গ্রামবাসীকে ঈদগাহ উপহার দিলেন মুফতি আবুল হাসিম

মঙ্গলবার, এপ্রিল ১, ২০২৫

এস আর রুবেল মিয়া।। হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার মাধবপুর গ্রামবাসীকে ঈদগাহ ময়দান উপহার দিলেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী খোয়াই এয়ার ট্রাভেলসের প্রোপ্রাইটর হযরত মাওলানা মুফতি আলহাজ্ব আবুল হাসিম।

 

গত সোমবার (৩১ মার্চ) ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায়ের মাধ্যমে এ ঈদগাহ উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধন করেন আমরোড স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ আলহাজ্ব মোঃ আব্দুর রউফ।

নামাজের পূর্বে মাধবপুর হাজী জোবেদা সুন্নিয়া দাখিল মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক ফজলুল হকের পরিচালনায় গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন আলহাজ্ব অধ্যক্ষ মোঃ আব্দুর রউফ, বিশিষ্ট মুরুব্বি দিদার আলী, শায়েস্তাগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ জামে মসজিদের খতিব আলহাজ্ব মাওলানা ইরফান আলী, কৃষি ব্যাংকের ম্যানেজার নাসির উদ্দিন, উবাহাটা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আলহাজ্ব আব্দুল মালেক, মাধবপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পরিচালনা কমিটির সাবেক সভাপতি ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোঃ আক্তার মিয়া, হবিগঞ্জ জজ কোর্টের আইনজীবী শামসুল হক, হাজী শফিক আলী, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী তাজুল ইসলাম, মাওলানা আব্দুস সামাদ, নুর মোহাম্মদপুর কামিল মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা আজমান আলী, ডা. আশরাফুল ইসলাম সুজনসহ প্রমুখ। নামাজ শেষে গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে জমিদাতা খোয়াই এয়ার ট্রাভেলসের প্রোপ্রাইটর হযরত মাওলানা মুফতি আলহাজ্ব আবুল হাসিমকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান গ্রামবাসীসহ এলাকাবাসী এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়।

ঈদুল ফিতরের নামাজের ইমামতি করেন মাধবপুর জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা আব্দুল হান্নান। মোনাজাত পরিচালনা করেন হযরত মাওলানা মুফতি আলহাজ্ব আবুল হাসিম। মোনাজাতে দেশ-বিদেশে অবস্থানরত সকলের মঙ্গল কামনা করা হশ।

 

ঈদগাহ’র জমিদাতা হযরত মাওলানা মুফতি আলহাজ্ব আবুল হাসিম জানান, এ গ্রামের নিকটবর্তী কোনো ঈদগাহ ময়দান না থাকায় এলাকাবাসী ঈদ নামাজ পড়তে অনেক কষ্ট পোহাতেন। তাই আমার বাবা-মা (মরহুম আলহাজ্ব আব্দুছ ছাত্তার ও মরহুমা ফুলজান বিবি) এর রূহের মাগফিরাত কামনায় এবং ঈদ নামাজ পড়তে এলাকাবাসীর সুবিধার জন্য এ ঈদগাহের জমি দান করেছেন। আমি মৃত্যুর পুর্ব মুহুর্ত পর্যন্ত সমাজের উন্নয়নে ভুমিকা রাখতে চাই।

উল্লেখ্য যে, হযরত মাওলানা মুফতি আলহাজ্ব আবুল হাসিম। দীর্ঘদিন ধরে দূর্গাপুর এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানের গরীব অসহায় মানুষকে সার্বিক সহযোগীতাসহ মসজিদ মাদ্রাসার ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দান করে আসছেন।