ইকবাল হোসেন।।
বুধবার ২৩ অক্টোবর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে মোঃ রনি পিতাঃ মোঃ বাচ্চু মিয়া,, বড়গ্রাম, কুঁড়ার ঘাট,কামরাঙ্গীরচরে উক্ত ভুক্তভোগী অবৈধ দখলদারের হাত থেকে জমি রক্ষা ও জীবনের নিরাপত্তর চেয়ে সংবাদ সম্মেলন এই আহ্বান জানান।
মোহাম্মদ রনি বলল,ঢাকার কামরাঙ্গীর চর থানার চর কামরাঙ্গী মৌজার সিটি জরিপ ৯০০১ নং দাগের জমিটি আমার পৈত্রিক ভিটেবাড়ী, যাহা আমার দাদা আমার বাবারে রেজিস্ট্রী করে দেন। আমাদের জমির ঠিক পশ্চিম পাশে এবং কামরাঙ্গির চর ডিপিডিসি বিদ্যুৎ অফিসের উত্তর পাশে ত্রিভুজ আকৃতির এক টুকরো জমি বিগত ইংরেজি ৬ অক্টোবর ২০২৪ তারিখে ৩৭৯৬ নং দলিলে জমির মালিকের নিকট থেকে ক্রয় করি। এটি আমাদের বাড়ী থেকে রাস্তায় বের হওয়ার সামনেই পরে। পূর্বে উক্ত জমিটিতে বাড়িঘর ছিল কিন্তু বিগত আওয়ামিলীগের শাসন আমলে না বুঝে ব্যক্তিগত ছন্দের কারনে ভাঙ্গা হয়েছিল। দীর্ঘদিন জমিটি খালি পড়েছিল।
আমার এই জমিটি রেজিষ্ট্রী করার পর ঢাকা মহানগর দক্ষিণ কৃষক দলের আহ্বায়ক মোঃ কামাল হোসেন ও তার ভাই মোঃ জসিম রেজিস্ট্রীর বিষয়টি জানতে পারে। তখন আমার বাবার সাথে রেগে যায় ও তেড়ে এসে খারাপ ব্যবহার করে, আর বলতে থাকে রনি এই জমি কিনলো কেন? মহিলা বরিশাল থেকে এসে জমি বিক্রি করে চলে যাবে আমরা কি আঙ্গুল চুষবো? রনি জানেনা আমরা যে এখানে ক্লাব বানাবো বলে পরদিন ৭ অক্টোবর ২০২৪ইং তারিখে ক্লাব বানানোর প্রস্তুতি নেয়, ঐ দিনই সকালে আমাদের বাড়ির পুরানো একজন ভারাটিয়া যাকে আমি দাদা বলে ডাকতাম, সে ঐ দিন সকালে ইন্তেকাল করেন। আমি যে জমিটি ক্রয় করি ঐ ক্রয়কৃত খালি জমিতে মৃত লাশটি গোসল করাতে চেয়েছিলো, কিন্তু ঢাকা মহানগর দক্ষিণ কৃষক দলের আহ্বায়ক মোঃ কামাল হোসেন ও তার ভাই মোঃ জসিম সেই লাশটিও গোসল করাতে দেয়নী। পরবর্তীতে আমি এসে আমার পৈত্রিক বাড়ীর ভিতরে লাশটি গোসল করাই। ঐ দিন আমরা লাশটির সাথে আজিমপুর কবরস্থান ছিলাম। পরে এসে আমি আমার ক্রয়কৃত জমির বিষয়টি এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদেরকে জানাই ও কাগজপত্র দেখাই।
তিনি বলেন, গত ৯ অক্টোবর ২০২৪ইং তারিখে ১৫/২০ জন লোক চেয়ারে বসিয়ে তারাহুরা করে রাত পর্যন্ত কাজ করে একটি টিনশেডের ছাপড়া তৈরি করে জমিটি দখল নেওয়ার চেষ্টা করে, আমি লোক মারফত বাধা প্রদান করাই।পরদিন সকলে কামাল হোসেনের ও তার ভাই জসিম সহ সেই ১৫/২০ জন লোক উপস্থিত থেকে জোড়েসোড়ে অবশিস্ট কাজ সম্পূর্ন করার চেষ্টা করে। আমি আমার এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের কে দিয়ে ক্লাব তৈরিতে বাঁধা প্রদান করাই এবং বোঝানোর চেষ্টা করাই কিন্তু কিছুক্ষণ কাজ বন্ধ রেখে কামাল হোসেনের আদেশে পরবর্তীতে আবার কাজ চালু করে। একে একে কয়েকবার বাধা প্রদান করার পরও তারা কারও কথাই পাত্তা দেয়নী। কামাল হোসেন দলের