রংপুর প্রতিনিধিঃ ছাত্রলীগ এখন নিষিদ্ধ সংগঠন, তাদের আর কোনো মিছিল সমাবেশ করার অধিকার নেই, এসব করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন পুলিশের আইজিপি ময়নুল ইসলাম।
শনিবার (২৬ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৩টায় রংপুর জেলা পুলিশ লাইন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ৬ষ্ঠ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার গণঅভ্যূত্থানে শাহাদাতবরণকারী ও আহত বীরদের সম্মানে উৎসর্গীকৃত’ সূধী সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
আইজিপি বলেন, ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। এখন থেকে এই সংগঠনটি সম্পন্ন নিষিদ্ধ। ছাত্রলীগের হয়ে যদি কেউ কখনও মিছিল করে বা ছাত্রলীগ যদি মিছিল করে সঙ্গে সঙ্গেই গ্রেপ্তার করা হবে।
তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে হামলা, হত্যা, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি করা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরাই পরবর্তীতে বিসিএস দিয়ে বিভিন্ন মাধ্যমে পুলিশে এসে পুলিশ বাহিনীকে বিতর্কিত করেছে। তাদেরকে পুলিশ বাহিনীতে এনে বাজে সংস্কৃতি চর্চা করা হয়েছে, সেটি দ্রুতই সংস্কার করা হবে।
ময়নুল ইসলাম বলেন, অতীতে অনেক রাজনীতিবিদ পুলিশকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করেছে। আবার যখন ছাত্রলীগ পুলিশে এসেছে উল্টো তারাও আবার রাজনীতিকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করেছে। এই চর্চা বন্ধ করতে হবে। কেউ রাজনীতি করতে চাইলে পুলিশের চাকরি ছেড়ে দিয়ে করুন।
ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে তিনি বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে জড়িত পুলিশের সদস্যদের বিরুদ্ধেই কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাদের বিচারের আওতায় আনা হবে। এখন পর্যন্ত ২১ পুলিশ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এ সময় পুলিশকে প্রতিপক্ষ না ভাবার অনুরোধ জানিয়ে আইজিপি বলেন, পুলিশ জনগণের বন্ধু হতে চায়। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি আস্থার জায়গাটা ফিরিয়ে আনার। পুলিশের গুটিকয়েক সদস্যের কারণে পুরো বাহিনীর প্রতি মানুষের আস্থাটা উঠে যাক সেটাও আমরা চাই না।
এর আগে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আবু সাঈদের কবর জিয়ারত করেন আইজিপি। পরে তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন।
উল্লেখ্য, গত ১৬ জুলাই পুলিশের গুলিতে নিহত হন আবু সাঈদ। এরপর সারাদেশে আন্দোলন ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়লে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়।