চড়ুইভাতির আয়োজনে গলাচিপার পরিবার

শনিবার, জানুয়ারি ১৪, ২০২৩

 

 

মোঃ আনোয়ার হোসেন।।  শুক্রবার বিকেল ৩,৩০ মিঃ শিল্পকলা একাডেমিতে বৃহত্তর পটুয়াখালী জেলার ঢাকাস্থ গলাচিপাবাসীর সম্মিলিত কিছুটা আনন্দ খুঁজতেই একটি বড় উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে এ আয়োজনে গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

 

বাংলার ঋতু বৈচিত্র্যের অনেকখানি জায়গাজুড়ে শীতের অবস্থান। এ মৌসুমে সবাই ভ্রমণ কিংবা পিকনিকের আমেজে থাকেন।

মাঝেমধ্যে শিতের মৌসুমে গ্রামের ছোট ছোট কোমলমতি শিশুরা ছোট উৎসবের আয়োজন করে থাকে। তার মধ্যে অন্যতম চড়ুইভাতি।‘হিল্লোল তুলে কল্লোলে চলিয়া যায়’, প্রান্তর গহিন সবুজ আর ফুলেল হয়ে ওঠে সজীব।

তেমনই একটি আয়োজন করলো ঢাকাস্থ গলাচিপার পরিবার যেখানে সবাইকে বিভিন্ন সেগমেন্ট দেওয়া থাকে। সেগমেন্ট অনুসারে, কেউ অভিনয়, কেউ গান, কেউ কমেডি ও মূকাভিনয় করে এর পরে ছিল খাবার আয়োজন মাঝে মাঝে ছোট ছোট পরিচয়যুক্ত বক্তৃতা।

 

এ প্রসঙ্গে উপস্থিত বক্তারা বলেন, ‘পারস্পরিক সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্কের ভিত মজবুত করার প্রয়াস থাকবে সবসময়।’

সারাদিনের চিরায়ত পরিশ্রমে সূয্যি মামা ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়লেও ক্লান্তির কোনো ছাপ ছিল না গলাচিপার পরিবার দের চোখে-মুখে।

 

গ্রামীণ আবহে ছোট্টবেলার সেই চড়ুইভাতির ঐতিহ্য আজকের প্রযুক্তির উৎকর্ষতায় যেন বিলীন হয়ে যেতে বসেছে। তারুণ্যের গ্রামীণ সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে তুলে ধরতে পলিস্নর চিরায়ত অংশ চড়ুইভাতির আসল রূপ ও রস, সৌন্দর্য, তাৎপর্য তুলে ধরা উচিত বৈ কি।

 

এতে করে বাঙালির ঐতিহ্য রক্ষা ও ইতিহাসের পাতায় স্মরণীয় হয়ে থাকবে বহুকালব্যাপী। দ্বিধাহীন ছন্দে বলতে চাই, ‘একটি দিনের মুছলো স্মৃতি, ঘুচল চড়ুইভাতি, পোড়াকাঠের ছাই পড়ে রয়, নামে আঁধার বাতি’। সকলে একসাথে হয়ে আনন্দে আত্মহারা হয়েছিলাম ভেবেছিলাম গলাচিপার মধ্যেই আলোচনা চলছে।এভাবেই পারস্পরিক সম্পর্ক স্থায়িত্ব বজায় রেখে আবার ফিরে আসবে শুদিন সেই কামনায় এগিয়ে যাবে গলাচিপার পরিবার।

 

চড়ুইভাতি আয়োজনে সার্বিক সহযোগিতারয় ছিলেন, মোঃ রহমান মিজান,আঞ্জুমান আরা (এ্যানি) তারান্না তান্নুম (লিজা)ও এ্যানি সাইমুন প্রমুখ।