
ইবি প্রতিনিধি:
কুষ্টিয়ায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনের গাজায় চলমান নৃশংস হত্যাকাণ্ড, দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বর সন্ত্রাসী আগ্রাসন ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রতিবাদে সর্বাত্মক শাটডাউন পালিত হয়েছে।
বুধবার (০৯ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত এই কর্মসূচি পালিত হয়। কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় এক দোয়া মাহফিল, মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এই কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী, ক্রিয়াশীল সকল ছাত্রসংগঠনের নেতাকর্মীসহ সংশ্লিষ্ট সকল স্তরের মানুষ অংশগ্রহণ করেন। তারা নির্যাতিত ফিলিস্তিনি জনগণের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেন এবং অবিলম্বে গণহত্যা বন্ধে আন্তর্জাতিক পদক্ষেপের আহ্বান জানান।
এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, “ইসরায়েল যেভাবে নির্বিচারে গণহত্যা করছে, আমরা তাদের জন্য বদদোয়া করব, মনে মনে ঘৃণা করব এবং নফল নামাজ পড়ে দোয়া করব যেন আল্লাহ ফিলিস্তিনিদের রক্ষা করেন এবং ইসরায়েলকে ধ্বংস করে দেন।”
উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. এয়াকুব আলী বলেন, “ফিলিস্তিনের গাজা ও রাফায় ইহুদিবাদী ইসরায়েল যে নির্বিচার গণহত্যা চালাচ্ছে, তার প্রতিবাদে মুসলিম এবং অমুসলিম দেশগুলোতে প্রতিবাদ হয়েছে, জেলা, উপজেলা এবং গ্রামেও প্রতিবাদ হয়েছে। যদি আরব বিশ্বের শক্তিশালী নেতারা সক্রিয় হতেন, তাহলে গাজায় এভাবে গণহত্যা হতো না। ওআইসি, আরব লীগসহ সকল আরব নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে এসব উগ্রবাদী, ইহুদিবাদী সরকার ধ্বংস করে দেওয়ার অনুরোধ জানান তিনি। আমরা শেষ রক্তবিন্দু অবধি ফিলিস্তিনের পক্ষে কথা বলে যাব।”
উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, “গাজায় সংগঠিত হত্যাযজ্ঞের বিরুদ্ধে সারাবিশ্বে ন্যায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত সর্বাত্মক শাটডাউন প্রোগ্রামে আসার জন্য সবাইকে স্বাগত জানাই। আমাদের মনের ভাষা এবং মুখের ভাষা আগে থেকেই শুরু হয়েছে। ‘ফ্রি ফ্রি প্যালেস্টাইন’ আমাদের ভাষা। গত ৭ অক্টোবর ২০২৩ থেকে ইসরায়েল যেভাবে গণহত্যা চালাচ্ছে, তাতে আমরা নির্বাক ও হতবাক। এই হত্যাযজ্ঞের বিরুদ্ধে ছাত্রসমাজ ও সাধারণ মানুষ প্রতিবাদ করছে, কিন্তু কোনো রাষ্ট্রনায়ক প্রতিবাদ করছেন না। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। আরব বিশ্ব কোনো কথা বলছে না। ইসরায়েল মানবতার শত্রু, তারা মুসলিমদের শত্রু। মুমিনদের কাজ হলো সশস্ত্র সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়া ও প্রতিবাদ করা। ‘ক্রাশ ডাউন ইসরায়েল’। মানবতার শত্রু ইসরায়েলকে ‘ক্রাশ ডাউন’ করতে হবে। ফিলিস্তিনের ভূখণ্ড ফিরিয়ে দিতে হবে এবং ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সারাজীবন লড়াই করার জন্য আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে।”
সবশেষে ফিলিস্তিনিদের রক্ষা ও ইসরায়েলের ধ্বংস কামনা করে দোয়া-মোনাজাত করা হয়।