জাতির সংবাদ ডটকম।।
খুলনা সরকারী আজম খান কমার্স কলেজ ছাত্রী খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলায় ঠিকরাবাদ গ্রামের হতদরিদ্র নারায়ণ মন্ডলের কন্যা ইতিমা মন্ডল মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে লিখিত অভিযোগে জানান, অমরা অত্যান্ত গরীব। বাবা মানসিক রোগী, মা বিভিন্ন রোগে অসুস্থ। খুলনার বটিয়াঘাটার সুরঞ্জন সুতার জাল জালিয়াতি মাধ্যমে বেনামি জাল দলিল তৈরি করে, অস্ত্রের মুখে আমাদের মাথা গোজার শেষ সম্বল বসতবাড়ী ভিটামাটি দখল করে নিয়েছে। লবনচোরা থানায় মামলা নেয়নি। বহু চেষ্টা করে সাধারণ ডায়েরি করলেও পুলিশ কোন ব্যবস্থা নেয়নি।
ইতিমা মন্ডল গত ২২ জানুয়ারী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবর তাঁর কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। সেই সাথে বটিয়াঘাটার সুরঞ্জন সুতার এর হাত থেকে বাঁচার আকুতি জানিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কাছে প্রানভিক্ষা চেয়ে ব্যানার সহকারে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ২৩ জানুয়ারী সকাল ১০ টা থেকে ৩ টা পর্যন্ত অবস্থান কর্মসুচী পালন করেন।
ইতিমা মন্ডল তাঁর লিখিত অভিযোগে জানান,আমার বাবা নারায়ণ মন্ডল ঠাকুরদাদা দশরথ মন্ডলের একমাত্র সন্তান। দাদা দশরথ মন্ডল ২০০৯ সালে মৃত্যুবরন করেন। দশরথ মন্ডলের মৃত্যু হলে বাবা নারায়ণ মন্ডল তাঁর একমাত্র ওয়ারিশ
হিসেবে বসতবাড়ী সহ ভিটা মাটি ৫৩.২৫ শতাংশ সম্পত্তির পৈত্রিক সুত্রে মালিক হন। ২০১৬ সালে উক্ত ৫৩.২৫ শতাংশ বসতবাড়িসহ ভিটারমাটির জমি বাবা নারায়ণ মন্ডলের নামে নামজারি ও রেকর্ডভুক্ত হয়। যুগের পর যুগ বংশ পরায়ম নিস্কন্টক ভোগদখল করে আসছি। কিন্ত
সুরঞ্জন সুতার লোলপ দৃষ্টি পড়ে আমাদের বসতবাড়ীর উপর। সে পরিকল্পিত ভাবে গোলাম সারোয়ার মল্লিক এর নামে জাল জালিয়াতির মাধ্যমে ২ টি বেনামী জাল দলিল তৈরী করে। ১). যার দলিল নং ২৬৪৫/৯২ তাং১০/১১/১৯৯২
ও ২). ২০৯১/২০২১ তারিথ ১১/৩/২০২১।
১).২৬৪৫/৯২ নং দলিলে যে
৪৮ শতাংশ জমির রেজিস্ট্রি দেখানো হয়েছে, ২০৯১/২১ তারিখঃ ২১/৩/২০২১ই তারিখের দলিলেও সেই ৪৮ শতাংশের মধ্যথেকে পুনরায় ১৭ শতাংশের দলিল দেখানো হয়েছে। তা আবার মৃত্যু ব্যক্তির মৃত্যুর ১২ বছর পর, স্বশান থেকে উঠে এসে দলিল দিয়েছেন।
রহস্যের বিষয় ১৯৯২ সালে তফসিল সম্পত্তির আর এস রেকর্ড হয়নি। কিন্তু
জাল দলিলে (২৬৪৫/৯২ নং)
আর এস পেলো কোথায়? এটা যে জাল দলিল তার জলন্ত উদাহরণ।
ইতিমা মন্ডল তাঁর লিখিত অভিযোগে জানান, সুরঞ্জন সুতার যার নামে বেনামি জাল দলিল তৈরি করেছে, তার জাতীয় পরিচয়পত্রে নাম গোলাম সারোয়ার মল্লিক ও জাল দলিল তার নাম গোলাম ছরোয়ার মল্লিক। জাল দলিলের নাম ও জাতীয় পরিচয়পত্রে নাম ভিন্ন। সেই সাথে আমার বাবা নারায়ণ মন্ডলের রেকর্ডিয় পৈতৃক বসতবাড়ীর সম্পত্তির তপশিল ও চৌহদ্দির সাথে গোলাম সারোয়ার মল্লিক এর জাল দলিলের চৌহদ্দি ও তপশিলে
