
খুলনার খালিশপুর হাউজিং বাজারের বাসিন্দা মো. বাবু নিজ ও পরিবারের ওপর স্থানীয় এক নারীর নির্যাতন ও হয়রানির অভিযোগ এনে খুলনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। রবিবার দুপুর ১ টায় সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করেন, এলাকার চিহ্নিত সুদখোর ও মামলাবাজ মোসাঃ নাজমা ওরফে ‘সুদে নাজমা’র হাত থেকে তাঁরা ও স্থানীয় বাসিন্দারা চরমভাবে নির্যাতিত হচ্ছেন।
লিখিত বক্তব্যে মো. বাবু বলেন, “আমি খুলনা মহানগরের ১২ নম্বর ওয়ার্ড যুব দলের একজন কর্মী। দীর্ঘদিন ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের নির্যাতনের শিকার হয়েছি। এখন তাদের দোসরদের নির্যাতনেও আমরা ভুগছি। খালিশপুর হাউজিং বাজারের বক্কার কলোনির বাসিন্দা সুদে নাজমা একজন চিহ্নিত সুদে কারবারি ও মামলাবাজ মহিলা। তিনি আমার শ্বশুরবাড়ির চার সদস্যসহ আমাকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানি করে আসছেন।”
তিনি আরও জানান, সম্প্রতি খালিশপুরের বাসিন্দা কাজী কাওছার পরিবারের ওপর হামলার ঘটনায় ২ অক্টোবর থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়। এরপর ৩ অক্টোবর রাতে পুলিশ তাঁর বাড়িতে গিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে—যা তাঁর দাবি অনুযায়ী, সুদে নাজমার প্ররোচনায় করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে মো. বাবু অভিযোগ করেন, “সুদে নাজমা এলাকার অভাবী মানুষদের কাছে চড়া সুদে টাকা খাটান। সময়মতো সুদ দিতে না পারলে তাদের ওপর শারীরিক নির্যাতন চালান। তার পরিবারের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে এলাকার মানুষ অতিষ্ঠ। তার ছেলে সোহেল একাধিক বিবাহ করেছে এবং এলাকার মেয়েদের উত্ত্যক্ত করে। পুলিশ ও প্রশাসন এ বিষয়ে নীরব ভূমিকা পালন করছে।”
তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালীন সুদে নাজমা নিজেকে দলীয় পরিচয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছে। এখনো সে প্রভাব খাটিয়ে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করছে।”
সংবাদ সম্মেলনে মো. বাবু প্রশাসনের কাছে সুদে নাজমা ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান। তিনি বলেন, “আমরা ভুক্তভোগীরা এই পরিবারের হাত থেকে মুক্তি চাই, যাতে শান্তিতে বসবাস করতে পারি।”
সংবাদ সম্মেলনে সাথী, সবুজ, শাহিনুর সাহিদা, হীরা, আলেয়া, সুরমা, রোশনী, ভুক্তভোগী রানী, মনিকাসহ স্থানীয় বাসিন্দারা উপস্থিত ছিলেন।