জাতীয় নির্বাচনের আগেই গণভোটের পক্ষে শিবির

বৃহস্পতিবার, অক্টোবর ৩০, ২০২৫

 

ইবি প্রতিনিধি:

জুলাই সনদের উপর গণভোট জাতীয় নির্বাচনের আগে হওয়াই যুক্তিযুক্ত বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম। বৃহস্পতিবার দুপুরে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের নিয়ে শাখা ছাত্রশিবির আয়োজিত নবীন বরণ অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করেন তিনি।

জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘জুলাই সনদ আমাদের সকলেরই প্রত্যাশা ছিল। এটি বাংলাদেশের জন্য নতুন ইতিহাস, নতুন মাইলফলক। এই জুলাই সনদকে আইনি ভিত্তি দেওয়ার জন্য অবশ্যই গণভোট আয়োজন করা দরকার। যদিও এটি অর্ডিন্যান্সের মাধ্যমে করা হয়। কিন্তু বাংলাদেশের বাস্তবতা হলো, একটি অর্ডিন্যান্স অন্য একটি দল এসে আবার পাল্টে ফেলে। এজন্য গণভোট হলে জুলাই সনদ আইনি ভিত্তি ও সার্বজনীন গ্রহণযোগ্যতা পাবে। সেটি অর্ডিন্যান্সের মাধ্যমে অতটা পাবে না। এজন্য আমরা গণভোটের পক্ষে। কারণ দেশের সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে সবাই সেটাই প্রত্যাশা করছে।’

এরআগে বেলা ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের প্রায় দুই হাজার শিক্ষার্থীকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেয় শাখা ছাত্রশিবির। পরে দিকনির্দেশনামূলক আলোচনা, উপহারসামগ্রী প্রদান ও সাংস্কৃতিক পরিবেশনার মাধ্যমে অনুষ্ঠান শেষ হয়। অনুষ্ঠানে শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মাহমুদুল হাসানের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় শিল্প ও সংস্কৃতি সম্পাদক হাফেজ আবু মুসা, ব্যবসায় শিক্ষা সম্পাদক গোলাম জাকারিয়া, শাখা ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য আব্দুল মান্নান, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওবায়দুল ইসলাম, গ্রীণ ফোরামের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান ও শাখা শিবির সেক্রেটারি ইউসুব আলীসহ অন্যান্যরা।

শিবির সভাপতি বলেন, ‘দেশের ইতিহাসে শিক্ষার্থী ও ক্যাম্পাসগুলোর বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। জুলাই ও আগস্ট কোনো হঠাৎ ঘটে যাওয়া ঘটনা বা আন্দোলন ছিল না। এটি ছিল পুরো প্রজন্মের চিন্তার জাগরণ। বিগত ফ্যাসিস্ট আমলের ফ্যাসিবাদী আচরণ নতুন করে মানুষ আর দেখতে চান না। এখন মানুষ গঠনমূলক কাজ চায়। আগের মতো কাদা ছোড়াছুড়ি, নোংরামি বা নেতিবাচক রাজনৈতিক সংস্কৃতি দেখতে চায় না।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমার বিশ্বাস, ঠিক একই পরিবর্তন জাতীয় রাজনীতিতেও ঘটবে। সাধারণ মানুষ আর পুরোনো ধাঁচের রাজনীতি পছন্দ করছে না। যারা সত্যিকার অর্থে মানুষের কল্যাণে গঠনমূলক এজেন্ডা নিয়ে রাজনীতিতে আসবে, তারাই ভবিষ্যতে জাতীয় রাজনীতিতে সফল হবে।