জলাধার, মাঠ ও পার্ক সংরক্ষণে বিভিন্ন দফতরে চিঠি পাঠিয়েছে ডিএনসিসি

শুক্রবার, আগস্ট ১৫, ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর পরিবেশ, জীববৈচিত্র্য ও নাগরিক জীবনমান রক্ষার জন্য ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) বিভিন্ন সরকারি দফতরে চিঠি পাঠিয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) প্রণীত ‘বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা (ড্যাপ) ২০২২-২০৩৫’-এ প্রস্তাবিত পার্ক, খেলার মাঠ ও জলাধারের জমি ক্রয়-বিক্রয় বা ভূমি ব্যবহার পরিবর্তন রোধ করা জরুরি।

শুক্রবার (১৫ আগস্ট) ডিএনসিসির জোবায়ের হোসেন জানিয়েছেন, সংস্থাটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার স্বাক্ষরে ভূমি মন্ত্রণালয়, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ, রাজউক, সহকারী কমিশনার (ভূমি), সাবরেজিস্ট্রার, রেজিস্ট্রার ও জেলা প্রশাসকদের কার্যালয়ে এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠানো হয়।

ডিএনসিসির পক্ষ থেকে পাঠানো চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, নগরের বাসযোগ্যতা বজায় রাখা ও টেকসই উন্নয়নের জন্য পার্ক, খেলার মাঠ, জলকেন্দ্রিক পার্ক ও জলাধার সংরক্ষণ অত্যন্ত জরুরি।

চিঠিতে প্রস্তাবিত এসব স্থানের ভূমি ব্যবহার পরিবর্তন না করা, খাজনা আদায় সংক্রান্ত বিধি আরোপ এবং ক্রয়-বিক্রয় বন্ধ করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

এর আগে ডিএনসিসির ৫ম বোর্ড সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত অনুমোদিত হয়। এ অনুসারে প্রস্তাবিত পার্ক ও জলকেন্দ্রিক পার্কের স্থানে সচেতনতামূলক সাইনবোর্ড স্থাপন এবং অননুমোদিত দখল ও ব্যবহার রোধে কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

ডিএনসিসির পক্ষ থেকে জানানো হয়, ইতোমধ্যে আফতাবনগর সংলগ্ন বাড্ডা এলাকার সাঁতারকুল, বাড্ডা ও সুতিভোলা মৌজার প্রায় ১৫০ একর জলকেন্দ্রিক পার্কের প্রস্তাবিত স্থানে সাইনবোর্ড স্থাপন সম্পন্ন হয়েছে।

একইভাবে বৃহত্তর মিরপুরের বাউনিয়া, সেনপাড়া পর্বতা, বিশিল, পাইকপাড়া, নন্দারবাগ, বড় সায়েক, মিরপুর ও নবাবের বাগ এলাকায় প্রায় ৭৫৯ একর, কাফরুলের লালাসরাই এলাকায় ১৮.১১ একর, ক্যান্টনমেন্ট থানার জোয়ার সাহারায় ৪৩.২৯ একর, মিরপুরে ৫৮৭ একর, বাড্ডা-ভাটারা-সাঁতারকুল, বাড্ডা ও সুতিভোলায় ১৮৫.২৩ একর, খিলগাঁও এলাকায় ১৭০.৫০ একর, তুরাগের বাউনিয়ায় ১৯৭.২৬ একর, পল্লবীর মারুলে ২৪.৬১ একর এবং দক্ষিণ খান, উত্তর খান ও বরুয়া এলাকায় ৭১.২৬ একর জমিতে প্রস্তাবিত জলাধার, পার্ক ও খেলার মাঠে সাইনবোর্ড স্থাপনের কাজ চলমান রয়েছে।

মোট প্রায় ১,৫০০ একর প্রস্তাবিত জলাধার, পার্ক ও খেলার মাঠ সংরক্ষণে এসব উদ্যোগ বাস্তবায়িত হলে নগরের পরিবেশ, জীববৈচিত্র্য ও নাগরিক জীবনমান উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নত হবে বলে মনে করে ডিএনসিসি।