপল মার্ডারের ঘটনায় আসিফ মাহমুদের বাবা জড়িত আছেন। সেই মামলার এক নাম্বার আসামি আওয়ামী লীগের ইউনিয়ন চেয়ারম্যান শিমুল বিল্লাহর সাথে তার গোপন মিটিংয়ের ভিডিও আছে।
মুরাদনগর উপজেলা পূজা উদ্যাপন কমিটির সহ-সভাপতি দুলাল দেবনাথ বলেন, গত ৫ ই আগস্টের পর থেকে এখন পর্যন্ত আমাদের তিনটি পূজা মণ্ডপে হামলা হয়েছে। ধর্ষণের মত জঘন্য অপরাধ সংগঠিত হয়েছে। তারপরেও এই আসিফ মাহমুদ সজীব ভুইয়ার ইশারায় আমরা সঠিক বিচার পাই নাই। আর যদি কোনো রকম অন্যায় আমাদের উপর করা হয়। আমরা তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলব।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, গীতা রাণী রায় নামের একজন হিন্দু শিক্ষিকাকে পাশবিক নির্যাতন করে স্কুল থেকে বের করে দেয়া হয়েছে, এসবের নেতৃত্বে ছিল আসিফ মাহমুদের বাবা। এই শান্ত মুরাদনগরকে আসিফ মাহমুদের বাবা, চাচাতো ভাই ওবায়দুল্লাহ আওয়ামী কর্মীদের নিয়ে অরাজকতা সৃষ্টি করে অশান্ত করে রেখেছে। উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক শাহ আলমকে কালো গাড়ি দিয়ে উঠিয়ে নেয়া হয়েছে। এসব কিসের আলামত?
আমরা প্রধান উপদেষ্টাকে অনুরোধ করছি, আপনি আপনার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদকে এসব থেকে বিরত রাখুন।
