ক্ষুধার্ত ফিলিস্তিনি নাগরিকদের ফাঁদে ফেলে হত্যা করছে ইসরায়েল

মঙ্গলবার, জুন ৩, ২০২৫

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: গাজা সরকারের মিডিয়া অফিস এক বিবৃতিতে ইসরায়েলকে “ভয়াবহ ও ইচ্ছাকৃত অপরাধ” করার অভিযোগ এনেছে। তাদের দাবি, ইসরায়েলি বাহিনী খাদ্যের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষুধার্ত প্যালেস্টিনিয়ানদের ফাঁদে ফেলে গুলিবর্ষণ করছে। টেলিগ্রামে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ২৭ মে মার্কিন-সমর্থিত গাজা এইড ফাউন্ডেশন কাজ শুরু করার পর থেকে ইসরায়েল কমপক্ষে ১০২ জন প্যালেস্টিনিয়ানকে হত্যা এবং প্রায় ৫০০ জনকে আহত করেছে।

সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, এ নিয়ে টানা তিনদিন খাবার আনতে যাওয়া মানুষকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়েছে ইসরায়েল। গত রোববার ত্রাণকেন্দ্রের কাছে দখলদাররা ৩৯ জন এবং গতকাল সোমবার আরও তিনজনকে হত্যা করেছিল।

দখলদাররা গাজায় আড়াই মাসের বেশি সময় অবরোধ আরোপ করে রেখেছিল। এরপর গাজা মানবিক ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ) নামে একটি নতুন সংস্থা গাজার কিছু মানুষকে ত্রাণ দেওয়া শুরু করে। কিন্তু এই সংস্থার ত্রাণ কেন্দ্র থেকে বেশিরভাগ মানুষই খালি হাতে ফিরছেন। তারমধ্যে অনেকে আবার ফিরছেন লাশ হয়ে।

ইসরায়েলের সেনাবাহিনী সাধারণ মানুষের ওপর গুলি ছোড়ার তথ্য স্বীকার করেছে। দখলদাররা বলেছে, রাফাতে ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য যে রাস্তা নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছিল; সেটির বাইরে কিছু মানুষ চলে গিয়েছিলেন। তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়।

বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে রেডক্রসের মুখপাত্র জানিয়েছেন তাদের ফিল্ড হাসপাতালে ১৮৪ হতাহতকে নিয়ে আসা হয়েছিল। যারমধ্যে ১৯ জনকে হাসপাতালে আসার পর মৃত ঘোষণা করা হয়। আরও আটজন অল্প কিছুক্ষণ পর সেখানে মারা যান।

জাতিসংঘের মানবাধিকার সহায়তা অফিস জানিয়েছে, সাধারণ মানুষের খাদ্য ত্রাণ পাওয়ার ক্ষেত্রে দখলদার ইসরায়েল যে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে সেটি যুদ্ধপরাধের সামিল।

ইসরায়েলের অবরোধের কারণে গাজায় খাদ্য সংকট তৈরি হয়েছে। এতে করে সেখানকার মানুষের মধ্যে খাবার নিয়ে হাহাকার দেখা যাচ্ছে। বেশিরভাগ সময় না খেয়ে থাকায় এসব মানুষ খাবারের আশায় জীবনের ঝুঁকিও নিচ্ছেন।

সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান, রয়টার্স