জাতির সংবাদ ডটকম।।
বুধবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাব প্রাঙ্গনে গণমুক্তি জোটের চেয়ারম্যান ডা. শাহরিয়ার ইফতেখার ফুয়াদ এর সভাপতিত্বে অংশগ্রহণ মূলক নির্বাচনের দাবীতে মাননবন্ধন ও নির্বাচন কমিশন অভিমুখে পদযাত্রা এবং প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে পারক লিপি প্রদান উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভাপতির আলোচনায় ড. শাহরিয়ার ইফতেখার কুয়ান বলেন, ক্ষমতায় থাকা দুটো রাজনৈতিক দলই ১৯০ এর গণঅভ্যুত্থানের অধীকার আইনের শাসন, সুশাসন, ন্যাযাক্সিরে, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা দিতে কর্ণ হয়েছে। দুই দলের নেতাকর্মীর বাইরে একটি বৃহৎ মধ্যবিত্ত, কৃষক-শ্রমিক শামিপ্রিয় জনগোষ্ঠি রয়েছে। স্বাধীনতার ৫০ বছরেও তাদের মৌলিক চাহিদা পূরণ করা যায়নি। তারা নতুন করে তাদের নির্বাচন করতে চায়। তারা স্বাধীনভাবে ভোট দিতে চায়। গণমুক্তি ছোট সাইলেন্ট মেজরিটিকে ঐক্যবদ্ধ করে সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের লক্ষ্যে দেওয়া ৭ দফা দাবী আদায় করতে বদ্ধ পরিকর।
৭ দফা দাবীসমূহ হল:
তফসীল ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে সংসদ ভেঙ্গে দিতে হবে , মন্ত্রীসভা ছোট করতে হবে এবং মন্ত্রীসভায় বিরোধী দলগুলোর প্রতিনিধি যুক্ত করতে হবে , স্বরাষ্ট্র ও জনপ্রশাসন মন্ত্রাণালয়কে সরাসরি নির্বাচন কমিশনের অধীনে আনতে হবে , নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীন ও শক্তিশালী করতে আইন সংশোধন করতে হবে যাতে সরকার নির্বাচন কমিশনের আদেশ নির্দেশ মেনে চলতে বাগা থাকে , সকল নির্বাচনে পোলিং এজেন্ট প্রথা বাতিল করতে হবে , প্রবাসীদের অনলাইনে ভোট প্রদানের ব্যবস্থা করতে হবে , সকল নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তার নির্বাচন কর্মকর্তাকে দিতে হবে।
জোটের প্রধান সমন্বয়ক আৰু পায়েস মুন্না অনুষ্ঠানের মূল বক্তার আলোচনায় বলেন, গত কয়েকদিন ধরে পত্রিকা মারফত জান পারছি নির্বাচন কমিশন ডিসিদের কাছে সহায়তা চাচ্ছে এবং তা দেওয়ার জন্যও ডিসিয়া কথা নিচ্ছেন। আমরা এরকম সহা কথা বলছি না/আমরা বলছি- নির্বাচন কমিশনের প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতার প্রশ্নে নির্বাচনকালীন সময়ে রাষ্ট্র এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কমিশনের অধীনে দেয়ার সুনির্দিষ্ট আইন পাশ করতে হবে। তিনি পোলিং এজেন্ট প্রথা বাতিল প্রসঙ্গে বলেন বর্তমানে দেশে প্রায় অর্ধশত দল নিবন্ধিত এছাড়াও অনেকে সতর নির্বাচন করে যদি একটি কেন্দ্রে ৫০ জন প্রার্থী থাকে এবং তাদের পোলিং এজেন্ট থাকে তাহলে ভোটারদের প্রভাবিত করতে এবং ভোট সেন্টার থেকে বালট বাক্সে আগ ভোট দিতে আর কিছুই লাগে না। তাই এই প্রথা বাতিল করতে হবে। তিনি আরও বলেন যেহেতু নির্বাচন করে নির্বাচন কমিশন তাই নির্বাচ কর্মকর্তাকেই রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগ দিতে হবে।
প্রধান অতিথির আলোচনায় বীর মুক্তিযোদ্ধা মোয়াজ্জেম হোসেন খান মজলিশ বলেন সুষ্ঠ, গ্রহনযোগ্য ও অংশগ্রহণ মূলক নির্বাচনের জন্য আজকে ঘোষিত দাবীগুলো অবশ্যই আইন হিসেবে পাশ করতে হবে। সেই সাথে ক্ষমতা, টাকা ও গোষ্ঠিগত দাদাগীরি থেকে নির্বাচনকে মুক্ত রাখতে হবে।
এছাড়াও সভায় বক্তব্য রাখেন জোটের কো-চেয়ারম্যানবৃন্দ মোঃ আকতার হোসেন, রোয়ার হোসেন ও মোঃ মমতাজ উি মজুমদারসহ জোটের সময়।
সভায় জোটের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন জেলার নেতৃবৃপ ও শরিক দলসমূহের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিল।