মো:হোসেন সুমন।।
কক্সবাজার সর্বক্ষেত্রে শৃঙ্খলায় ফিরেছে কক্সবাজার জেলাকারাগার.
৮৩০ জন বন্দীর ধারণক্ষমতার স্থলে প্রায় ৩ হাজার ৭০০ বন্দি আটক থাকলেও কারা কর্তৃপক্ষের দক্ষ পরিচালনায় কারাগারে অতীতের যেকোনো সময়ের তুলনায় ফিরে এসেছে উল্লেখযোগ্য শৃঙ্খলা. ১. বন্দীদের খাবার ব্যবস্থা : জামিনে মুক্তি প্রাপ্ত বন্দিদের ও অন্যান্যসূত্রে জানা যায় বর্তমান জেল সুপার কক্সবাজার জেলা কারাগারের যোগদানের পর থেকে তিনি বন্দীদের খাবারের প্রতি বিশেষ নজরদারি করে আসছেন. প্রতিদিন বন্দীদের জন্য সরকারি ভাবে সরবরাহকৃত খাবারের যথাযথ পরিমাণও তার গুণগতমান তিনি নিজে প্রতিদিন উপস্থিত থেকে সরাসরি তদারকি করে থাকেন. এমনকি তিনি নিজে উপস্থিত থেকে বন্দীদের খাবার বন্টন কার্যক্রম তদারকি করে থাকেন. তার এ কার্যক্রম সকল বন্দীর নিকট প্রশংসিত হয়েছে. রোজার মাসে প্রতিদিন ছয় প্রকার আইটেম দিয়ে ইফতারি করানো হয়. সেহরির জন্য রয়েছে আলাদা খাবার.৷৷ ২. বন্দীদের অভাব অভিযোগ শ্রবণ ও ব্যবস্থা গ্রহণ :বর্তমান জেল সুপার জনাব মোঃ শাহ আলম খান বন্দী ও কর্মকর্তা কর্মচারীদের প্রত্যেকটি অভাব অভিযোগ অত্যন্ত ধৈর্য সহকারে প্রতিদিন শুনে থাকেন এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকেন. তিনি প্রতিদিন কারাগারে ভিতরে একাধিকবার পরিদর্শনে যানএবং সকলের কাছ থেকে তাদের সুবিধা-অসুবিধা গুলো জানার চেষ্টা করেন এবং তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণেরও চেষ্টা করেন. তার এ মানবিক আচরণে সকল বন্দী মুগ্ধ বলে বিভিন্ন সময় মুক্তি প্রাপ্ত বন্দীদের নিকট থেকে জানা যায়.এছাড়া তিনি বন্দীদের সংশোধনের জন্য তিনি বিভিন্ন মোটিভেশনাল কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকেন. শুধু কক্সবাজারে নয় তিনি ইতিপূর্বে যেখানে চাকরি করেছেন সেখানে তার অনেক প্রশংসা রয়েছে . ৩. বন্দীদের দেখা-সাক্ষাৎ ও সরকারি মোবাইল বুথে কথা বলার ব্যবস্থা : বন্দীদের মোবাইল বুথে কথা বলার ক্ষেত্রে ফিরে এসেছে শৃঙ্খলা. জেল সুপারের দক্ষ পরিচালনায় বন্দিরা এখন ব্যাচ বাই ব্যাচ অনুসারে সরকারি নিয়ম মেনে বন্দীদের মোবাইলে কথা বলার ব্যবস্থা করা হয়েছে. জেল সুপার, জেলার, ডেপুটি জেলারসহ কর্মকর্তারা নিজেরা উপস্থিত থেকে বন্দীদের মোবাইলে কথা বলার কার্যক্রম তদারকি করে থাকেন. একইভাবে বন্দীদের সাথে তাদের আত্মীয়-স্বজনের সাক্ষাতের ক্ষেত্রেও ফিরিয়ে এনেছেন পূর্ণ শৃঙ্খলা . এক্ষেত্রেও তাদের দেখা সাক্ষাৎ ব্যাচ করে সাক্ষাৎ করানো হচ্ছে. ফলে তারা এখন স্বাচ্ছন্দ্যে দেখা-সাক্ষাৎ করতে পারছেন বলে বন্দী ও তার আত্মীয়-স্বজন এর কাছ থেকে জানা যায়. কারা কর্তৃপক্ষের এ কার্যক্রমও সকলের নিকট প্রশংসিত হচ্ছে. বন্দিদের যথা সময় জামিন খালাস প্রদান করা হচ্ছে. এক্ষেত্রে এখন তেমন কোন হয়রানীর অভিযোগ পাওয়া যায় না. অসুস্থ বন্দিদেরও যথাসময়ে চিকিৎসা প্রদানের ক্ষেত্রে মেডিকেল অফিসার সহ সকলে দায়িত্বশীলতার সাথে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন বলে বন্দীদের বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়.সার্বিকভাবে বলা যায় বর্তমানে কক্সবাজার জেলা কারাগারের সার্বিক ব্যবস্থাপনা প্রশংসার দাবিদার. এ বিষয়ে জেল সুপারের সাথে আলাপ কালে তিনি প্রতিবেদককে জানান বর্তমান কারা মহাপরিদর্শক কারা উপ মহাপরিদর্শকসহ সকলের সার্বিক সহযোগিতায় তিনি কক্সবাজার জেলা কারাগারকে মাদক মুক্ত একটি মডেল কারাগার হিসেবে ও সর্বোপরি সংশোধনাগার হিসেবে রূপান্তর করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন. এ বিষয় তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন.