কুমিল্লা প্রতিনিধি : কুমিল্লার লাকসামে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে থানা মামলা করায় বাদী সহ তার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। বর্তমানে বাদী ও তার পরিবার পালিয়ে বেড়াচ্ছেন জানা যায় মো: হারুন অর-রশিদ (৪০) পিতা: মৃত হাজী মো: ইয়াছিন, বাদী হয়ে
বিবাদী: ১) মোঃ আবদুল কাদের রিপন(৪০) পিতা: আব্দুল মজিদ, জাতীয় পরিচয় পত্র নং ৮৬৮১৪৪০২৩৯, ২) আব্দুল মজিদ(৬৫) পিতা: মৃত খলিলুর রহমান, উভয়ের সাং কোটইশা (খৈয়াখালী),পো: চাগাও,থানা: লাকসাম,জেলা: কুমিল্লা ।
লাকসাম থানার মামলা নং ৯/১ ২৪
মামলার বিবরণীতে আরও জানা যায় গত ২৯/০৮/২০২৪ইং তারিখ সকাল আনুমানিক ৯:৩০ ঘটিকার সময় কোটইশা খৈয়াখালী বাদী পিতার বাড়ির পিতার মালিকানাধীন মাছের বেড়ির ভিতরে ঘটনা।
বাদী নিজে থানায় হাজির অভিযোগ দায়ের করেন যে, উল্লেখিত বিবাদীগন পরাধন লোভী, অসামাজিক ও সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক বটে। তাহারা এলাকার দেন দরবার বিচার আচার কিছুই মানে না। তাহাদের ভয়ে এলাকার লোকজন সব সময় আতংক গ্রন্থ থাকে। আমার স্ত্রী ঘটনার দিন সকাল অনুমান ৭:০০ ঘটিকার সময়ে আমার নিজ বাড়ি হইতে তাহার পিতার বাড়িতে বেড়াইতে যায়। তাহার পিতার বাড়ি হইতে ঘটনার সময়ে পূর্বে আমার স্ত্রী উক্ত বেড়ির পাড়ে বেড়াইতে যাইয়া দেখেন যে, উল্লেখিত বিবাদীগন তাহার পিতা মালিকানাধীন বেড়িতে কারেন্ট জাল ফেলিয়াছে। সে ১নং বিবাদীকে উক্ত জাল বেড়ি হইতে সরাইয়া নেওয়ার জন্য বলে এবং বাক বিতন্ডার একপর্যায়ে ১নং বিবাদী ভিকটিমকে গালিগালাজ শুরু করে, প্রাণ নাশের বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিতে থাকে, এক পর্যায়ে তার হাতে থাকা লাঠি দিয়ে ভিকটিমকে হত্যার উদ্দেশ্যে তার মাথায় সজোরে আঘাত করলে ভিকটিম নিজের জীবন বাঁচাতে ভাগ্যক্রমে হাত দিয়ে তা প্রতিহত করে, এতে ভিকটিমের ডান হাতের কনিষ্ঠ আঙ্গুল ভেঙ্গে যায়! ২নং বিবাদী তার হাতে থাকা রড দিয়ে ভিকটিমকে হত্যার উদ্দ্যেশে আঘাত করলে ভিকটিম হাত দিয়ে ফেরাতে গেলে তার হাত কেটে রক্তাক্ত জখম জয়। বিবাদীগণ এক পর্যায়ে সমস্ত তাহাকে এলোপাথাড়ি কিল ঘুষি ও লাথি মারিয়া
এবং লাঠি দ্বারা পিঠাইয়া তাহার শরীরের বিভিন্ন অংশে কালা ফুলা দাগ ও বেদনা দায়ক জখম করে। এক পর্যায়ে বিবাদীগন তাহাকে টানা হেচড়া করিয়া তাহার পরনের শাড়ি ও ব্লাউজ চিড়ে ফেলে। সে চিৎকার দিলে, আমিসহ আশে পাশের লোকজন ঘটনার স্থলে উপস্থিত হইয়া বিবাদীদের কবল হইতে তাহাকে আহত অবস্থা উদ্ধার করে ।বিবাদীগন ঘটনার স্থল হইতে চলিয়া যাওয়ার সময় হুমকি দেয় যে, আমি আমার স্ত্রী যদি এই ব্যাপারে তাহাদের বিরুদ্ধে কোন আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করে, তাহলে তাহারা যে কোন সময়ে সুযোগে পাইবে আমাকে ও আমার স্ত্রী এবং আমার ছেলে মেয়েদেরকে বাড়ি হইতে জোর পূর্বক উঠাইয়া নিয়া প্রানে মারিয়া ফেলিবে। উপস্থিত লোকজন ও আমার শ্বশুর আমার স্ত্রীকে আহত অবস্থায় লাকসাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়া চিকিৎসা করায় । অত্র সঙ্গে চিকিৎসার সনদ সংযুক্ত করা হইল। বিষয়টি আমি এলাকার গন্যমান্য লোকজনকে জানাইলে তাহারা আমাকে
আইনের আশ্রয় নেওয়ার পরামর্শ নিয়ে থানায় এসে এজহার দায়ের করিতে বিলম্ব হয়।