জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যানের অপসারণ ও শাস্তির দাবী

মঙ্গলবার, আগস্ট ২০, ২০২৪

জাতির সংবাদ ডটকম।।

বিশ্ববরেণ্য মানবাধিকার কর্মী ড. সাইফুল ইসলাম দিলদারসহ সারাদেশে আটক মানবাধিকার কর্মীর মুক্তিদান, মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদকে অপসারণ ও শান্তির দাবি জানান বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের প্রধান সমন্বয়ক শামীম শেখ।

 

মঙ্গলবার ২০ আগষ্ট জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে,জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদকে অপসারণ ও শান্তি জানিয়ে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন এর প্রধান সমন্বয়ক শামীম শেখ এই দাবি জানান।

 

শামীম শেখ বলেন,বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন-BHRCখ সারা বাংলাদেশে এবং বহির্বিশ্বে নির্যাতিত ও নিপীড়িত মানুষের পক্ষে কর্মকান্ড পরিচালনায় আন্তঃমহাদেশীয় এবং এশিয়ার একটি বৃহত্তর বেসরকারি মানবাধিকার প্রতিষ্ঠান। ১৯৮৭ সালের ১০ই জানুয়ারি প্রতিষ্ঠিত এই প্রতিষ্ঠানটি জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের ১৬ নভেম্বর ২০০০ইং সালের ১৯৯৬/৩১ নং অধিবেশনে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন- BHRC আনুষ্ঠানিক অনুমোদন লাভ করে। পাশাপাশি বাংলাদেশ সরকার, যুক্তরাষ্ট্রে নিউ ইয়র্ক স্ট্যাট ডিপার্টমেন্ট এর নিবন্ধিত একটি প্রতিষ্ঠান। এছাড়া বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার প্রতিষ্ঠান যথাক্রমেঃ ইন্টারন্যাশনাল কমিশন অব জুরিস্টস-আইসিজে (জেনো), ওয়ার্ক অর্গানাইজেশন এ্যাগেইনস্ট টর্চার-ওএমসিটি (জেনেভা), আফ্রিকান কমিশন অন হিউম্যান এন্ড পিপলস রাইটস-এসিএইচপিআর সঙ্গ সিভির আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের সহযোগি প্রতিষ্ঠান হিসেবে ৮টি নিবন্ধন নিয়ে ৩৭ বছর যাবত মানবাধিকার কার্যক্রম পরিচালদা করছে। BHRC বাংলাদেশের সকল জেলা ও মহানগর সহ অধিকাংশ উপজেলা, থানা ও পৌরসভায় এমনকি ইউনিয়ন পর্যায়ে মানবাধিকার কার্যক্রম বিনামূল্যে পরিচালনা করছে। বাংলাদেশ এবং বহির্বিশ্বে এই প্রতিষ্ঠানের সহস্রাধিক শাখার মাধ্যমে সুশীল সমাজের প্রায় দুই লক্ষ সদস্য মানবাধিকার উন্নয়ন ও সংরক্ষণের কাজে নিয়োজিত রয়েছে। বিশ্বের বরেণ্য মানবাধিকার কর্মী ড. সাইফুল ইসলাম দিলদার বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের প্রতিষ্ঠাতা এবং মহাসচিব। বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের দীর্ঘিদিনের প্রচেষ্টায় সর্বশেষ ১/১১ পরবর্তী ভত্ত্বাবধায়ক সরকারের

আমলে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন প্রতিষ্ঠার কাজ শুরু করে এবং ২০০৯ সালে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। আর BHRC বেসরকারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে ১৯৮৭ সালে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। জাতীয় মানবাধিকার কমিশন ২০২০ সালে আকস্মিকভাবে কমিশন শব্দকে কেন্দ্র করে বর্তমান চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ স্বৈরাচারের দোসর হিসেবে রূপ ধারণ করে এবং BHRC র উপর এবং মানবাধিকার কর্মীদের উপর মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে হয়রানি শুরু করে। শুধু বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনই নয় আরও কিছু বেসরকারি মানবাধিকার সংস্থাকেও হেনস্থা করে নিদেশে তথ্যপাচারের নামে মিথ্যা অজুহাতে। তিনি ব্যক্তিগত প্রতিহিংসা পরায়ন হয়ে মানবাধিকার কর্মী ড. সাইফুল ইসলাম দিলদার সহ অনেক মানবাধিকার কর্মীকে আটক নির্যাতন নিপীড়ন ও গ্রেফতার করে কারাগারে আটক করে রাখে। সে তার অবৈধ প্রতার ও সরকারি ক্ষমতাকে অপব্যবহার করে পুলিশ প্রশাসন ও বিচার বিভাগে মানবাধিকার কর্মীদের বিরুদ্ধে ক্ষমতায় অপব্যবহার করেন। মানবাধিকার কর্মীদের নির্যাতন নিপীড়ন আটক ও গ্রেফতার করে কারাগারে প্রেরণ করে নিশ্ব সমাজে বাংলাদেশের নামটি মানবাধিকার কর্মীদের উপর নির্যাতনকারী দেশ হিসেবে পরিণত করা হয়। ড. সাইফুল ইসলাম দিলদারকে বিভিন্ন ভাবে চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে। তিনি যেন দেশ ছেড়ে চলে যান। ড. সাইফুল ইসলাম দিলদার বর্তমান ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে সাধারণ বন্দীদের সাথে অসুস্থ অবস্থায় কারা জীবন অতিক্রম করছেন। তার বয়স বর্তমানে ৬৬ বছর। ড. সাইফুল ইসলাম দিলদার গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা, আইনের শাসন এবং সর্বস্তরে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার দাবি জানানোর কারণেই স্বৈরাচার সরকার ও তার দোসর কামাল উদ্দিন মানবাধিকার কর্মীদের উপর নির্যাতন নিপীড়ন ও গ্রেপ্তার কয়ে

 

তিনি বলেন,কারাগারে পাঠিয়েছে। BHRC’র মানবাধিকার কর্মীদের উপর মিথ্যা মামলা প্রস্তাহার ও কারাবন্দিদের মুক্তির দাবী এবং জাতীয় মানবায়িকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদকে অপসারণের দাবি জানাচ্ছি।

 

উক্ত মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন, প্রধান সমন্বয়ক শামীম শেখ, গোলাম কিবরিয়া সোহেল মাহমুদ, মোস্তাক আহমেদ, ফয়সাল ভূঁইয়া, সৈয়দ আজমল হক মির্জা শাহাদাত হোসেন, সিরাজুল ইসলাম, সুমন শেখ রকিবুল ইসলাম,দিল ফারজানা বিথি,সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।