স্টাফ রিপোর্টার
পটুয়াখালী জেলার বাউফল উপজেলার ডাঃ ইয়াকুব শরীফ ডিগ্রী কলেজ ও পটুয়াখালী কৃষি ডিপ্লোমা ইন্সটিটিউটের এইচএসসি বিএম/ বিএমটি কোর্সের কোর্স সমাপনী পরীক্ষা-২০২৩ এর কেন্দ্র নির্বাচন করা হয় ডাঃ ইয়াকুব শরীফ ডিগ্রী কলেজে। কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের কেন্দ্র/পরীক্ষা পরিচালনার নীতিমালা অনুযায়ী কেন্দ্রাধীন প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ ও শিক্ষকদের সমন্বয়ে পরিচালনা কমিটি গঠন করে পরীক্ষা পরিচালনা করার বিধি বিধান আছে। তাতে ডাঃ ইয়াকুব শরীফ ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ হুমায়ুন কবির পটুয়াখালী কৃষি ডিপ্লোমা ইন্সটিটিউটের অধ্যক্ষ ও শিক্ষকদের কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করে নাই। ঐ কলেজের ম্যানেজিং কমিটির সভপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে দিয়ে অত্যন্ত সুকৌশলে ৮ আগস্ট পটুয়াখালী কৃষি ডিপ্লোমা ইন্সটিটিউটের অধ্যক্ষ ও শিক্ষক কর্মচারীরা ডাঃ ইয়াকুব শরীফ ডিগ্রী কলেজের পরীক্ষা কেন্দ্রের আশপাশ এলাকায় যেতে পারবেনা মর্মে নিষেধ ও অসৌজন্যমূলক আচরন করেন বলে অভিযোগ উঠে। পটুয়াখালী কৃষি ডিপ্লোমা ইন্সটিটিউটের কৃষি ভবনে এইচএসসি বিএম/ বিএমটি কোর্সের বোর্ড সমাপনী পরীক্ষা-২০২২ এর ভেন্যু তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী অফিসার নির্বাচন করায় উক্ত ভেন্যুতে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২০২৩ সালের এইচএসসি বিএম/ বিএমটি কোর্সের বোর্ড সমাপনী পরীক্ষার ভেন্যু নির্বাচনের জন্য জেলা প্রসাশক,পটুয়াখালী বরাবর আবেদন করা হলে জেলা প্রসাশক পটুয়াখালী কৃষি ডিপ্লোমা ইন্সটিটিউটে ভেন্যু নির্বাচনের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার, বাউফল এর নিকট সুপারিশসহ পত্র প্রেরন করিয়া থাকেন। জেলা প্রসাশক মহোদয়ের নির্দেশিত পত্র পেয়েও উপজেলা নির্বাহী অফিসার ভেন্যু নির্বাচনের কোন পদক্ষেপ গ্রহন করেননি ।
পরবর্তীতে ২০২৩ সালের এইচএসসি বিএম/ বিএমটি পরীক্ষার ভেন্যু কেন্দ্র নির্বাচনের জন্য অত্র ইন্সটিটিউটের অধ্যক্ষ একাধিক শিক্ষকসহ উপজেলা নির্বাহী অফিসরের কার্য়ালয়ে আবেদন নিয়ে গেলেও তাদের সাথে অসদাচারন করে এবং সাফ জানিয়ে দেয় উক্ত প্রতিষ্ঠানে ভেন্যু কেন্দ্র নির্বাচন করা হবে না। তাই কোন ফল না পেয়ে নিরুপায় হয়ে অত্র প্রতিষ্ঠানের পরীক্ষার্থীদের মধ্য থেকে কয়েকজন পরীক্ষার্থী এবং একজন অভিভাবক সদস্য বাদী হয়ে অত্র প্রতিষ্ঠানে ভেন্যু কেন্দ্র নির্বাচনের জন্য ৩ আগস্ট বাউফল সহকারী জজ আদালতে দেওয়াণী ১৯১/২৩ নং মামলা দায়ের করেন। ঐ মামলার ২ নং বিবাদী বাউফল উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ৮নং বিবাদী ডাঃ ইয়াকুব শরীফ ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ হুমায়ুন কবির ২৪৬ জন পরীক্ষার্থীর শিক্ষা জীবন ধ্বংস করার জন্য চক্রান্তে লিপ্ত হয়ে এইচএসসি বিএম/ বিএমটি কোর্সের পরীক্ষার্থীদের প্রবেশ পত্র কারিগরি বোর্ড হতে ৯ আগস্ট অনলাইনে দেয়ার নির্দেশনা থাকলেও না দেয়ার জন্য মামলায় বর্ণিত অন্যন্য বিবাদীদে সাথে গোপন যোগ-সাজসের মাধ্যমে বাউফল উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ডাঃ ইয়াকুব শরীফ ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ হুমায়ুন কবির প্রবেশপত্র অনলাইনে আপলোড করতে দেন নই বলে অভিযোগকারীরা জানান।
পরবর্তীতে ইন্সটিটিউটের প্রতিষ্ঠাতার হস্তক্ষেপে ২১ আগস্ট প্রবেশ পত্র অনলাইনে আপলোড করেন। যাহাতে পরীক্ষার্থী এবং প্রতিষ্ঠান অপূরনীয় ক্ষতির সম্মুক্ষীন হন। যা মানবাধিকার লঙ্ঘনের সামিল। পটুয়াখালী কৃষি ডিপ্লোমা ইন্সটিটিউট সূত্রে বলা হয়েছে পরীক্ষার্থীদের জন্য প্রথম দিন যেভাবে আসন বিন্যাস করা হয়েছিল ২য় দিন অর্থাৎ ২৯ আগস্ট কোন কারন বা অবহিত না করে উপজেলা পরিসংখ্যান অফিসার মোঃ সবুজ পূর্বের আসন পরিবর্তন করে পরীক্ষার্থীদের ব্যপক ক্ষতির মুখে ঠেলে দিয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের পরীক্ষা কক্ষ পরিদর্শকগণ পরীক্ষার্থীদের ফল যাতে ভাল না হয় সেই চেষ্টা করে আসছে। কয়েকজন পরীক্ষার্থী এ প্রতিনিধিকে জানান উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ডাঃ ইয়াকুব শরীফ ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ পটুয়াখালী কৃষি ডিপ্লোমা ইন্সটিটিউট যাতে ধ্বংস হয় এবং পরীক্ষার্থীরা যাতে ফেল করে সেই চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। পটুয়াখালী কৃষি ডিপ্লোমা ইন্সটিটিউট সূত্রে বলা হয়েছে বগা ডাঃ ইয়াকুব শরীফ ডিগ্রী কলেজ পরীক্ষা কেন্দ্রে তাদের কোন শিক্ষকদেরকে পরীক্ষা পরিচালনা কমিটিতে রাখা হয়নি। যা আইনের পরিপন্থী এ ব্যপারে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মোঃ কেপায়েত উল্লাহর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এটাকে বেআইনী বলে উল্লেখ করেন।
বাউফল উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও বগা ডাঃ ইয়াকুব শরীফ ডিগ্রী কলেজ অধ্যক্ষ হুমায়ুন কবিরের একার্যক্রমে পরীক্ষার্থীদের অভিভাবক ও এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করে আসছে এবং তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানান।