
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ট্রাম্প প্রস্তাব দিয়েছেন, ন্যাটো যেন একটি জোট হিসেবে চীনের ওপর ৫০ থেকে ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে, যাতে রাশিয়ার ওপর চীনের অর্থনৈতিক প্রভাব দুর্বল হয়।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তিনি রাশিয়ার বিরুদ্ধে আরো কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে প্রস্তুত। তবে শর্ত হলো ন্যাটোভুক্ত দেশগুলোকে রাশিয়া থেকে তেল কেনা বন্ধ করতে হবে।
নিজের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া পোস্টে ট্রাম্প লেখেন, ন্যাটো দেশগুলো একই পদক্ষেপ নিতে রাজি হলে এবং তেল কেনা বন্ধ করলে তিনি রাশিয়ার ওপর বড় ধরনের নিষেধাজ্ঞা দেবেন।
আগেও মস্কোর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন ট্রাম্প। কিন্তু রাশিয়া সময়সীমা ও সতর্কবার্তা উপেক্ষা করলেও এখনও কোনও বাস্তব পদক্ষেপ নেননি তিনি।
রাশিয়ার তেল কেনার বিষয়টিকে অবিশ্বাস্য বলে উল্লেখ করেন ট্রাম্প। একইসঙ্গে ন্যাটো দেশগুলোকে চীনের ওপর ৫০ থেকে ১০০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপ করার পরামর্শ দেন। তার দাবি, এতে রাশিয়ার ওপর চীনের কঠিন নিয়ন্ত্রণ দুর্বল হয়ে পড়বে।
ন্যাটোর উদ্দেশে লেখা এক চিঠিতে ট্রাম্প বলেন, আমি প্রস্তুত, আপনারা কখন প্রস্তুত। শুধু বলুন, কবে? কয়েকটি দেশের রাশিয়ার তেল কেনা সত্যিই বিস্ময়কর! এতে রাশিয়ার সঙ্গে আপনাদের দর-কষাকষির ক্ষমতা ও প্রভাব মারাত্মকভাবে কমে যাচ্ছে।
ট্রাম্প দাবি করেন, রুশ জ্বালানি কেনা বন্ধ এবং চীনের ওপর চড়া শুল্ক আরোপ সংঘাত দ্রুত শেষ করতে অত্যন্ত সহায়ক হবে।
ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ইউরোপের জ্বালানি নির্ভরতা অনেকটাই কমেছে। ২০২২ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রায় ৪৫ শতাংশ গ্যাস আসত রাশিয়া থেকে। এ বছর তা কমে প্রায় ১৩ শতাংশে নামবে বলে অনুমান। তবে ট্রাম্পের মতে, এ হার এখনও যথেষ্ট নয়।
ন্যাটো–রাশিয়া উত্তেজনার মধ্যেই ট্রাম্পের এই বার্তা এল। বুধবার ডজনখানেক রুশ ড্রোন পোল্যান্ডের আকাশসীমায় প্রবেশ করে। পোল্যান্ড বলছে, এটি ইচ্ছাকৃতভাবে করা হয়েছে। তবে মস্কোর দাবি, তাদের পোল্যান্ডের স্থাপনা লক্ষ্য করার কোনও পরিকল্পনা নেই।
ন্যাটোর পূর্ব সীমান্ত শক্তিশালী করতে ডেনমার্ক, ফ্রান্স ও জার্মানি নতুন মিশনে যোগ দিয়েছে এবং সামরিক সরঞ্জাম পূর্বদিকে সরিয়ে নিচ্ছে।
সূত্র: বিবিসি