জাতির সংবাদ ডটকম: একতরফা নির্বাচন প্রত্যাখান, ভোটাধিকার ও গনতন্ত্র পুনরুদ্ধার সহ সরকার পতনের এক দফা দাবিতে বিএনপিসহ সমমনা দলের ডাকা দেশব্যাপী চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলনে এ পর্যন্ত গ্রেফতার হওয়া মৌলভীবাজার জেলার বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগি সংগঠনের অসচ্ছল নেতাকর্মীদের বাসা বাড়ীতে এবার খাদ্য সামগ্রী পাঠাচ্ছেন বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য, জেলা বিএনপির সভাপতি, সাবেক এমপি এম নাসের রহমান।
গত ২৮ অক্টোবরের ঢাকার বিএনপির ডাকা মহাসমাবেশ থেকে এ পর্যন্ত গ্রেফতার হওয়া কারাবন্দী নেতাকর্মীদের জেলখানায় পিসিতে নগদ অর্থ প্রেরণ, অসচ্ছল বিএনপি পরিবারের সদস্যদের জন্য নিত্যপ্রয়োজনীয় বাজার সামগ্রী প্রেরণ এবং কারাবন্দী নেতৃবৃন্দের জামিনে আইনী সহায়তা দিচ্ছেন তিনি। দলীয় সুত্র জানায়,ঢাকার মহাসমাবেশ থেকে এ পর্যন্ত মৌলভীবাজার জেলায় এ পর্যন্ত ১১ টি মামলায় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের শীর্ষ পর্যাযের নেতৃবৃন্দসহ সহস্রাধিক নেতৃবৃন্দকে আসামি করা হয়েছে।এর মধ্যে দেড় শতাধিক নেতাকর্মী কে আটক করে কারাগারে বন্দী করা হয়েছে।এ সকল মামলার বাদী করা হয়েছে পুলিশকে।
জেলা বিএনপির প্রচার সম্পাদক মো.ইদ্রিস আলী জানান, দলের গ্রেফতার হওয়া কারাবন্দী নেতাকর্মীদের উৎসাহ উদ্দীপনা ও কারা নির্যাতিত নেতৃবৃন্দের পরিবারে মনোবল জোগাতে জেলা বিএনপির সভাপতি এম নাসের রহমান এর পক্ষ থেকে কারা অন্তরীণ দলীয় নেতৃবৃন্দের বাসা- বাড়ী প্রথমে বিভিন্ন ফলফলাদি উপহার সামগ্রী পাঠান। এখন অসচ্ছল পরিবারের সদস্যদের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী পাঠানো হচ্ছে।এসব খাদ্যসামগ্রীর মধ্যে রয়েছে, চাল,ডাল,তৈল,পেঁয়াজ,আলু,চিনি ও লবন। এর আগে জেলা বিএনপির সভাপতি এম নাসের রহমান কারাবন্দী নেতাদের বাড়িতে ফলমুলের ঝুড়ি পৌঁছে দেন।
তিনি জানান, শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) মৌলভীবাজার সদর উপজেলা থেকে এ খাদ্য সামগ্রী পাঠানো কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সারা জেলায় সংশ্লিষ্ট উপজেলার বিএনপির নেতৃবৃন্দর মাধ্যমে এ উপহার সামগ্রী পাঠানো হবে।
শুক্রবার বিকেলে মৌলভীবাজার সদর উপজেলার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে এ পর্যন্ত গ্রেফতার হওয়া ৩০ জন নেতৃবৃন্দের বাসা- বাড়িতে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দেন সদর উপজেলা বিএনপি’র সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক তোফায়েল আহমদ, যুব বিষয়ক সম্পাদক ওয়াহাবুর রহমান রুমেল,সমাজ সেবা বিষয়ক সম্পাদক মিজানুর রহমান মজনু,পৌর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক শাহীন আহমেদ কাশেম,মো: ফুল মিয়া সহ বিএনপি এবং অঙ্গ সহযোগি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।