মিল নেই।
ইতিমা মন্ডল আরও জানান, বাবা নারায়ণ মন্ডলের নামে রেকর্ড থাকা সত্যে এসি ল্যান্ড ও তার হেডক্লার্ক নাসিম মোটা অংকের বিনিময়ে ২০১৯ সালে বে-আইনী ভাবে আমার বাবা নারায়ণ মন্ডলের রেকর্ডিয় এর সাথে একই বলিউমে গোলাম সারওয়ার মল্লিক এর
নাম রেকর্ডভুক্ত করেন। গোলাম সারোয়ারের অবৈধ রেকর্ডের বিরুদ্ধে নারায়ন মন্ডল বটিয়াঘাটা এসি ল্যান্ড অফিসে ১৫০
ধারার মামলা দায়ের করেন।
খুলনা ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইবুনালে গোলাম সরোয়ারের দায়েরকৃত
মামলা বিচারাধীন ( মামলা নং ১০৯১/১৪ তারিখ ২৮/৮/২০১৪)
বটিয়াঘাটা সহকারী জজ আদালত জাল দলিলের বিরুদ্ধে ( মামলা নং ১৪৬/২০২০ ) ও বিজ্ঞ মু্য মহানগর
হাকিম আদালতে মামলা ( মামলা নং ১৪৫/২২ সি.অর তারিখ ৫/৯/২০২২) বিচারাধীন থাকা অবস্থায়
বটিয়াঘাটার এসি ল্যান্ড এম আবদুল্লাহ বিনতে মাসুদ মোটা অংকের বিনিময়ে গোলাম সারোয়ার মল্লিক এর নামজারি বহাল রেখে নারায়ণ মন্ডলের নামজারি বাতিল করে দেয়। গোলাম সরোয়ার মল্লিকের পক্ষে রায় পেয়ে সুরঞ্জন সুতার আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠে। সে প্রকাশ্যে আমাকে ও আমার পরিবার সদস্যদের
জীবন নাশের হুমকি দিয়ে বেড়াচ্ছে। সরঞ্জান সুতার এই বলে হুমকি দিচ্ছে যে, মামলা তুলে নিয়ে ভারতে না গেলে, সে নাকি আমাকে রেফ করে মেরে ফেলবে এবং আমার বাবা মা ভাইকে পেট্রোল দিয়ে পুড়িয়ে মেরে ফেলবে। আমাদের নাকি লাশও খুজে পাওয়া যাবে না। কান্না জড়িত কন্ঠে ইতিমা মন্ডল জানান, প্লীজা আমাদের বাঁচান। আমরা বাঁচতে চাই। বটিয়াঘাটা উপজেলায় এক সময়ের হতদরিদ্র নারায়ণ সুতারের পুত্র সুরঞ্জন সুতার গত দেড় যুগের ব্যবধানে অবৈধ পন্থায় শত শত কোটি টাকার পাহাড় গড়েছেন। বটিয়াঘাটা সাব রেজিষ্ট্রি অফিস ও সহকারী কমিশন (ভুমি) অফিসের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের জোগ সাজসে বহু সরকারি ভিপি সম্পত্তির জাল দলিল তৈরি করে বিক্রি, পিলার ব্যবসা, মাদক ব্যবসা জাল জালিয়াতি মাধ্যমে বহু নিরিহ মানুষের সম্পত্তি গ্রাস করে টাকার পাহাড় গড়েছে। তার অবৈধ টাকার কাছে লবনচোরা থানা, বটিয়াঘাটা সহকারী কমিশন (ভুমি)অফিস ও সাব রেজিষ্ট্র অফিস জিম্মি। এসি ল্যান্ড কতৃক নারায়ণ মন্ডলের নামজারি বাতিলের জন্য, বাবা নারায়ণ মন্ডল খুলনার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এর কার্যলয় মিস আপিল পিটিশন দায়ের করেছে।
যার পিটিশন নং ৬৮০ তারিখঃ ২২/১/২৩ইং। ইতিমা মন্ডল ও তাঁর পরিবার সুরঞ্জন সুতারের ভয়ে আতংকে দিনাতিপাত করছেন। অভিঞ্জ মহলের ধারনা স্থানীয় প্রশাসন ইতিমা মন্ডলের পাশে দাড়াবে।