
জাতির সংবাদ ডটকম।।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এবং উহার অধীন অধিদপ্তর/দপ্তর/সংস্থা/আঞ্চলিক অফিস এবং প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের জন্য জনস্বাস্থ্য বিষয়ক নীতি সুরক্ষায় অনুসরণীয় গাইডলাইন প্রনয়ন করেছে। যা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার স্বাস্থ্য বিষয়ক আর্ন্তজাতিক চুক্তি ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন টোব্যাকো কন্ট্রোল (এফসিটিসি) এর অনুচ্ছেদ ৫.৩ বাস্তবায়নে একটি অনুকরণীয় পদক্ষেপ। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা ফরিদা আখতারের অনুমোদন ও সচিব জনাব মো. তোফাজ্জেল হোসেনের স্বাক্ষরিত এই গাইডলাইনটি তামাক কোম্পানির প্রভাব থেকে নীতি সুরক্ষায় আরেকটি রক্ষাকবচ হিসেবে কাজ করবে। এই গাইডলাইনটির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য, তামাক কোম্পানির বানিজ্যিক এবং অন্যান্য স্বার্থ হতে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের জনস্বাস্থ্য সম্পর্কিত নীতি এবং কার্যসমুহকে সুরক্ষিত করা, আইনের কার্যকর বাস্তবায়ন, তামাক কোম্পানির সহিত যোগাযোগের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত, এফসিটিসি বাস্তবায়ন নিশ্চিত এবং অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করা।
জনস্বাস্থ্য উন্নয়নে এ ধরণের দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করায় বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়কে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছে। জোট মনে করে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় এধরণের নির্দেশিকা দেশকে তামাক নিয়ন্ত্রণে আরেক ধাপ এগিয়ে দিয়েছে। এধরণের পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে জনস্বাস্থ্য বিষয়ক নীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে তামাক কোম্পানিগুলোর প্রভাব প্রতিহত করা সম্ভব হবে।
উল্লেখ্য, তামাকের বহুমাত্রিক ভয়াবহতা থেকে জনস্বাস্থ্য ও নীতি সুরক্ষায় সারা বিশ্বে গ্রহণ করা হচ্ছে নানামুখী পদক্ষেপ। বাংলাদেশও এক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছে। ইতিপূর্বে রেলপথ মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ও বাংলাদেশে এ বিষয়ক গাইডলাইন প্রণয়ন করেছে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সরকারের তৃতীয় মন্ত্রণালয় যারা এ ধরণের নীতি গ্রহণ করলো। বাংলাদেশ তামাক বিরোধী মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়কে ধন্যবাদ জানানোর পাশাপাশি সরকারের অন্যান্য মন্ত্রণালয়গুলোকেও জনস্বাস্থ্যকে সবোর্চ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে এ ধরণের নির্দেশনা/ গাইডলাইন প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণের আহবান জানাচ্ছে ।