দিলীপ কুমার দাস ( প্রধান সংবাদদাতা )
ময়মনসিংহ বিভাগ।
হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী স্বাধীনতার স্বপ্নদ্রষ্টা সোনার বাংলা গড়ার মহানায়ক, বাঙ্গালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৫৩ সনের ১৩ এপ্রিল শনিবার ময়মনসিংহ জেলার ঐতিহাসিক গৌরীপুরে প্রথম শুভাগমন করেছিলেন। গৌরীপুর থানা আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক, গণপরিষদ সদস্য, বাংলাদেশের সংবিধানের স্বাক্ষরকারী বীরমুক্তিযোদ্ধা হাতেম আলী মিয়ার আমন্ত্রনে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিমলীগ গৌরীপুর থানা শাখার উদ্যোগে আয়োজিত যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনের প্রচারনায় গৌরীপুর বাজার ময়দানে ( বর্তমান শহীদ হারুন পার্ক ) এক বিশাল জনসভায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাৎপর্য ভাষন দান করেছিলেন।
আজকের এই দিনটি গৌরীপুরের ইতিহাস ও ঐতিহ্যে একটি স্মরণীয় ও গৌরবের দিন।
আমাদের ভাষা আন্দোলন ও মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে আজকের এই দিনটির তাৎপর্যের কথা বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে তুলে ধরা একান্তই প্রয়োজন।
মহান মুক্তিযোদ্ধের স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের গৌরীপুরের মাটিতে শুধুমাত্র পদধূলি দিয়ে যাননি রেখে গেছেন তার তার আদর্শের অকুতোভয় অসংখ্য অনুসারী। তার মধ্যে থানা আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সভাপতি গণপরিষদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা হাতেম আলী মিয়া,( সাবেক) সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা খালেদুজ্জামান, ( সাবেক ) সভাপতি জমশেদ আলী,( সাবেক ) সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সামাদ,( সাবেক ) সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা: এম.এ সোবহান ছাত্রনেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল হক সহ আরও অনেকে।
বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মানে তার সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার দিক নির্দেশনায় নিরলস ভাবে পরিশ্রম করে যাচ্ছেন সেই সব নেতৃবৃন্দের বর্তমান প্রজন্ম।
আজকের এই দিনটির গুরুত্ব ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে তুলে ধরা এবং এই দিবসটিকে যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপনের লক্ষ্যে গৌরীপুরের সকল শ্রেণীর পেশার মানুষ, সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও ছাত্র ছাত্রীসহ সাংস্কৃতিক সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠন সমূহের সকলের প্রতি বিনীত আহবান জানিয়েছেন গৌরীপুর সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের নেতৃবৃন্দ।