চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী দিবস- ২০২৩ ও নবিন বরণ অনুষ্ঠান

বৃহস্পতিবার, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২৩

 

জাতির সংবাদ ডটকম।।

জাতিসংঘের ঘোষণা অনুযায়ী বাংলাদেশের ন্যায় বিশ্বর সকল দেশের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী (আদিবাসী ও ট্রাইবাল) জাতিগোষ্ঠী নিজস্ব ভাষা সংরক্ষণ ও তাদের ভাষায় পাঠ্যবই প্রদানের দাবিতে

ফোজিত শেখ বাবুর ১৪ বছরের বাংলাদেশের শিক্ষায় সফলতার চিত্র নিয়ে আলোকচিত্র প্রদর্শনী

 

“শিক্ষায় সম্প্রীতির বাংলাদেশ”

(Bangladesh of Harmony in Education)

 

স্থান: উপজেলা পরিসদ অডিটিয়াম চত্তর, চাঁদপুর সদর, চাঁদপুর।

তারিখ: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩, দিন ব্যাপী

সকাল ১০ টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত সকলের জন্য উন্মক্ত।

উক্ত অনুষ্ঠানে আপনারা সকলে সবিনয় আমন্ত্রিত।

চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ও আলোকচিত্র শিল্পী ফোজিত শেখ বাবুর যৌথ আয়োজনে।

প্রধান অতিথি : ডা. দীপু মনি, এমপি

মাননীয় মন্ত্রী, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার।

স্বাগত বক্তব্য : প্রকৌশলী মেজর মো. আবদুল হাই (অব.), রেজিস্ট্রার, চাঁবিপ্রবি।

সভাপতির বক্তব্য : প্রফেসর ড. মো. নাছিম আখতার, মাননীয় উপাচার্য, চাঁবিপ্রবি।

 

“শিক্ষায় সম্প্রীতির বাংলাদেশ”- আলোকচিত্র শিল্পী ফোজিত শেখ বাবু

 

ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর নিজস্ব মাতৃভাষায় শিক্ষাদানের সুযোগ তৈরিতে জাতিগত বৈষম্য হ্রাস পেয়ে গড়ে উঠেছে শিক্ষায় সম্প্রীতির বাংলাদেশ। এই ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর শিক্ষার্থীরা মাতৃভাষায় শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ পাওয়ায় তাদের অগ্রযাত্রা এখন টেকসই এবং অপ্রতিরোধ্য।

আদিবাসী ও ট্রাইবাল জনগোষ্ঠী সংক্রান্ত আইএলও কনভেনশন-১৯৫৭ (নং ১০৭)-এর ২৩নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, ১৯৭২ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশনায় এ সনদে স্বাক্ষর করে বাংলাদেশ। এর মাধ্যমে আন্তর্জাতিকভাবে বিশে^র সকল ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মাতৃভাষা সংরক্ষণ ও নিজস্ব মাতৃভাষায় পাঠদানের সনদ দেয়া হয়।

বাংলাদেশে বসবাসরত ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সংখ্যা ৩৭টি। এরমধ্যে ১৮টি ভাষা রয়েছে বিপন্ন অবস্থায়। ধুকতে থাকা এই ভাষাগুলো টিকিয়ে রাখতে আশা দেখিয়েছিল ২০১০ সালের শিক্ষানীতি; যেখানে ‘আদিবাসীসহ সকল ক্ষুদ্র জাতিসত্ত্বার জন্য মাতৃভাষায় শিক্ষার ব্যবস্থা করাকে সরকার প্রাথমিক শিক্ষার লক্ষ্য হিসেবে নিয়েছিল।

এরপর ২০১২ সালে শিক্ষাবান্ধব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার প্রথম দফায় ৫টি মাতৃভাষায় প্রাথমিক স্তরের পাঠ্যপুস্তক প্রণয়নের উদ্যোগ নেয়। ২০১৭ সাল থেকে এই পর্যন্ত ৫টি ভাষায় (চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, সাদবি ও গারো) প্রায় ১৫ লাখ বিনামূল্যে পাঠ্যবই বিতরণ করেছে সরকার। পরিকল্পনা অনুযায়ী সংরক্ষিত আরও ১৩টি ভাষার বই প্রস্তুতের কাজ চলমান রয়েছে।

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে শিক্ষা ও ভাষা অনুরাগী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী (আদিবাসী ও ট্রাইবাল) জনগোষ্ঠীর সংরক্ষিত সকল ভাষার বই বিতরণের মহৎ কর্মযজ্ঞ সুষ্ঠু ও সফলভাবে সম্পন্ন হওয়ার আশা করছে।

বাংলাদেশে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর অধিকাংশ জাতির মানুষেরা তাদের নিজস্ব মাতৃভাষায় লেখাপড়া ও বলায় শুধুমাত্র পারিবারিক গ-িতেই সীমাবদ্ধ ছিল। বৃহৎ জাতিগোষ্ঠীর ভাষার আধিপত্যের কারণে পারিবারিক গ-ির বাইরে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মাতৃভাষার বর্ণমালা প্রায় বিপন্ন। নৃ-গোষ্ঠীর বয়োজ্যেষ্ঠ মানুষ ছাড়া নিজস্ব মাতৃভাষায় কথা বলাও প্রায় বিলুপ্ত হয়ে আসছিল। বাংলাদেশে বসবাসরত ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সংখ্যা ৩৭টি হলেও এদের মধ্যে স্বল্প সংখ্যক ভাষার বর্ণমালা আছে। ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর নিজস্ব ভাষায় বই বিতরণের উদ্যোগ তাই সকল ক্ষেত্রে প্রশংসনীয়। এ ভাষা সংরক্ষণ সমগ্র দেশ ও জাতির জন্য সম্মান ও গৌরবের।

জাতিসংঘ কর্তৃক আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের স্বীকৃতি ও প্রচলন, বিশে^র সকল জনগোষ্ঠীর মাতৃভাষার জন্য বিরল সম্মান অর্জন। এটি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিশ^ সম্প্রদায়ের প্রতি অকুণ্ঠ ভালোবাসার একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসাবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে।

আশির দশকে পাঠ্যবইয়ের অভাবে বিদ্যালয়ে লেখাপড়ার স্বপ্ন ভঙ্গ হয়েছিলো আমার। পরবর্তীকালে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে মূলভাষার সাথে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর নিজস্ব মাতৃভাষার ও প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীদের নতুন পাঠ্যবই বিনামূল্যে বিতরণের চিত্র প্রবলভাবে আলোড়িত করেছে আমাকে। গভীর আবেগ থেকেই নিজের না পাওয়ার বেদনায়, অন্যের পাওয়ার আনন্দ থেকেই আমার এই ক্ষুদ্র প্রয়াস। সারাদেশের বিদ্যালয়ে বিনামূল্যে নতুন পাঠ্যবই বিতরণের চিত্র তুলে ধরে আমার আলোকচিত্র প্রদর্শনী “শিক্ষায় সম্প্রীতির বাংলাদেশ” ।