
জাতির সংবাদ ডটকম।।
ফেনীতে নিজ গ্রামের সর্বস্তরের গণমানুষের সাথে আজ এক ইফতার মাহফিলে এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেছেন; জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে হিংসা ও সন্ত্রাসের পুরোনো রাজনীতিকে জনগণ না বলে দিয়েছে। হয়তো আরও কিছুদিন পুরোনো ধাঁচের রাজনীতির প্রভাব থাকবে কিন্তু ধীরে ধীরে তরুণরা নেতৃত্ব গ্রহণ করলে সেটা পেছনে পড়ে যাবে। কেউ চাইলেই আর এদেশে ফ্যাসিবাদী শাসন ফিরিয়ে আনতে পারবেনা।
ফেনী জেলা সদরের শর্শদী ইউনিয়নের সর্বস্তরের নাগরিকদের উদ্যোগে আজ স্থানীয় শর্শদী স্কুল মাঠে আয়োজিত গণইফতার অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য প্রদানকালে তিনি একথা বলেন। শর্শদী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান, ফেনী জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি জননেতা এডভোকেট নুরুল ইসলাম অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন এবি পার্টি ফেনী জেলা কমিটির সদস্যসচিব অধ্যাপক ফজলুল হক ও ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আউয়াল বাবলু। অনুষ্ঠিত ইফতার মাহফিলে বক্তব্য রাখেন ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক তারেক ইকবাল মনি, খেলাফত মজলিসের ফেনী জেলা সহসভাপতি মাওলানা ইসমাঈল হায়দার, যুবদল নেতা শাহগীর চৌধুরী, এবি পার্টির বিভাগীয় সহ. সাংগঠনিক সম্পাদক প্রকৌশলী শাহ আলম বাদল, এনসিপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আজিজুর রহমান রিজভী প্রমূখ।
মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, যারা একসময় মনেকরেছিল রাষ্ট্র ক্ষমতা মানেই ইচ্ছামত মানুষকে শোষণ করার সুযোগ, সন্ত্রাস,-চাঁদাবাজি-দখলস্বত্বের মাধ্যমে অঢেল সম্পদ বানানোর লাইসেন্স! তারা আজ হাড়ে হাড়ে উপলব্ধি করছে ক্ষমতার অপব্যবহারের পরিণাম কত ভয়াবহ। ইতিহাসে দুর্নীতিবাজ ও লুটেরাদের করুণ পরিণতির কথা লিখা থাকলেও ক্ষমতা পেলেই সবাই সেটা ভুলে যায়। দুই বড় দলের ক্ষমতার পালাবদলে এত হিংসা হানাহানি ও প্রতিশোধ পাল্টা প্রতিশোধের ধকলে এই দেশের নাগরিকেরা আজ ক্লান্ত। জনগণ এবার তাই গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে এর অবসান ঘটানোর ইঙ্গিত দিয়েছে। ফেনীকে ‘সন্ত্রাসের জনপদ’ এর পরিবর্তে বাংলাদেশের মানুষের জন্য ‘অনুপ্রেরণা ও উপলব্ধির জনপদ’ হিসেবে গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন; অতীতের সকল ঘটনার সুষ্ঠু ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে পারলে ফেনীতে প্রতিহিংসার রাজনীতি চিরতরে বন্ধ হবে। গডফাদারদের ইতিহাস ও তাদের পরিণতি ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যখন জানবে তখন তারা উপলব্ধি করতে শিখবে। দল মত নির্বিশেষে ফেনীর সকল তরুণরা ঐক্যবদ্ধ থাকলে ফেনীর রাজনীতিবিদেরাও আর বিভেদের চর্চা করতে পারবেননা বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
গণইফতারে আরও উপস্থিত ছিলেন এবিপার্টি ফেনী জেলা আহবায়ক মাষ্টার আহছান উল্যাহ, এবি পার্টির সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক আফলাতুন বাকি, যুগ্ম সদস্য সচিব নজরুল ইসলাম কামরুল, এবি পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক শাহাদাত সাজু, কোষাধক্ষ্য মাস্টার শাহ আলম শাহীন সুলতানি, জামায়াতের ইউনিয়ন আমির মাওলানা কাজী ফায়জুল্লাহ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক মুফতি মিনার, এবি পার্টির সমাজকল্যাণ সম্পাদক এবি সিদ্দিক, প্রচার ও মিডিয়া সম্পাদক সাংবাদিক হাবীব মিয়াজী, পৌর শাখার আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ সেলিম, সদস্য সচিব অধ্যাপক রিজওয়ানুল খায়ের, ছাত্রপক্ষের নেতা মাজহারুল জয়, এবি যুব পার্টির আহবায়ক পারভেজ, সদস্য সচিব এসএম ইব্রাহিম সোহাগ, কাজী জাহাঙ্গীর, নারী নেত্রী সাহানা আক্তার সানু, হুরে জান্নাত প্রমুখ।