নাম ভাঙ্গিয়ে আমার ওপর অত্যাচার করে আমার জমি দখল করে ক্লাব তৈরি করতে চাচ্ছে। তখন পূজার বন্ধ ছিল, তাই কোর্ট পর্যন্ত যাওয়া সম্ভব হয়নি তাই বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সমন্বয়কদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করি কিন্তু তাও ব্যর্থ্য হয়েছি। বাংলাদেশ স্বাধীন, কারো জমি জোর পূর্বক দখল করে ক্লাব তৈরি করবে এটা কোন দলই সমর্থন ও অনুমতি দেয়না। তাই আমি আমার জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ও আমার বন্ধুবান্ধবদের নিয়ে চারপাশের টিন খুলে ফেলি। কারন জমি একবার বে-দখল হয়ে গেলে উদ্বার করা কষ্টকর হয়ে যেত। আমার জমি উদ্বারের পর সে আমার বাড়ি ভাংচুর করবে, এর জন্য অনেক লোক জড়ো করে এবং গালমন্দ করতে থাকে। কামাল সাহেবের ছোট ভাই মোঃ জসিম আমার বাবা, চাচা ও আমাকে গাছের সাথে বেঁধে পিটাবে বলে চিৎকার করে বলতে থাকে ও ভয়ভীতি দেখাতে থাকে।
তিনি আরো বলেন পরবর্তীতে আমার এক বন্ধুর মাধ্যমে বৈসম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একজন সমন্বয়ক ভাইয়ের সাথে যোগাযোগ করলে সে তাৎক্ষনিক কামরাঙ্গির চর থানার সেনাবাহিনীর ক্যাম্পে যোগাযোগ করে তখন দুই গাড়ি সেনাবাহিনী চলে আসে। সম্মানিত বাংলাদেশ সেনাবহিনীর সদস্যরা এসে আমার সাথে ও জাতীয়তাবাদী ঢাকা মহানগর দক্ষিণ কৃষক দলের আহ্বায়ক মোঃ কামাল হোসেন সাথে কথা বলেন। তারা কামাল হোসেন কে জিঙ্গেস করে এই জমিতে আপনি কিভাবে ক্লাব করতাছেন? সে বলে এটা পূর্বে আওয়ামিলীগের ক্লাব ছিল এখন আমরা ক্লাব করবো। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এখানেকোন ক্লাব ছিল না। সম্মানিত সেনাবাহিনীর মেজর সাহেব ও সেনা সদস্যরা আমাকে জিঙ্গেস করলে আমি আমার জমির যাবতীয় মূল কাজপত্র ওনাদেরকে দেখাই। তখন কামাল সাহেব কে কাগজপত্রের বিষয়ে জিঙ্গেস করলে তার কোনো কাগজপত্র দেখাইতে পারেনি। সম্মানিত বাংলাদেশ সেনাবহিনীর মেজর সাহেব ও সেনা সদস্যরা পূজার ডিউটিতে ছিল, তাই তারা এলাকা শান্ত করে আমাদেরকে কাগজপত্র নিয়ে থানায় যোগাযোগ করতে বলে এবং কামরাঙ্গীরচর থানার ওসি সাহেবকে বিষটি দেখার জন্য অবহিত করেন। পরে রাতে আমি আমার যাবতীয় কাগজপত্র নকশা ও নামজারি আপডেট খাজনা রশিদ সহ থানায় নিয়ে যাই ও দেখাই।আমি কোনো ধরনের রাজনীতির সাথে জড়িত না, সাধারন একজন মানুষ। সাধারন ভাবে জীবন যাপন করতে চাই। আমি ও আমার পরিবারসহ আরও ৪/৫ টি পরিবার জীবনের অনিরাপত্তায় ভুগছি। এই অবস্থায় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের কাছে আকুল আবেদন তাদের অত্যাচার ও নিরাপত্তা প্রদান করতে আকূল আবেদন করছি।
উক্ত সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন মোহাম্মদ রনি, উপস্থিত ছিলেন আফরোজা বেগম,মিনু আক্তার, সামছু মিয়া,আল মাহমুদ সহ পরিবারের অন্যান্য সদস্য বৃন্দ।