গাইবান্ধার মেহেদী এখন থাম্মাসাট ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী

বৃহস্পতিবার, আগস্ট ৭, ২০২৫

 

বেরোবি প্রতিনিধি,
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি), রংপুর-এর দুর্যোগ বিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থী মাহামুদুল হাসান মেহেদী থাইল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি অফ থাম্মাসাট-এ মাস্টার্স ডিগ্রির জন্য ফুল ফান্ডেড স্কলারশিপ পেয়েছেন। শুধু স্কলারশিপই নয়, একইসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্যাপক তার গবেষণার কাজে রিসার্চ অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন, যার জন্য তিনি আলাদা অর্থ সহায়তাও পাবেন।

স্কলারশিপ বাবদ মেহেদী প্রতি মাসে পাচ্ছেন ২০,০০০ থাই বাথ, যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৭৫,৬০০ টাকা (১ বাথ = ৩.৭৮ টাকা হিসেবে)। এর বাইরে রিসার্চ অ্যাসিস্ট্যান্টশিপ বাবদ পাচ্ছেন ১০,০০০ বাথ, যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৩৭,৮০০ টাকা। সব মিলিয়ে প্রতি মাসে তিনি পাচ্ছেন প্রায় ১,১৩,৪০০ টাকা।

গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার চাঁদপাড়া, কোচাশহর ইউনিয়ন, পশ্চিম সিংগা গ্রামের মৃত মো. মোস্তাফিজার প্রধান ও কল্পনা দম্পতির একমাত্র সন্তান মেহেদী। এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ৫.০০ এবং এইচএসসিতে ৪.৫০ অর্জন করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁর সিজিপিএ ৩.৬৪ এবং আইইএলটিএসে পেয়েছেন স্কোর ৭। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার পাশাপাশি তিনি বাঁধন, ব্রডা ডিবেট ক্লাবসহ বিভিন্ন সংগঠনের সাথে যুক্ত ছিলেন।

শুধু একাডেমিক নয়, গবেষণার ক্ষেত্রেও রেখেছেন অনন্য দৃষ্টান্ত। ইতোমধ্যে তার ১৩টি গবেষণা প্রবন্ধ আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে এবং ৪ বার আন্তর্জাতিক ও জাতীয় সম্মেলনে পোস্টার উপস্থাপন করেছেন। বর্তমানে তিনি বেরোবির একই বিভাগের অধ্যাপক ড. আবু রেজা মোঃ তৌফিকুল ইসলামের অধীনে একজন রিসার্চ অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে কাজ করছেন।

এই সফলতা সম্পর্কে জানতে চাইলে মেহেদী বলেন,
“আমি মূলত ৩য় বর্ষ থেকেই গবেষণার কাজ শুরু করি। কঠোর পরিশ্রমের পর যখন এমন স্বীকৃতি আসে, তখন সেটার আনন্দ ভাষায় প্রকাশ করার মতো না। শুক্রবার নামাজ পড়ে ফিরে ল্যাপটপে স্কলারশিপের ইমেইলটা দেখি, সেই মুহূর্তটা আমার জীবনের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি।”