ছাত্রজনতার রক্তের উপর প্রতিষ্ঠিত সরকারের হাতে মানুষের মৃত্যু কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়  

রবিবার, ফেব্রুয়ারি ২, ২০২৫

জাতির সংবাদ ডটকম।।

ছাত্র- জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর আশা করেছিলাম ফ্যাসীবাদ বিরোধী আন্দোলনে শহীদ, আহত ও ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের চোখের জ্বল আমরা মুছতে পারবো। কিন্তু দুঃখের বিষয় আজ আমরাই কাঠগড়ায় দাঁড়ানো। যেভাবে একজন যুবককে বাসা থেকে ধরে এনে যৌথ বাহিনী নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে, এটা আমাদেরকে ফ্যাসীবাদি শাসনকেই মনে করিয়ে দেয়। তাহলে যৌথবাহিনীর সদস্যরা কি ফ্যাসীবাদের সেই চরিত্রই ধরে রেখেছে? আমরা সরকারকে বলতে চাই, দয়া করে পেশাদার বাহিনী গড়ে তুলুন। পেশাদার মানবিক সদস্য ব্যাতিরেকে শৃঙ্খলা বাহিনী কাজে সফল হতে পারবেনা বলে দাবি করেন আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি)’র চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু।

“বিচার বহির্ভুত হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নতির দাবিতে” আজ আমার বাংলাদেশ যুবপার্টি (এবি যুবপার্টি) আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এই দাবি করেন। যুবপার্টির আহবায়ক শাহাদাতুল্লাহ টুটুলের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব হাদীউজ্জামান খোকনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন, এবি পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান লে. কর্ণেল (অবঃ) দিদারুল আলম, লে. কর্ণেল (অবঃ) হেলাল উদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার যোবায়ের আহমেদ ভুইয়া, ব্যারিস্টার নাসরীন সুলতানা মিলি ও আলতাফ হোসাইন।

 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মজিবুর রহমান মঞ্জু আরো বলেন, ফ্যাসিবাদ বিরোধী দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামের মধ্যদিয়ে যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়েছে তাদের সময়ে যৌথ বাহিনীর হেফাজতে মানুষ হত্যা কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য না। ব্যাক্তির ব্যাপারে অভিযোগ থাকলে আইনের আওতায় আনতে হবে। বিনা বিচারে মানুষ মেরে ফেলার আওয়ামী বর্বরতা থেকে দেশকে মুক্ত করতে হবে।

 

কর্ণেল দিদার বলেন, এই সরকার গঠিত হয়েছে ছাত্র-জনতার রক্তের উপর দাড়িয়ে। যার মৌলিক দায়িত্বই জনগণের অধিকারকে সবার আগে গুরুত্ব দেয়া। সেখানে এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের যৌথবাহিনীর নির্যাতনে মানুষ মারা যাবে এটা হতে পারে না।

 

কর্ণেল হেলাল বলেন, আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কোনভাবে বিতর্কিত হোক সেটা চাইনা। তিনি অবিলম্বে সঠিক তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান।

 

সভাপতির বক্তব্য শাহাদাতুল্লাহ টুটুল বলেন, চব্বিশের ছাত্র-যুব-জনতার বিপ্লবের পরে কোনভাবেই বিচার বহির্ভূত হত্যাকান্ড মেনে নেয়া যায় না। সরকারের পক্ষ থেকে গঠিত তদন্ত কমিটিকে স্বল্প সময়ের মধ্যে দোষীদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।

 

আরো বক্তব্য রাখেন, এবি পার্টির রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল বাসেত মারজান, ময়মনসিংহ বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. ছানোয়ার হোসেন, কেন্দ্রীয় পর্যটন বিষয়ক সম্পাদক এ্যাডঃ গোলাম ফারুক খান কায়সার, সমাজ কল্যান সম্পাদক অধ্যাপক আবু হেলাল, যুবপার্টি ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহবায়ক মাহমুদ আজাদ, যুগ্ম সদস্য সচিব মঈন উদ্দিন, পল্লবী থানা সদস্য সচিব ইসরাত জাহান লিজা, ঢাকা মহানগর উত্তর এবিপার্টির যুগ্ম সদস্য সচিব সামিউল ইসলাম সবুজ সহ এবি পার্টি ও যুবপার্টির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।