পটুয়াখালী প্রতিনিধি: কর্তব্যরত চিকিৎসকের অবহেলায় পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় রোগী মৃত্যুর অভিযোগে কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক ডা: জে এইচ খান লেলিন ও সিনিয়র স্টাফ নার্স মোসাম্মৎ আসমা বেগমের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বুধবার ভিকটিমের চাচা অ্যাডভোকেট মোঃ নুরুজ্জামান সিকদার বাদী হয়ে কলাপাড়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ মামলা দায়ের করেন। বিজ্ঞ আদালত পিবিআই, পটুয়াখালীকে ১৩ ফেব্রুয়ারি আদালতে তদন্ত রিপোর্ট দাখিলের নির্দেশ দেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২১ ডিসেম্বর ২০২২ উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের মোহনপুর গ্রামের মোঃ মাকসুদুর রহমান সিকদারের পুত্র ভিকটিম স্বপন সিকদারকে শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যায় মুমূর্ষ অবস্থায় চিকিৎসার জন্য কলাপাড়া হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তার চিকিৎসার সুব্যবস্থা না করে টাকা উপার্জনের অসৎ উদ্দেশ্যে তার ব্যক্তিগত কলাপাড়া ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য পাঠায়। এরপরে পরীক্ষার রিপোর্টসহ ভিকটিমকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে অভিযুক্তরা যথাযথ চিকিৎসা সেবা না দিয়ে দায়িত্ব অবহেলা করে সময় ক্ষেপণ করতে থাকে।
একপর্যায়ে জরুরি বিভাগের একজন নার্স ভিকটিম স্বপন সিকদারকে অক্সিজেন মাস্ক পরিয়ে দেয়। এতে সে কিছুটা সুস্থ বোধ করছিল। কিন্তু পরক্ষণেই অক্সিজেন মাস্ক খুলে ভর্তির জন্য তাকে দোতলায় পাঠিয়ে দেয়া হয়। এতে তার শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়ায় পুনরায় মাস্ক পরিয়ে দেয়ার জন্য অভিযুক্তদের প্রতি ভিকটিম আকুতি মিনতি করে শুরু করে। কিন্তু অভিযুক্তরা অক্সিজেন মাস্ক তাকে না পরিয়ে ডিউটি শেষ বলে চলে যায়। এরই মধ্যে স্বপন সিকদার মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। বাদীর দাবি অভিযুক্তদের চিকিৎসা অবহেলার কারণে স্বপন সিকদার মারা গেছেন।
উল্লেখ্য, অভিযুক্ত চিকিৎসক জে এইচ খান লেলিন ইনজুরি সার্টিফিকেটে অর্থের বিনিময়ে সাধারণ জখম কে গুরুতর এবং গুরুতর জখম কে সাধারণ উল্লেখ করে মেডিকেল সনদ সরবরাহ করেন। এ নিয়ে তার বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ এবং মামলা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে ডাক্তার জে এইচ খান লেলিন জানান, তিনি ওই রোগীকে যথাযথ চিকিৎসা সেবা দিয়ে পরবর্তীতে সরকারি কাজে হাসপাতালের বাহিরে ছিলেন। তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সঠিক নয়।